গলাচিপায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুরগী ব্যবসায়ীকে মারধর।


deshsomoy প্রকাশের সময় : ২০২৪-০৪-২৯, ৯:২৯ অপরাহ্ন /
গলাচিপায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুরগী ব্যবসায়ীকে মারধর।
print news || Dailydeshsomoy

প্রকাশিত,২৯ এপ্রিল ২০২৪

সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ

পটুয়াখালীর গলাচিপায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুরগী ব্যবসায়ীকে মারধর করার খবর পাওয়া গেছে। গুরুতর আহত মুরগী ব্যবসায়ী হচ্ছেন উপজেলার রতনদী তালতলী ইউনিয়নের কামার হাওলা গ্রামের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত. মান্নান হাওলাদারের ছেলে মো. বশির হাওলাদার (৫৫)। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার (২৮ এপ্রিল) বিকাল ৩ টায় রতনদী তালতলী ইউনিয়নের কামার হাওলা গ্রামের মাদবর বাড়ির দরজায়। আহত বশির হাওলাদারকে এলাকাবাসী উদ্ধার করে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার মো. মেজবাহউদ্দিন জানান, আহত বশির হাওলাদার আমার চিকিৎসাধীনে ২য় তলায় ৮ নম্বর বেডে ভর্তি আছে। তার শরীরের বিভিন্ন অংশে কালো কালো দাগ আছে। তার বুকে ও পেটে চোট লেগেছে এবং মাথায় কোপ লেগেছে তাতে সেলাই করা হয়েছে। আহত বশির হাওলাদার জানান, গত গতকাল রবিবার বিকাল ৩ টায় আমাদের গ্রামের মাদবর বাড়ির দরজায় আমার রাজহাঁসে ধান খাওয়ায় প্রতিপক্ষের সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে চড়াও হয়ে রনি পাঠান, সাহিন পাঠান, হেলাল মাদবরসহ আরো অনেকে একত্রিত হয়ে আমাকে মারধর করে। আমার ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী এসে পড়লে মারধরকারীরা পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী আমাকে উদ্ধার করে গলাচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ বিষয়ে আহত বশির হাওলাদারের স্ত্রী জবেদা বেগম বলেন, পোষা প্রাণী মানুষের বাড়িতে যেতে পারে। কিন্তু আমার রাজহাঁস যদি ওদের ধান খেয়ে থাকে তাহলে আমাদেরকে বললেই হত। আমরা ধানের ক্ষতিপূরণ দিয়ে দিতাম। এর জন্য আমার স্বামীকে মারার কোন প্রয়োজন ছিল না। আমি এর বিচার চাই। এ বিষয়ে রনি ও সাহিন পাঠানের কাছে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তাদের ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রিয়াজ খলিফা জানান, বিষয়টি আমি আপনাদের মাধ্যমে শুনেছি। ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে জানাব। এ বিষয়ে রতনদী তালতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মস্তফা খান জানান, দু’পক্ষকে ইউনিয়ন পরিষদে ডেকে মীমাংসার ব্যবস্থা করব। গলাচিপা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ফেরদৌস আলম খান বলেন, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।