প্রকাশিত,১০,মে,২০২৪

গাজীপুর প্রতিনিধিঃ

গাজীপুরের কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের বিজয় প্রার্থী আমজাদ হোসেন স্বপনের মোটরসাইকেল প্রতীকের সমর্থকদের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে এডভোকেট আশরাফি মেহেদীর সমর্থকের সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম তোরুণ লোকজনের বিরুদ্ধে অফিস ও ভাঙচুর অভিযোগ উঠেছে এরই মধ্যে হামলার ভিডিও ফেসবুক সহ বিভিন্ন জায়গায় ভাইরাল হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায় উপজেলার মুক্তারপুর ইউনিয়নে ৯ই মে রাত ৮ ঘটিকর সময় সিসি ফুটেজে দেখা যায়, ১৫-২০ জন যুবক দেশীয় অস্ত্র রাম দা, হকেস্টি হাতে মুক্তারপুর ইউনিয়নের ৮ ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শামসুল আলম এর বাড়ি ও অফিস ভাঙচুর করতে দেখা গেছে। এরা অন্তত দশটি বাড়িঘর ভাঙচুর করে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছেন ।
এর আগেও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার পরাজিত প্রার্থী মেহের আফরোজ চুমকির লোকজনের উপরসহ বাড়ি ঘর ভাঙচুরের অভিযোগ ফুটেছে সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম তরুণ ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে। এবার একই পদ্ধতি অবলম্বন করে উপজেলা নির্বাচনে একই কায়দায় হামলাও ভাঙচুর করে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে কালিগঞ্জ থানা পুলিশের একটি দল যান এবং পুলিশ এলাকায় টহল দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম তরুণের সাথে মুঠোফোনে রাতে কথা হলে তিনি জানান তার লোকজন ভাঙচুর করে নাই আমি এখন আম পাবলিক আমার কোনো লোকজন নাই। ইউপি সদস্য আলম বিজয় মিছিল করার সময় তার লোকজন কয়েকজন বাড়ির বাউন্ডারি ভাঙচুর করেছে ।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ইউপি সদস্য শামসুল আলম জানান আমি কোন বিজয় মিছিল করি নাই কেউ একটি ভিডিও দেখাতে পারবে না এটা তোরা মিথ্যা কথা বলছে। এর আগেও সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম তরুণ ও তার ভাই মিলে বহু বাড়িঘর ভাঙচুর করেছে এবং বহু লোকজনের উপর হামলা চালিয়ে আহত করেছে।
এই উপজেলা নির্বাচনের আগের দিন রাতে নাসু মার্কেট এলাকায় আওয়ামী লীগের সভাপতি সহ যুবলীগ না থাকে পিটিয়ে যখন করেছে এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অফিসার ইনচার্জ মাহতাবউদ্দিন জানান এ বিষয়ে আমার পুলিশ কাজ করছে।