তরিকতপন্থী ছাত্র সংগঠনের শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত।


দেশ সময় প্রকাশের সময় : ২০২৪-০৯-০৯, ৬:২৬ অপরাহ্ন /
তরিকতপন্থী ছাত্র সংগঠনের শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত।

প্রকাশিত,০৯,সেপ্টেম্বর,

মারুফ সরকার, স্টাফ রিপোর্টারঃ

সাম্প্রতিক সময়ে কিছু সংখ্যক দুষ্কৃতিকারী সারা দেশব্যাপী আউলিয়ায়ে কেরামের মাজার এবং দরবারে হামলা ও ভাংচুরের মতো জগন্যতম অপরাধ সংগঠিত করেছেন ।

তারাই ধারাবাহিকতায় আজ ৯ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রি. সোমবার, প্রেসক্লাবে তরিকতপন্থী দেশব্যাপী আউলিয়ায়ে কেরামের মাজার এবং দরবারে হামলা ও ভাংচুরের প্রতিবাদে ছাত্র সংগঠনের শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এ মানববন্ধনে সাম্প্রতিককালে সারা দেশের বিভিন্ন দরবার ও মাজারে নৃশংস হামলার বৃত্তান্ত তুলে ধরা হয়। পবিত্র কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে মানববন্ধন শুরু হয়। অতঃপর বক্তাগণ অলী-আল্লাহগণের শান-মর্যাদা এবং রওজা-মাজার সম্পর্কে ইসলামি শরীয়তের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে আলোকপাত করেন। তারা সাম্প্রতিক সময়ে মাজার ও দরবারসমূহে দুষ্কৃতিকারীদের হামলা সম্পর্কে বর্ণনা করেন। অতঃপর তারা তাদের দশ দফা দাবি পাঠ করে।

তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- অবিলম্বে দেশের মাজার, দরবার ও খানকাহ শরীফ ভাঙার সাথে জড়িত সকল ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে; যে সকল মসজিদে উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদ প্রচার করার মাধ্যমে তরিকতপন্থী মাজার ও দরবার ভাঙচুরে উসকানি দেওয়া হচ্ছে, অতি শীঘ্রই তাদের শাস্তি প্রদান করতে হবে।

উগ্রবাদীদের হামলায় যে সকল তরিকতপন্থী আহত হয়েছে, তাদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে; উগ্রবাদীদের হামলায় যারা নিহত হয়েছে, প্রতিটি হত্যার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষী ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে বিচার করতে হবে। সবশেষে তরিকতপন্থী ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধি ফেরদৌস সানি সংগঠনটির ভবিষ্যৎ কর্মসূচী ঘোষণা করেন।
তরিকতপন্থী ছাত্র সংগঠনের ১০ দফা দাবি ও প্রেস করেছেন।

১/ অবিলম্বে দেশের মাজার, দরবার ও খানকাহ শরীফ ভাঙার সাথে জড়িত সকল ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।২/যে সকল মসজিদে উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদ প্রচার করার মাধ্যমে তরিকতপন্থী মাজার ও দরবার ভাঙচুরে উসকানি দেওয়া হচ্ছে, অতি শীঘ্রই তাদের শাস্তি প্রদান করতে হবে।৩/ উগ্রবাদীদের হামলায় যে সকল তরিকতপন্থী আহত হয়েছে, তাদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে।৪/উগ্রবাদীদের হামলায় যারা নিহত হয়েছে, প্রতিটি হত্যার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষী ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে বিচার করতে হবে।৫/দেশের সকল মাজার, দরবার ও খানকাহ শরীফের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে।

৬।দেশের এ ক্রান্তিলগ্নে যে সকল ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উসকানিমূলক বিবৃতি দিয়ে ধর্মীয় দাঙ্গা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে, অবিলম্বে তাদেরকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।৭। দেশের সকল তরিকতপন্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মাধ্যমে প্রকৃত অর্থে স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

৮। যে সকল দরবার ও মাজারে চরমপন্থীদের হামলার হুমকি রয়েছে, আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে ঐ সকল দরবার ও মাজারে সেনাসদস্য মোতায়েন করতে হবে।৯। যে সকল দরবার এবং মাজার শরীফে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট হয়েছে, মাননীয় ধর্ম উপদেষ্টা ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে ঐ সকল প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে এগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে বিবৃতি প্রদান করতে হবে।১০। যেহেতু ইতোমধ্যে অনেক দরবার ও মাজারে নৃশংস হামলা হয়েছে, তাই অবিলম্বে দরবার ও মাজারগুলোর নিরাপত্তার স্বার্থে বিশেষ নিরাপত্তাসংক্রান্ত সেল গঠন করতে হবে। এই সেলে একাধিক হটলাইনের মাধ্যমে সপ্তাহে ৭ দিন ২৪ ঘন্টার মধ্যে ঐ সকল প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে এগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে বিবৃতি প্রদান করতে হবে।

যেহেতু ইতোমধ্যে অনেক দরবার ও মাজারে নৃশংস হামলা হয়েছে, তাই অবিলম্বে দরবার ও মাজারগুলোর নিরাপত্তার স্বার্থে বিশেষ নিরাপত্তাসংক্রান্ত সেল গঠন করতে হবে। এই সেলে একাধিক হটলাইনের মাধ্যমে সপ্তাহে ৭ দিন ২৪ ঘন্টা দরবার ও মাজারসমূহকে নিরাপত্তা সেবা প্রদান করতে হবে।