ভবিষ্যত বিবেচনায় আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সি নিয়ে যুবক সাহিকুরের দুর্বার স্বপ্ন।


দেশ সময় প্রকাশের সময় : ২০২৪-১২-০৫, ১২:৪৭ পূর্বাহ্ন /
ভবিষ্যত বিবেচনায় আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সি নিয়ে যুবক সাহিকুরের দুর্বার স্বপ্ন।

প্রকাশিত,০৪,ডিসেম্বর

মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ

বর্তমান বিশ্ব ডুবে রয়েছে প্রযুক্তির মধ্যে। অধিকাংশ কাজ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সি ব্যবহার করে সম্পাদন করা যায়। মানুষের পরিশ্রম ও সময় দুইয়ের সঞ্চয় হয়। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে চর্চা চলছে রোবট ব্যবহার করে মানুষের ঝুকিপূর্ণ কাজ সমূহ সহজযোগ্য করা। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বলা যায় মাত্রই শুরু হয়েছে রোবট নিয়ে গবেষণা। শিক্ষার্থীদের মাঝে রোবট বিষয়ক জ্ঞান বৃদ্ধি, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সি সহজলভ্যতা বৃদ্ধি করতে পরিকল্পনা করছেন তরুণ শিক্ষার্থী সাহিকুর রহমান।

ষাইটশালা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের বাংলা শিক্ষক মো: মানিক মিয়ার সন্তান সাহিকুরের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার ডালপা গ্রামে। ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করার। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হয়ে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগে ভর্তি হন কুমিল্লা সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখান থেকে স্নাতক সম্পন্ন করে বর্তমানে স্কলারশিপ নিয়ে জাপানের কিয়োটো ইউনিভার্সিটিতে ওয়েব সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সি নিয়ে স্নাতকোত্তরে অধ্যয়নরত।

সচরাচর বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের দেখা যায় জাপানে উচ্চ শিক্ষার জন্য গিয়ে কাজের দিকে লক্ষ্য দেয় বেশি। কিন্তু সাহিকুর রহমান দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টায় পাওয়া সনামধন্য কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কলারশিপ নিয়ে পড়ার সুযোগ পুরোটাই জ্ঞান আহরণের জন্য কাজে লাগাতে আগ্রহী তিনি।

জেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা ভিত্তিক রোবোটিকস প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বিভিন্ন উপজেলায় গিয়ে প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সেই থেকে শিক্ষার্থীদের মাঝে রোবট ও এআই নিয়ে চিন্তার দরজা প্রসারিত করে দেন তিনি। তার দিকনির্দেশনায় প্রথম মুরাদনগরে বিভিন্ন স্কুল-কলেজে বর্তমান প্রজন্মে রোবট ও এআই নিয়ে পড়াশোনা ও গবেষণা বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল। তিনি বাংলাদেশ জাতীয় রোবোটিকস অলিম্পিয়াড-২০১৯ এর একজন গর্বিত অংশগ্রহণকারী।

সাহিকুর রহমান জনবাণীকে একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেন, পৃথিবীর সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলে আমাদের প্রযুক্তিখাতে ব্যাপক উন্নতি সাধন প্রয়োজন। দেশের শিক্ষার্থীদের ছোট হতেই রোবট তৈরী ও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সি সমন্ধে স্পষ্ট ধারণা দিতে পারলে বড় হয়ে তারা বিস্তর জ্ঞান আহরণের সুযোগ পাবে। দেশে উন্নত মানের রোবোটিকস প্রশিক্ষণের জন্য প্রচুর পরিমাণে কর্মশালা আয়োজন জরুরী। চ্যাটজিপিটি আবিষ্কার হয়েছে বেশি দিন হয় নি। আমরা কেনো পারবো না চ্যাটজিপিটি হতে ভালো কিছু তৈরী করতে? আমাদের তরুণদের সুপ্ত গুণ গুলো জাগিয়ে তুলতে হবে। বাংলাদেশে প্রতিটি ক্ষেত্রে আধুনিকতার ছোঁয়া আনতে হবে। রাস্তায় কেনো স্পিড গান নিয়ে ট্রাফিক বসে থাকতে হবে? এআই টুল দিয়ে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে গতিসীমা পরিমাপ করা হবে। এসব প্রযুক্তি নিয়ে আমরা নিজেরা কাজ করলে তৈরীতে খরচ অনেকটা কমে আসবে।