প্রকাশিত
ফখরুল আলম সাজু
ক্রাইম রিপোর্টার ঢাকা:
নির্মাণাধীন ভবনগুলো যেন এক একটি মৃত্যুফাঁদ হয়ে উঠছে ঢাকা নগরীতে। শুধুমাত্র ফেব্রুয়ারি মাসেই নির্মাণাধীন ভবন দুর্ঘটনায় মারা গেছেন পাঁচজন। অধিকাংশ ভবন মালিক নতুন ভবন নির্মাণে শ্রমিক এবং পথচারীদের নিরাপত্তায় ইমারত নির্মাণ বিধিমালা মানছেন না। ফলে নির্মাণাধীন ভবনগুলো শ্রমিক ও পথচারীদের জন্য বিপদজ্জনক হয়ে উঠেছে।
নিরাপত্তা বেষ্টনী ছাড়া ঢাকা মহানগরীর গ্রীন মডেল টাউন উত্তর মুগদায় নির্মাণাধীন দুইটি ভবন।
গত ২৬ এপ্রিল নগরীর ব্যস্ততম এলাকা উত্তর মুগদা গ্রীন মডেল টাউন আমিন মোহাম্মদ গ্রুপ প্রজেক্ট। যেখানে রয়েছে স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অফিস। এখানে ফুটপাতের পাশেই কোনো ব্যবস্থা ছাড়াই তৈরি করা হচ্ছিল নতুন ভবন। সেখানে সরেজমিনে গিয়ে দেখতে পাই নির্মানাধীন কর্মীদের সেফটি বেল্ট, হ্যালমেট, সেফটি পায়ের বুট এমনকি শরীরের কোন সেফটি নেই এবং ভবনটির চারপাশের কোন সেফটির ব্যবস্থা করা হয়নি ।
নগরীর গ্রীন মডেল টাউন উত্তর মুগদা আবাসিক এলাকা। নির্মাণাধীন একটি বহুতল ভবন থেকে নির্মাণ সামগ্রী নিচে পড়ে। সরেজমিনে সাংবাদিকদের টিমের উপর পড়ে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যায় ।
এই ভবন দুইটির একটির মালিক শিরীন আক্তার এবং আরেকটি ভবনের মালিক মনিরুজ্জামান।
আর এই ভবন দুইটি ডি এফ এল প্রপার্টিজ লি: এর অধীনে নির্মাণ করা হচ্ছে। আমরা ডি এফ এল প্রপার্টিজ লি এর ইঞ্জিনিয়ার তায়িবুর এর সাথে ফোন কলে কথা বলে জানতে পেরেছি তারা নির্মানাধীন ভবন গুলোর কোন সেফটি নেই তারা এই সম্পর্কই আগে থেকেই অবগত আছেন এবং তাদের এটা নিজস্ব গাফিলতি এটা প্রমাণ পেয়েছি আমরা এবং আমাদের এক সাংবাদিক ভাইয়ের সাথে কথা বলার সময় ডি এফ এল প্রপার্টিজ লি: এর ইঞ্জিনিয়ার তায়িবুর খারাপ আচরণ করেন।
এই প্রেক্ষিতের ভিত্তি করে নয়া পল্টন চায়না টাউনের ১৭ তলায় (লিফটের ১৬) তাদের অফিসে যাই এবং ডি এফ এল প্রপার্টিজ লি এর এম ডি আমাদের সাথে কথা বলতে অনাগ্রহ দেখিয়েছেন এবং বলেছেন আপনারা কি করতে পারবেন করেন।
সব ঘটনায় ভবন নির্মাণের বিধি উপেক্ষিত ছিল। এতে নির্মাণ শ্রমিকরা যেমন অনিরাপদ, তেমনি নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে পথচারীদেরও।
বছরে আড়াই হাজার ভবনের নকশা অনুমোদন দিয়ে থাকে ঢাকা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। ভবন নির্মাণে শ্রমিক ও পথচারীদের নিরাপত্তায় ইমারতবিধি অনুযায়ী ভবনের চারদিকে জাল দিয়ে ঘিরে নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করে। তবে ভবন নির্মাণ শুরু করতে হবে। কিন্তু অধিকাংশ মালিক কিংবা প্রতিষ্ঠানগুলো এ নিয়মের তোয়াক্কা করে না। ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে নানা বড় দুর্ঘটনা।
এই সম্পর্কে আমাদের সাথে কথা হয় রাজউক উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এর চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার রিয়াজুল ইসলাম এর সাথে। তিনি আমাদের বলেন আপাতত আর কোন প্লট বরাদ্দ দেবে না। এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এর মাধ্যমে দরখাস্ত দিয়ে যেতে তারা তাদের টিম নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এই বলে আমাদের আশ্বাস তিনি দেন ।
এরপর আমরা জোন ৬/২ এর পরিদর্শক এর সাথে কথা তিনি বলেন, নিয়ম হচ্ছে কোনো ভবনের কাজ শুরু করার আগে মালিকপক্ষ সিডিএকে জানাতে হয় যে তারা ভবনের কাজটা শুরু করছে।
কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই কাজটা অধিকাংশ ভবন মালিকরা করে না।
এবং বিভিন্ন প্রপার্টিজ গুলো নির্মানাধীন ভবন নির্মাণে কোন নিয়ম মানছে না এদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা এবং মালিকের বিরুদ্ধেও একই ব্যাবস্থা গ্রহণ করা উচিত ।
আপনার মতামত লিখুন :