২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল উল্টে দেওয়ার যড়যন্ত্র ও পরে ক্যাপিটল ভবনে হামলার ঘটনায় সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
যদিও রিপাবলিকান এই রাজনীতিবিদ এর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ও এই মামলাকে তিনি ‘উদ্ভট’ বলে উল্লেখ করেছেন।
তাছাড়া দেশের গোপনীয় দলিলপত্র নিজের কাছে রাখা ও একজন পর্ন তারকাকে ঘুষ দেওয়ার বিষয়টি গোপন রাখার জন্য তথ্য জাল করেছেন এমন অভিযোগে তার বিরুদ্ধে আরও দুইটি মামলা রয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) ওয়াশিংটন ডিসির একটি আদালতে নির্বাচনী ফলাফল উল্টে দেওয়ার ষড়যন্ত্র মামলার বিষয়ে শুনানি হয়েছে। এসময় আদালতে উপস্থিত হয়ে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছে মার্কিন সাবেক এই প্রেসিডেন্ট। যদিও এ বিষয়ে তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বয়স ৭৭ এবং তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে সেগুলো প্রমাণিত হলে কারাদণ্ডের মতো কঠিন শাস্তিও হতে পারে।
এই মামলার বিচার যে বিচারকের তত্বাবধানে অনুষ্ঠিত হবে সেই টানিয়া চুটকানকে নিয়োগ দিয়েছেন আরেক সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। ক্যাপিটল হিলে ৬ জানুয়ারি হামলার ঘটনায় দায়ের করা অন্যান্য মামলায় এরই মধ্যে তিনি কঠোর সাজা দিয়েছেন।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের গোপনীয় দলিলপত্র অব্যবস্থাপনার যে অভিযোগ আনা হয়েছে সেটা প্রমাণিত হলে তার ২০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। তাই প্রশ্ন উঠেছে তিনি শাস্তি পেলে কী আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন?।
এর আগে মার্কিন রাজনীতিবিদ লিন্ডন লারুশ জালিয়াতির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়া সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রের আইনের অধীনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মোট আটবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুসারে ফৌজদারি অপরাধে কেউ অভিযুক্ত হলে, এমনকি জেলে থাকলেও, তিনি নির্বাচনে দাঁড়াতে পারেন।
এর আগে ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়ে অন্তত দুজন রাজনীতিবিদ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।
সূত্র: সিএনএন, বিবিসি
আপনার মতামত লিখুন :