শার্শা উপজেলায় শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি,


দেশ সময় প্রকাশের সময় : ২০২৫-১০-২২, ১২:১৪ পূর্বাহ্ন /
শার্শা উপজেলায় শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি,
print news || Dailydeshsomoy

প্রকাশিত

সোহাগ হোসেন বেনাপোলঃ

যশোর জেলার শার্শা উপজেলায় দিনব্যাপি কেন্দ্রীয় কর্মসূচি’র অংশ হিসেবে সমগ্র দেশের ন্যায় চলছে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের অবস্থান কর্মসূচি। বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধিসহ তিন দফা দাবিতে দশম দিনের মত উপজেলা পরিষদ চত্বের শহীদ মিনারে তারা অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকাল ১১টা হতে উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত শিক্ষকদের শহীদ মিনারে জড়ো হতে দেখা গেছে। এ সময় শিক্ষকরা বলেন, দাবি মেনে প্রজ্ঞাপন না দেয়া পর্যন্ত শিক্ষকরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বাড়িভাড়া ভাতা ২০ শতাংশ বৃদ্ধিসহ তিন দফা দাবিতে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের আন্দোলন দশম দিনে গড়িয়েছে। শিক্ষক-কর্মচারীদের তিন দফা দাবির মধ্যে রয়েছে-মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া ভাতা, চিকিৎসা ভাতা ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১,৫০০ টাকা, উৎসব ভাতা মূল বেতনের ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭৫ শতাংশ নির্ধারণ। গত ১২ অক্টোবর থেকে এই দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন তারা। ১৭ অক্টোবর সব বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবি যুক্ত হয় কর্মসূচিতে। আন্দোলনকারীদের প্রতি ইতোমধ্যে বিএনপি, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ, ইনকিলাব মঞ্চসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা সমর্থন জানিয়েছেন। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু), জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু), এবং ঢাবি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও বুয়েটের শিক্ষার্থীরাও একাত্মতা প্রকাশ করেছেন।

এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর সরকার এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ভাতা ৫০০ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দেয়। কিন্তু শিক্ষকরা তা প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলনে নামেন। পরে ৬ অক্টোবর শিক্ষা মন্ত্রণালয় ভাতা বাড়ানোর নতুন প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। চলমান আন্দোলনের মধ্যে ১৯ অক্টোবর সরকার ঘোষণা দেয়—এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের মূল বেতনের ৫ শতাংশ বা ন্যূনতম ২ হাজার টাকা বাড়িভাড়া ভাতা নির্ধারণ করা হবে। তবে শিক্ষকরা মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে ভাতা দেওয়ার দাবিতে অনড় অবস্থান নিয়েছেন।
বর্তমানে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী বেতন পান। তারা মাসে ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা ও ২ হাজার টাকা পর্যন্ত বাড়িভাড়া ভাতা পাচ্ছেন। উৎসব ভাতা বর্তমানে মূল বেতনের ৫০ শতাংশ হারে দেওয়া হচ্ছে, যা আগে ছিল ২৫ শতাংশ।