গলাচিপায় মামলার রায় পুনর্বহালের দাবীতে পথে পথে ঘুরছে কবির।


দেশ সময় প্রকাশের সময় : ২০২৫-০৫-১৫, ৮:১৪ অপরাহ্ন /
গলাচিপায় মামলার রায় পুনর্বহালের দাবীতে পথে পথে ঘুরছে কবির।

তপ্রকাশিত

সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ

পটুয়াখালীর গলাচিপায় জমিজমার বিরোধ নিয়ে আদালতের রায় পুনর্বহালের দাবীতে পথে পথে ঘুরছে কবির।
কবির (৪০) হচ্ছেন উপজেলার গলাচিপা সদর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড মুরাদনগর গ্রামের মোহাম্মদ হাওলাদারের ছেলে। এ বিষয়ে কবির বলেন, জমিজমার বিরোধ নিয়ে আদালতে মামলা হলে দীর্ঘ বছর ধরে মামলাটি আদালত কাগজপত্র যাচাই বাছাই করে আমাদের পক্ষে মামলাটির রায় প্রদান করেন। যার দেং মোং নং- ৭০/০৯। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বিবাদী পক্ষ বাদী হয়ে উল্টো আমার বিরুদ্ধে দেওয়ানী মামলা করে। সেই মামলায়ও আদালত আমাদের পক্ষে রায় প্রদান করে। তারা আদালতে তাদের কোন কাগজপত্র দেখাতে না পারলে আদালত মামলা খারিজ করে দেয়।

পরে প্রতিপক্ষরা আমাকে অযথা হয়রানী ও হেরাজ করার জন্য উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অহেতুক আমার বিরুদ্ধে ১৪৪/১৪৫ ধারায় একটি এমপি মামলা দায়ের করে। যার এমপি মামলা নং- ৩৬৪/১৭। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে ঘটনাস্থল পরির্দশন করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন। সেখানে উভয় পক্ষের কাগজপত্র পর্যালোচনা করে আমার কাগজ সঠিক থাকায় আমার পক্ষে প্রতিবেদন দাখিল করে।
সেই মামলায়ও আদালত আমার পক্ষে রায় প্রদান করে। এভাবে অনেকবার আমার বিরুদ্ধে হয়রানীমূলক মামলা করতে থাকে। প্রতিপক্ষরা আদালতের কোন রায়ই মানতে চায় না। তারা জোর পূর্বক আমার জমি দখলের ষড়যন্ত্র করছে এবং পরবর্তীতে পটুয়াখালী জেলা জজ কোর্টে নতুন করে আমার বিরুদ্ধে ৭০/২০০৯ নং আরো একটি মামলা করে। পরবর্তীতে মামলাটি অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতে স্থানান্তর করে সেখান থেকে রিভিশনের জন্য গলাচিপা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করেন। তিনি আরো বলেন, আমি এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছি। প্রতিপক্ষরা মামলাবাজ। মামলা করে হয়রানী করাই তাদের কাজ। এতগুলো মামলা চালাতে চালাতে আজ আমি অসহায় হয়ে পড়েছি।

এখন নতুন করে মামলা চালানোর মত কোন সামর্থ্য নাই। তাই আমি সকলের কাছে দাবী জানাই যে, আমার কাগজপত্র পর্যালোচনা করলে আমার জমির সত্যতা পাওয়া যাবে। এ বিষয়ে আমি বিজ্ঞ আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এ বিষয়ে প্রতিপক্ষ কাদের হাওলাদার, হাফেজ হাওলাদার, আমির হাওলাদার গংদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, ওখানে আমাদেরও জমি আছে। আদালতে সবারই মামলা করার অধিকার আছে। এ বিষয়ে গলাচিপা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর হোসেন টুটু বলেন, আসলেই কবির গং অসহায় গরিব মানুষ। জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে একাধিকবার বসাবসি হলেও দুপক্ষকে মিলাতে পারি নাই। মামলা চালাতে গিয়ে কবির গং নিস্ব হয়ে যাচ্ছে। আদালতে মামলা থাকায় কোন সালিশীও করা যাচ্ছে না।