সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের সুবাদে অনুপযোগী ঘরটি পরিদর্শন করেন নকলা উপজেলা প্রশাসন।


deshsomoy প্রকাশের সময় : ২০২১-১১-০২, ১০:৪৭ অপরাহ্ন / ১৫
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের সুবাদে অনুপযোগী ঘরটি পরিদর্শন করেন নকলা উপজেলা প্রশাসন।

প্রকাশিত,০২, নভেম্বর,২০২১

শেরপুর নকলা প্রতিনিধিঃ

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দেখে টালকি ইউনিয়নের জুলহাস মিয়ার বসবাসের অনুপযোগী ঘরটি পরিদর্শন করেন নকলা উপজেলায় প্রশাসন মোস্তাফিজুর রহমান।

শেরপুর নকলা উপজেলার ৭নং টালকি ইউনিয়নের চর কামানিপাড় গ্রামের অসহায় জুলহাস মিয়া (৬৫) এর পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে।

জুলহাস মিয়ার বসত ঘরটি বসবাসের অনুপযোগী। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাছিনার গৃহ হীনদের ঘর উপহারের কথা শুনে আশার আলো দেখতে পায়। তিনি একটি ঘরের আশায় জনপ্রতিনিধি এবং প্রশাসনের দারস্থ হন । জনপ্রতিনিধি এবং প্রশাসন প্রতিশ্রুতি দেন ঘর হবে এবং অপেক্ষা করতে বলেন।

অপেক্ষা করতে থাকেন
মাথা গোঁজার ঠাঁই হবে, নিজ জমিতে গৃহনির্মাণ হবে কষ্টের অবসান ঘটবে এই আনন্দে আত্মহারা এই বৃদ্ধা।
স্বপ্ন সুন্দর স্বপ্ন ভাঙ্গার ব্যাথা বড় নিদারুণ।
চোখের সামনে অনেকেই সেই স্বপ্নের ঘর পেয়ে যায়, কিন্তু জুলহাস মিয়ার নাম প্রধান মন্ত্রীর উপহার থেকে বাদ পড়ে যায়।

ইতিমধ্যে প্রশাসনের রদবদল হয়।গত ৪ ঠা অক্টোবর নবাগত উপজেলা প্রশাসন মোস্তাফিজুর রহমান যোগদান করেন।

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্ণধার অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী আবু শরিফ কামরুজ্জামান তার ফেসবুক প্রোফাইলে গত ১৬ মে গৃহহীন জুলহাজ মিয়ার অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরেছিলেন। দীর্ঘ দিনের পুরানো পোষ্ট, মানবিক উপজেলা প্রশাসন মোস্তাফিজুর রহমান সাহেবের নজর আসে। ফেসবুকে ঠিকানা অনুযায়ী গৃহহীন জুলহাস মিয়ার বসবাসের অনুপযোগী ঘরটি পরিদর্শন করেন।
আশা করছি এবার জুলহাস মিয়ার স্বপ্ন পূরন হবে।