প্রকাশিত,১৪,নভেম্বর
মারুফ সরকার, রিপোর্টার :
আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন কার্যালয় ১০—বি (লিফটের ১০), মেহেরবা প্লাজা, ৩৩ তোপখানা রোড, ঢাকায় বাংলাদেশ ভূমিহীন আন্দোলনের উদ্যোগে “উত্তরবঙ্গ তথা কৃষক প্রতিনিধি থেকে উপদেষ্টা নিয়োগের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন” অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলন উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ভূমিহীন আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সেখ নাছির উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ ছামিউল আলম রাসু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন আলম, অর্থ সম্পাদক শামসুউদ্দিন রাকিব, দপ্তর সম্পাদক মোঃ মহসিন, লালমনিরহাট জেলার সাধারণ সম্পাদক মোঃ আশরাফুল আলম, রাকসু আন্দোলন মঞ্চের সমন্বয়ক মোঃ আব্দুল মাজেদ অন্তর, দলিত মানবাধিকার কর্মী ভীম পল্লী ডেভিড রাজু প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে আপনাদের উপদেষ্টা প্রতিনিধি কে এমন প্রশ্নের জবাবে বক্তারা বলেন, আমাদের কাছে মাঠ থেকে এ পর্যন্ত পাঁচ জনের নাম উঠে এসেছে। এ আন্দোলনের অন্যতম মাষ্টার মাইন্ড উত্তরবঙ্গের কৃতি সন্তান জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব মোঃ আক্তার হোসেন, লেখক সংগঠক গণ বুদ্ধিজীবী মোঃ নাহিদ হাসান নলেজ, ভূমিহীন ও কৃষক নেতা সেখ নাছির উদ্দিন, আদিবাসী প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকার আদায়ের সৈনিক মোঃ ছামিউল আলম রাসু, দৈনিক করতোয়া ও দৈনিক ভোরের দর্পনের সম্পাদক ও প্রকাশক, লেখক, সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মোজ্জামেল হক (লালু)। আরো নাম যাচাই—বাছাই হয়ে আসছে। আমরা উত্তরবঙ্গ থেকে অন্তত ১৫ জন উপদেষ্টা চাই।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, ১৯৫২, ১৯৭১, ১৯৯০ ও সর্বশেষ ২০২৪ সকল আন্দোলনে উত্তরবঙ্গের মানুষ জীবন দিয়ে সফলতা এনেছে। কিন্তু এর সুফল প্রান্তিক জনগোষ্ঠী পায়নি। বিগত দিনের যেসব উপদেষ্টা নিয়োগ হয়েছে তা প্রশ্নবিদ্ধ—বিতর্কিত। তাই স্বচ্ছতার ভিত্তিতে জনগণের সাথে আলোচনা—পর্যাআলোচনা করে উত্তরবঙ্গের অন্তত ১৫ জন উপদেষ্টা নিয়োগ দেওয়া হোক। আমরা এ সরকারকে জনগণের সরকার মনে করি। আমরা প্রান্তিক জনগোষ্ঠী এ সরকারকে সহযোগিতা করতে চাই। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে উত্তরবঙ্গের জন্য সারাদেশের জন্য প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কি করবেন তা দৃশ্যমান করতে হবে। আহত নিহতের সঠিক পরিসংখ্যান এবং তাদের পাশে ভালোভাবে দাঁড়াতে হবে। শহীদদের ডেড সার্টিফিকেট না দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে, শহীদের নামের তালিকায় নাম উঠাতে তাদের বিভিন্ন হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। বাজার সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে হবে। এদেশের ৬৩ % মানুষ ভূমিহীন—গৃহহীন তাদের জীবনমানের এখনো দৃশ্যমান কোন উন্নয়ন হয়নি। আপনারা যদি বৈষম্য দূর করতে না পারেন, স্বৈরাচারী দোষরদের যদি বিদায় না করেন উল্টো তাদের পুনর্বাসন করেন তা না হলে এ সরকারকেও বিদায় করতে জনগণ বাধ্য হবে।
আপনার মতামত লিখুন :