প্রকাশিত
আজাদ নাদভী, স্টাফ রিপোর্টার:
বাবার সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত ও উৎখাত করার পায়তারা করছে আপন ভাই কে
,এমনই ঘটনা ঘটেছে মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলা মধ্যপাড়া ইউনিয়নের মালোপদিয়া গ্রামে।
সেখানে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মালপদিয়া গ্রামের দুলাল মিয়া দীর্ঘ দশ থেকে বারো বছর দুবাই প্রবাসে ছিলেন প্রবাসে থাকা অবস্থায় তার উপার্জনকৃত ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা করে পরিবারের খরচের জন্য তার বাবা মা কে দিতো।
এভাবে প্রবাস জীবনের বারো বছরের সকল উপার্জনই প্রায় অর্ধকোটি টাকা দিয়ে প্রবাস জীবন শেষ করে স্বদেশে ফিরে সে জানতে পারে তার উপার্জিত অর্থ দিয়ে তার মা জমিন কিনেছেন ও অন্য সকল ভাইদের পড়াশোনা করিয়ে বিদেশ পাঠিয়েছেন এবং তার জমানো টাকা চাওয়াতে নেমে আসে দুলালের জীবনে যন্ত্রণার ঝড়। দুলালের মা ও তার ভাইয়া শুরু করে দুলাল কে বাড়ি থেকে তাড়ানোর পরিকল্পনা সেই পথেই বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয় জীবন যুদ্ধে হেরে যাওয়া দুলাল সর্বশেষ তার পরিবার নিয়ে থাকা ঘরটিও ভেঙে ফেললো তার ভাইয়েরা বিভিন্ন অজুহাতে এ বিষয়ে দুলাল কোন দিকদিশা না পেয়ে থানায় জানালে পুলিশ এসে ঘর ভাংতে নিষেধ করে যাওয়ার পর ও বাধানিষেধ না শুনেই ঘরটি ভেঙে ফেলে তার ভাই ও তাদের পরিবারের লোকজন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর ভাই আক্তার হোসেন বলেন, সে আমি যখন ক্লাস ৪র্থ বা ৫ম শ্রেনীর ছাত্র তখন সে বিয়ে করে আলাদা হয়ে যায়। তার পরে সে তার ফুফু শাশুরীর বাড়ীতে গিয়ে উঠে। সে আমাদের কাউকে কোনদিন দেখে নাই। আর বাবার সম্পত্তি এখনো আমাদের দাদার নামে আছে। সেটা নামজারি করতেও তো খরচ আছে। সেটাও সে দিবে না। তার পরেও বলেছি কাগজ ঠিক হলে তার হিস্যা তাকে বুঝিয়ে দিবো আর একটা কথা তার চার মেয়ের বিয়ের সময় আমার ভাই তার মেয়ের বিয়ের খরচ বহন করেছে।
এবিষয়ে সিরাজদিখান থানার সাব ইন্সপেক্টর সাচ্চু বলেন, তারা ৩ মাস আগে একটা অভিযোগ করেছিলো। তাদের বলেছিলাম সামাজিক ভাবে মিমাংসা করার জন্য। পরে যখন বিবাদী মানে নাই তখন বলেছিলাম আদালতে বন্টন নামা মামলা করার জন্য। যাতে পরবর্তীতে আমরা আমাদের নির্দেশে আমরা ব্যাবস্থা নিতে পারি।
আজাদ নাদভী
০৬-০৩-২৫
আপনার মতামত লিখুন :