প্রকাশিত,০২, আগস্ট,২০২৩
পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
– চট্টগ্রামের পটিয়ায় হাইকোর্টের নির্দেশ উপেক্ষা করে শশাংকমালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাস বন্টন থেকে বাদ পড়লেন সাত শিক্ষক। তারা হলেন,সহকারী শিক্ষক
মৌসুমী দেব, সুমন দাশ, আক্তার জাহান চৌধুরী, আকলিমা বেগম, মোহাম্মদ নাছের উদ্দিন, তাহমিনা আক্তার ও শর্মিলা দাশ। ৭ শিক্ষক মহামান্য হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করলে হাইকোর্ট গত ৫ জুলাই তাদের বদলীর আদেশ স্থগিত করে। এরপর গত ৯ জুলাই জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার নিদের্শে তারা তাদের পূর্বে’র কর্মস্থল শশাংকমালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেন।
এরমধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে গত ১৬ জুলাই সুপ্রীম কোর্টের চেম্বার জজ আদালতে আপিল দায়ে করলে শুনানী শেষে চেম্বার জজ আদালত হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ ও রুলনিশির জবাব না দেওয়া পর্যন্ত হাইকোর্টের নির্দেশনা মেনে চলার পরামর্শ দিয়ে আবেদনটি খারিজ করে দেন। ফলে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ আপিল বিভাগেও বহাল থাকে। বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের সাথে পরিচালনা কমিটি’র এক সদস্য ও এক প্রতিবন্ধি শিক্ষিকার বিরোধকে কেন্দ্র করে গত ১৩ জুন একযোগে ১৭ শিক্ষককে বদলী করা হয়। এরমধ্যে ৭ জন শিক্ষক হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করলে ৭ শিক্ষকের বদলীর আদেশ স্থগিত করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়কে রুলনিশি জারি করে হাইকোর্ট। বদলী’র কারণে বিভিন্ন বিদ্যালয় থেকে ৭ জন শিক্ষক শশাংকমালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গত ৯ জুলাই যোগদান করেন। তাদের নতুন যোগদান করা প্রধান শিক্ষক দিলুয়ারা বেগম ক্লাস বন্টন করে দেন। কিন্তু বদলী আদেশ স্থগিত হওয়া ৭ শিক্ষকদের গত ৯জুলাই প্রথমে বিদ্যালয়ে যোগদান করাতে দেয়নি।হাইকোর্টের রায়ের সার্টিফিকেট কপি পেয়ে ১০জুলাই যোগদান করায়।যোগদান করার পর থেকে প্রতিদিন বিদ্যালয়ে হাজিরা দিয়ে বসে থেকে খোসগল্প করে সময় কাটিয়ে বাড়ি ফিরে যায়। তাদেরকে পাঠদানের জন্য এখনো কোন ক্লাস বন্টন করে দেওয়া হয়নি। এমনকি বিদ্যালয়ের কোন দাপ্তরিক কাজও তাদের করতে দিচ্ছে না । সরকার পক্ষ গত ৩০ জুলাই সুপ্রিম কোর্ট চেম্বার জজ আদালত পুর্নরায় রিভিউ আবেদন করলে আবেদনে খারিজ করেদেয় আপিল বিভাগ। বারংবার সাত শিক্ষকের বিরুদ্ধে আপিল মামলা খারিজ হলেও রহস্যজনক কারণে সাত শিক্ষককে ক্লাস বন্টন শ্রেণী শিক্ষার পাঠদানে বিরত রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী সাত শিক্ষক পরিবার।
প্রধান শিক্ষক দিলুয়ারা বেগম জানান, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার থেকে ক্লাস নেওয়ার অনুমতি না পাওয়ায় তাদেরকে ক্লাস বন্টন করা যাচ্ছে না। তবে স্কুলের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যয়ন ও কিছু দাপ্তরিক কাজ দেওয়া হচ্ছে। চট্টগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা চাইলে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে পারে। সাত শিক্ষকের বিষয় নিয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হাইকোর্ট আদেশ অমান্য করছেন বলে মনে করেন পটিয়া আইনজীবী সমিতি ও শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ।
সেলিম চৌধুরী
পটিয়া চট্টগ্রাম
০২/০৮/২৩ ইং।
আপনার মতামত লিখুন :