গোলখালী ইউনিয়নের কার্যক্রম বেগবান করতে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেলেন আবু সাঈদ আকন-আনন্দিত ইউনিয়নবাসী।


দেশ সময় প্রকাশের সময় : ২০২৫-১০-৩১, ৭:৪৬ অপরাহ্ন /
গোলখালী ইউনিয়নের কার্যক্রম বেগবান করতে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেলেন আবু সাঈদ আকন-আনন্দিত ইউনিয়নবাসী।
print news || Dailydeshsomoy

প্রকাশিত

সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ

পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতে ইউনিয়নের সেবা পেতে জনগণকে অনেক বেগ পেতে হয়।

আর অনুপস্থিত চেয়ারমানদের ইউনিয়নের মধ্যে গোলখালী অন্যতম। তাই গোলখালী ইউনিয়নের কার্যক্রম আরো বেগবান করতে জেলা প্রশাসক মহোদয় মো. আবু সাঈদ আকনকে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব অর্পণ করেছেন। একই সাথে প্রশাসক পদ থেকে উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মো. মাসুদ কে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।

পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শহীদ হোসেন চৌধুরী এর স্বাক্ষরিত (২৩ অক্টোবর বৃহস্পতিবার) এক পত্রের মাধ্যমে আবু সাঈদ আকন এ দায়িত্ব পেয়েছেন। তিনি উক্ত ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য। এছাড়াও তিনি ছিলেন এ ইউনিয়নের ১নং প্যানেল চেয়ারম্যান। মো. আবু সাঈদ আকন চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পাওয়ায় ইউনিয়নবাসী উচ্ছাস প্রকাশ করেন এবং তারা খুবই আনন্দিত।

এ বিষয় এলাকাবাসী গৌতম হাওলাদার, নাসিরউদ্দিন, জাকির হোসেন, কেসব দাস, জয়দেব সাধু সহ আরো অনেকে বলেন, আমাদের ইউনিয়নে উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মো. মাসুদ স্যার যদিও এখানে প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু তিনি তার নিজস্ব অফিসের কাজ করার পর আবার আমাদের ইউনিয়নে আসতেন। এতে আমরা সব সময় তাকে না পেয়ে অনেক কাজ সমাধা করতে পারতাম না।

আমাদের ইউনিয়নে ইউপি সদস্য মো. আবু সাঈদ আকনকে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়ায় আমরা জেলা প্রশাসক মহোদয়কে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। পাশাপাশি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মহোদয়কেও আমরা অভিনন্দন জানাচ্ছি। এখন আমরা ইউনিয়নের সেবা নিয়মিত পাব বলে আশা করি। এ বিষয়ে গোলখালী ইউনিয়ন পরিষদের সচিব রমিজউদ্দিন বলেন, মো. আবু সাঈদ আকন চেয়ারম্যান মহোদয় একজন পরিশ্রমী ব্যক্তি। তিনি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে ইউনিয়ন পরিষদ সকাল থেকে রাত অবধি কর্মচাঞ্চলে ব্যস্ত থাকে। এ বিষয়ে গোলখালী ইউনিয়নের নব দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. আবু সাঈদ আকন বলেন, সরকারি নীতিমালার বাহিরে কোন কাজ এই ইউনিয়ন পরিষদে হবে না। আমার ইউনিয়ন পরিষদ হবে জনগণের ইউনিয়ন, দুর্ণীতিমুক্ত ইউনিয়ন। এখন থেকে জন্মনিবন্ধন, জেলে চাল, ভিজিবি চাল, সকল প্রকার ভাতা স্বচ্ছতার ভিত্তিতে হবে। মানুষ যাতে সহজে অল্প সময়ের মধ্যে সকল প্রকার সেবা পেতে পারে এবং ভোগান্তীতে না পড়তে হয় সেই দিকে আমি নিজেকে মনোনিবেশ করব। আমি ইউনিয়নের সকলকে নিয়ে কাজ করতে চাই এবং সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।