আওয়ামী লীগের দোসর বাগেরহাটের ডিসি ও ইউএনও বিরুদ্ধে যত অভিযোগ।


দেশ সময় প্রকাশের সময় : ২০২৫-০৫-২২, ৩:৩৮ অপরাহ্ন /
আওয়ামী লীগের দোসর বাগেরহাটের ডিসি ও ইউএনও বিরুদ্ধে যত অভিযোগ।

প্রকাশিত

মারুফ সরকার, প্রতিবেদকঃ

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল হাসান ও
বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুদীপ্ত কুমার সিংহর যত অপকর্ম- শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ যখন ছাত্র জনতার উপর নির্বিচারে গণহত্যা চালাচ্ছিল তখনও শেখ মুজিবের ছবি পোস্ট করে আওয়ামী লীগপ্রীতি জানান দেন তিনি। আওয়ামী লীগ পতনের পরও শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনার সমস্ত বইপত্র অফিসে রেখে দিয়েছেন।

জোরপূর্বক ব্যক্তিগত জমিতে সরকারি ঘর নির্মাণ। ভুক্তভোগী মামলা করলেও সেটির তোয়াক্কা করেননি ইউএনও।আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন আওয়ামী লীগের উপজেলা চেয়ারম্যান রায়হান উদ্দিন শান্তর(বদিউজ্জামান সোহাগের শ্যালক) কথামতো কাজ করেছেন।
তার কথামতো তার কর্মী ব্যতিত অন্যদের জেলে কার্ড থাকা স্বত্ত্বেও চাউল দিতে দেননি ইউএনও।গত বিজয় দিবস(২০২৪) পালনে বিভিন্ন জায়গা থেকে লাখ লাখ টাকা চাঁদা আদায়।
তার দায়িত্ব পালনে চরম অবহেলায় কাজ চলমান এমন ব্রীজের প্রায় ৫টন রড চুরি। জানা গেছে, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগের সহযোগিতায় তিনি শরণখোলা উপজেলায় আসেন এবং এখনও আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। ৬মে ২০২৪ অর্থাৎ আওয়ামী লীগের সময়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে শরণখোলা উপজেলায় যান এবং এখনও একই উপজেলায় বহাল তবিয়তে থাকায় আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি, প্রতিদিন চুরি ডাকাতি-সরকারি জমি দখল-চর দখল হচ্ছে কিন্তু নিজে আওয়ামী লীগ হওয়ার কারণে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছেন না।

আওয়ামী লীগের অসমাপ্ত কাজগুলো থেকে কমিশন বাণিজ্য এবং কাজ না করে টাকা আত্মসাতের বিস্তর অভিযোগ ও প্রমাণ রয়েছে।
উপকূলীয় উপজেলা হওয়ায় চরম পানি সমস্যায় ভুগতে হয় উপজেলাবাসীকে যেজন্য পানি সংরক্ষণের জন্য ট্যাংকি বরাদ্দ হলেও পানির ট্যাংকি দিতে ব্যর্থ হন ইউএনও, পরবর্তীতে সেনাবাহিনী বর্ষা মৌসুম শেষে পৌঁছে দেন, তবে ইউএনওর এই ব্যর্থতার কারণে মূল সমস্যাগ্রস্থরা পাননি। এভাবে ৫ই আগস্টের পরে জেলে কার্ডের চাউল মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞার সময়টাতে পাননি কোনো জেলে। যার ফলে খুবই খারাপ সময় পার করেন জেলেরা। বাবুল দাস যিনি একই সাথে সরকারি কলেজের শিক্ষক আবার সাংবাদিকতা(যুগান্তর-দৈনিক পূর্বাঞ্চল) পেশায়ও রয়েছেন। আওয়ামী লীগের সময়ে মিথ্যা নিউজ করে জামায়াত-বিএনপি নেতাদের বহুবার হয়রানি করেছেন, ছিলেন হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের উপজেলার আহ্বায়ক। আওয়ামী লীগের সময়ে চরম সুবিধাভোগী এবং জামায়াত-বিএনপি নেতাদের হয়রানি করা এই ব্যক্তিকে এখনও বর্তমান ইউএনওর সাথে সবসময় দেখা যায় এবং জানা গেছে, উপজেলায় হিন্দু সিন্ডিকেট করে বিভিন্ন অর্থনৈতিক সুযোগ সুবিধা দিচ্ছেন বাবুল দাসকে উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানরা পলাতক থাকলেও তাদেরকে উপস্থিত দেখাচ্ছেন ইউএনও।

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল হাসানের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ: শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না কারণ হিসেবে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে জানা গেছে তিনি নিজেও আওয়ামী দোসর এবং তার সামনেই বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ‘জয় বাংলা’ শ্লোগান দিয়েছে।
এ ঘটনায় সিভিল সার্জন চাকরি হারালেও ডিসি কামরুল হাসান স্বপদে বহাল। টাকার বিনিময়ে যারা জেলা প্রশাসক হয়েছেন এবং দুদকে তদন্ত চলছে এমন ৬৫ জনের মধ্যে রয়েছে বাগেরহাট জেলা প্রশাসক কামরুল হাসানেরও নাম। শহীদ পরিবার, ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী বিএনপি-জামায়াতের সাথেও খারাপ ব্যবহার করেন। তার বিরুদ্ধে মানববন্ধনও হয়েছে। জানা গেছে, মাঠ প্রশাসনে কাজের অভিজ্ঞতা নেই এজন্যই সেবা বঞ্চিত হচ্ছে বাগেরহাটের মানুষ এবং আওয়ামী লীগ পুনর্বাসনে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।ডিসি হয়ে বাগেরহাটে এসেই আওয়ামী লীগের সময়ে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ গণমাধ্যম নয়া দিগন্ত, ইনকিলাব তার দপ্তরে নিষেধ করে দেন।