প্রকাশিত,১৫,সেপ্টেম্বর
নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধিঃ
শেরপুরের নকলায় উরফা গোরস্থান দাখিল মাদরাসার সুপার সেকান্দর আলীর পদত্যাগের দাবীতে মানববন্ধন চলাকালে ব্যানার কেড়ে নেওয়াকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এতে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। রবিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উরফা গোরস্থান দাখিল মাদরাসা প্রাঙ্গনে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়সূত্র জানায়, নকলায় উরফা গোরস্থান দাখিল মাদরাসার সুপার সেকান্দর আলীর পদত্যাগের দাবীতে মানববন্ধনের আয়োজন করে উরফা ইউনিয়নের ছাত্র-জনতা ও ইউপি ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। পরে মাদরাসার সাথে এলজিইডির পাঁকা রাস্তায় মানববন্ধন করা অবস্থায় মাদরাসার সুপারের স্ত্রী ওই মাদরাসার শিক্ষক নাসিমা আক্তার জোর পূর্বক ব্যানার কেড়ে নিয়ে মাদরাসায় চলে আসে। পরে মাদরাসার শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়রা ভূয়া ভূয়া শ্লোগান দেওয়া শুরু করে। এরপর দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। সংবাদ পেয়ে সেরাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। বর্তমানে ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
উরফা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি ইমরান হোসেন বলেন, উরফা গোরস্থান দাখিল মাদরাসার সুপার সেকান্দর আলীর বিরুদ্ধে অনেক অনিয়মের অভিযোগ উঠে। তাই ইউনিয়নের ছাত্র-জনতাসহ সর্বস্তরের লোকজনদের নিয়ে আমরা একটি মানববন্ধনের আয়োজন করি। মানববন্ধন করার অধিকারতো সবারই অধিকার আছে। অত্যন্ত শান্তিপূর্ন ভাবে মানববন্ধন চলাকালীন সময় ওই মাদরাসার সুপারের স্ত্রী নাসিমা আক্তার নামের একজন শিক্ষিকা আমাদের হাত থেকে ব্যানার কেড়ে নেয়। আমরা ব্যানার ফেরত চাইতে গেলে ওই মাদরাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা লাঠি শোটা নিয়ে আমাদের ধাওয়া করে এবং আক্রমন করে।
উরফা গোরস্থান দাখিল মাদরাসার সুপার সেকান্দর আলীর স্ত্রী শিক্ষিকা নাসিমা আক্তার বলেন, আজকের মানববন্ধনে তারা (মানববন্ধনকারীরা) যে অভিযোগ এনেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। ফেসবুকের একটি শেয়ার ও কমেন্ট নিয়ে পূর্বের একটি দ্বন্ধ ছিল। সেটা সেনাবাহিনী পুলিশের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করে দেয়। কিন্তু আজ সেই ইস্যু নিয়ে তারা মানববন্ধন করে।
আপনার মতামত লিখুন :