পটিয়া আজিমপুরে শিশু জুবায়েদ  হোসেন হত্যার ৬ বছরের বিচারের আলোর মুখ দেখেনি, অধরাই আসামিরা? 


দেশ সময় প্রকাশের সময় : ২০২৫-১০-৩১, ৭:৫২ অপরাহ্ন /
পটিয়া আজিমপুরে শিশু জুবায়েদ   হোসেন হত্যার ৬ বছরের বিচারের  আলোর মুখ দেখেনি, অধরাই আসামিরা? 
print news || Dailydeshsomoy

প্রকাশিত

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার কচুয়াই ইউনিয়নে ৫ নম্বর ওয়ার্ড আজিমপুর মুন্সি বাড়িতে শিশু জুবায়েদ হোসেন (৭) পারিবারিক জায়গা জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ২০২০

 সালে  ২২ মার্চ  হত্যাকান্ড ঘটনা ঘটে। এঘটনায় শিশু জোবায়েদ হোসেন এর পিতা মোহাম্মদ ফারুক বাদী হয়ে একই এলাকার মধু মিয়া, খরাতি মিয়া, মো: আরাফাত, মো: আবু, নিপা আক্তার, মাহিম, রোকেয়া বেগম আসামি করে পটিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে সিআর  মামলা নং ৯৭/২০২০ দায়ে করেন। মামলাটি ৪ দফা পিবিআই তদন্ত করে। বর্তমানে আসামিরা পলাতক রয়েছে। দীর্ঘদিন শিশু জোবায়েদ হোসেন হত্যার আসামিরা ধরা ছুঁয়ার বাইরে রয়েছে বলে মোহাম্মদ ফারুক অভিযোগ তুলেন। মামলাটি দীর্ঘ ৬ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো বিচারের 

আলোর মুখ দেখেনি?  এমন অভিযোগ নিহতের  পিতা মোহাম্মদ ফারুকের। মামলার এজাহার সুএে জানাযায় মোহাম্মদ ফারুক এর সাথে প্রতিবেশি মধু মিয়া গংদের  মধ্যে বাড়ির  জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। এ নিয়ে ২০১৭ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত একাধিকবার মামলা হামলার শিকার হন ফারুক ও তার স্ত্রী। ঐ সময় থানায় একাধিক অভিযোগ করে।  সর্বশেষ ২০২০ সালে ২২ মার্চ ফারুকের শিশু ছেলে জোবায়েদ হোসেন কে খেলার চলে ডেকে নিয়ে হত্যা করে পুকুরে ফেলে দেয় বলে শিশুটি পিতা মোহাম্মদ ফারুক এর অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করেন।

 মোহাম্মদ ফারুক জানান, আমার ছেলে মোহাম্মদ জোবায়েদ হোসেন (৭) কে প্রতিপক্ষ আসামিগণ বাড়ি জায়গা জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে  প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে হত্যা করে। দীর্ঘ ৬ বছর অদৃশ্য শক্তির ইশারায় আসামিরা বাইরে  রয়েছে, 

ফলে মামলা তদন্তকাজে ব্যাহত করছে আসামিরা। এছাড়াও মোহাম্মদ ফারুক অভিযোগ করে পিবিআই তদন্ত কর্মকর্তা টাকার বিনিময়ে আসামিদের পক্ষে প্রতিবেদন দিচ্ছে। মোহাম্মদ ফারুক তার ছেলে জোবায়েদ হোসেন হত্যার আসামিরা মামলা প্রত্যাহার করার নানান ধরনের হত্যার  হুমকি,ধামকি ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। ফারুক তার ছেলে হত্যার জড়িতদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে উর্ধতন পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। মোহাম্মদ ফারুক পেশায় একজন রিকশা চালক, ছেলে হত্যার বিচার চাইতে গিয়ে এখন পথে পথে ঘুরে বেড়াচ্ছে। প্রতিবেদকের কাছে বার বার অনুরোধ করেন  তার ছেলে হত্যাকান্ড রহস্য উন্মোচন করে আসামিদের গ্রেপ্তারের সহায়তা করার জন্য।