টুঙ্গিপাড়ায় দূবৃত্তদের হামলায় মৃতপ্রায় আহাদ আলী দারে দারে ঘুরছে বিচারের আশায়।


deshsomoy প্রকাশের সময় : ২০২৩-০৮-০৩, ৯:৪৭ অপরাহ্ন /
টুঙ্গিপাড়ায় দূবৃত্তদের  হামলায় মৃতপ্রায় আহাদ আলী দারে দারে ঘুরছে বিচারের আশায়।

প্রকাশিত,০৩, আগস্ট,২০২৩

মোঃ শিহাব উদ্দিন গোপালগঞ্জঃ

গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার গিমাডাঙ্গা গ্রামের মধ্যপাড়ার ব্যবসায়ী আহাদ আলী সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়ে আজও পড়ে আছে বিছানায়। সন্ত্রাসীরা তার মাথা সহ সমস্ত শরীর কুপিয়ে গুরুতর আহত করে প্রায় ১ বছর পূর্বে। আহাদ আলীর উপর হামলার ঘটনা বহুদিন হলেও আইনের দারস্ত হয়েও কোন বিচার সে পায় নাই।

সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, আহাদ আলী বিছানায় পড়া, তার মাথার এক পাশে বিশাল আকারে কোপের চিহ্ন রয়েছে। মাথায় যে কোপ চিহ্ন রয়েছে সেখানে সেলাই দেওয়া হয়েছে প্রায় ৩৬টি কপাল থেকে মাথার পিছে বিশাল আকারে ক্ষত চিহ্ন । সারা শরীরে কোপের চিহ্ন রয়েছে। মাথার আঘাতের কারনে প্রতিবন্ধীর মত পড়ে আছে বিছানায়।এ ব্যপারে খোজখবর নিলে দেখা যায় আহাদ আলী ও তার উপর সন্ত্রাসী হামলা কোন বিচারই সে পাই নাই।


মামলার গভীরে গেলে দেখা যায়, এই মামলার প্রধান আসামী সিরাজ ফকিরের ছেলে রিয়াজুল ইসলাম ওরফে ইমনকে এই সমাজের নোংড়া মাতবররা টাকার বিনিময়ে ২১ বছরের ভোটার আইডি কার্ড প্রাপ্ত রিয়াজুলকে নাবালক দেখিয়ে শিশু জেল প্রেরন করে। আইনের চোখে পট্টি পরিয়ে এই সকল অপকর্ম করেছে তারা। এটুকু করেই ক্ষ্যান্ত হয় নাই, টাকার বিনিময়ে ভুক্তভোগী ও তার পরিবারের লোক জনকে নানা বিধি ভয়ভীত দেখিয়ে জিম্মি করে স্বীকার উক্তি নিয়ে, জাহিদ শেখ, জের আলী, জাকির শেখ, হাফিজ শেখ, আব্দুল আজিজ শেখ ও ফরিদ ফকিরের মতো নামদাগী আসামীদের মামলা থেকে বাদ দেওয়ার ব্যাবস্থা করে দেন পুলিশ প্রশাসন ও ঐ সমাজের কিছু প্রভাবশালী লোকজন। মামলায় আরো একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয় পরিলক্ষিত হয় যে, আহাদ আলী শেখের উপর হামলায় তার মাথা ও শরীরের যে কোপের চিহ্ন রয়েছে তাতে তার বেঁচে থাকার কোন লক্ষন ছিল না। আল্লাহর অশেষ কৃপায় সে জানে বেঁচে যায়। তার মাথার ক্ষতস্থানে ছবিতে দেখা যায় চামড়া ভেদ হয়ে মাথার ভিতরের হাড্ডি দেখা যাচ্ছে, সেলাই লেগেছে প্রায় ৩৬ টি। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আহাদ আলী এখানেও সুবিচার পাই নাই। এ্যাটেম টু মার্ডার এর ধারা দিয়েছে ওরা ৩২৩/৩২৪, এটাই হচ্ছে এ সমাজের প্রভাবশালী ও তাদের ক্ষমতার দাপটের ফল।পূনরায় এ ব্যপাটা ক্ষতিয়ে দেখলে সব কিছু ধরা পড়ে যাবে বলে সকলে মনে করছেন 
এ ব্যপারে ভুক্তভোগী আহাদ আলী বলেন, ঘটনার দিন আমি যখন শুনলাম আমার ভায়ের ছেলেকে নতুন বাজারে মাছ বাকিতে কেনাবেচা কে কেন্দ্র করে মারধর করছে। আমার বাড়ির লোকজন খবর শুনে ঘটনাস্থলে যেতে চাইলে আমি বাধা দেই এক পর্যায়ে আমি লুঙ্গিতে বেঁধে পড়ে যাই, সেই মুহুর্তে রিয়াজুল ওরফে ইমন এসে আমার মাথায় রামদা দিয়ে কোপ দেয়।খোকার ছেলে হাফিজ আমার মাজায় ষড়কী দিয়ে কোপ দেয়।জাকির আমার গলায় পোচ দেয়, আমার উপর এই হামলা নির্দেশ দেন জয়নাল শেখের ছেলে জাহিদ, সে সন্ত্রাসীদের কে আরো নির্দেশ দেয় আমাকে জানে মেরে ফেলার জন্য।আমি প্রায় ১ বছর বিছানায় পড়ে আছি।হাটাচলাও করতে পারি না, সন্ত্রাসীরা আমার জীবনটা নষ্ট করে দিয়েছে।আজ আমার এই পঙ্গুত্ব জীবনের দায় কে নেবে। আমি কোথাও কোন বিচার পাই নাই। টুঙ্গিপাড়া থানা পুলিশ, স্বাস্থ্য বিভাগ সহ আমার সমাজের মাতবর ও নেতাদের কাছে কোথাও কোন বিচার পাই নাই। সবাই শুধু আমার ব্যপারটা নিয়ে ফয়দা লুটেছে। আমার এই অবস্থার জন্য যারা দায়ী তাদের ঐ সকল সন্ত্রাসী ও সমাজপতি সহ সংস্লিষ্ঠ সকলের ব্যপারে তদন্ত করে বিচারের আওতায় আনা হোক, এই আবেদন আমি বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট একান্ত কামনা করছি।

এ ব্যপারে ভুক্তভোগীর সন্তান ফরমান আলী শেখ বলেন, আমাদের এই সমাজের কিছু আসাধু লোক, টুঙ্গিপাড়া থানা পুলিশ টাকার বিনিময়ে আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আমাদের মামলাটার মাজা ভেঙ্গে দিয়েছে। আমার বাবা এখন প্রতিবন্ধী হয়ে বিছানায় পড়ে আছে। সমাজের মাতবর ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের হস্তক্ষেপে আমার বাবার উপর হামলা কারীরা অবাধে খুরছে খোলা আকাশের নিচে। ওদের ভয়ে আমরা কথা বলতে পারছি না।আমার বাবার ব্যপারটা নিয়ে সমাজ পতিরা হাতিয়ে নিয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা। আজ আমার বাবা মৃতপ্রায়। আমরা আমার বাবার উপর হামলাকারীদের বিচার দাবী জানাচ্ছি। আমার বাবার মামলা নিয়ে যারা খেলেছে, তদন্ত সাপেক্ষে সেই সকল দোষি ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে বিচারের ব্যবস্থা গ্রহন করা হোক।