পুলিশ প্রশাসনের চাপে আন্দোলন ছেড়ছেন জবি কোটা আন্দোলনের নেতারা।


deshsomoy প্রকাশের সময় : ২০২৪-০৭-১১, ১০:৫৬ অপরাহ্ন /
পুলিশ প্রশাসনের চাপে আন্দোলন ছেড়ছেন জবি কোটা আন্দোলনের নেতারা।
Print News || Dailydeshsomoy

প্রকাশিত,১১,জুলাই, ২০২৪

আহমদ জুবায়ের, জবি প্রতিনিধিঃ

কোটা সংস্কার আন্দোলনে দুই সপ্তাহ যাবৎ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়( জবি)চলমান আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী নেতারা আন্দোলন ছেড়েছ।এতে আন্দোলনকারীরা বিভক্ত হয়েছে।একটি অংশ আন্দোলনে শাহবাগে অংশগ্রহণ করলোও আরেকটি অংশ দুই সপ্তাহের আন্দোলনে থাকলোও আজকের আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেনি।

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই)বিভিন্ন সুত্র বলছে, পুলিশ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের চাপে তারা নেতৃত্ব ও আন্দোলন ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন।তাদের আন্দোলনে নেতৃত্ব ছাড়ার বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পক্ষ হতে নিশ্চিত হয়া গেছে।

এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড.অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন বিকালে জানান, আমাদের ক্যাম্পাসে যারা এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছিল, তারা একধরনের পদত্যাগ করে সরে গেছে এই আন্দোলন থেকে। পরবর্তীতে ৬০০-৭০০ সাধারণ শিক্ষার্থী জোর করে বের হয়ে ভিক্টোরিয়া পার্কের সামনে গেলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। এরপর ২০০-৩০০ জন সেই বাধা অতিক্রম করে সামনের দিকে অগ্রসর হওয়ার খবর পেয়েছি।

আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী কয়েকজন নেতা জানান, দায়িত্বরত পুলিশের পক্ষ হতে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া নেতাদের চাপ দেওয়া হয়েছে এবং আন্দোলনে নেতৃত্ব যেন না দেয় সেজন্য ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন পক্ষ থেকেও চাপ প্রয়োগ করা হয়েছে বলে জানা যায়।

তবে, আন্দোলন ছেড়ে যাওয়া নেতারা বিষয়টি স্বীকার না করলোও আন্দোলনের আরেক অংশের কয়েকজন তা স্বীকার করেছেন।

এ বিষয়ে আন্দোলনের সমন্বয়কারী নেতা জসিম উদ্দিন বলেন, আমরা আজকে আন্দোলনে যায়নি। আমাদের ৩৫ জনের একটি সেচ্ছাসেবক দল আছে যারা কোটা আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছিল। কিন্তু অধিকাংশ স্বেচ্ছাসেবকের নিবন্ধন পরীক্ষা থাকায় প্রস্তুতি কারণে আজকের আন্দোলন অংশগ্রহণ তারা করেনি।

আরেক সমন্বয়কারী সাজ্জাদ হোসেন মুন্না বলেন, নিবন্ধন পরীক্ষার থাকার কারণে আমিও আন্দোলনের অংশগ্রহণ করেনি। তবে কয়েকজন ক্যাম্পাসে থাকার পরেও আন্দোলনে যায়নি।

তবে আন্দোলন কয়েকজন সমন্বয়কারী জানান, কোটা আন্দোলনের নেতাদের আন্দোলন ছাড়ার জন্য প্রশাসনের পক্ষ হতে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করা হয়েছে। সেকারণে নেতৃত্বের একটি অংশ নেতৃত্ব এবং আন্দোলন ছেড়ছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা বলেন, পুলিশী চাপে অনেকে আন্দোলন না গেলেও আমি সাধারণ শিক্ষার্থীর সাথে বিশাল এক মিছিল নিয়ে শাহবাগে অবস্থান করছি।

আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থী শাহিন আলম শান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের আন্দোলনে যেতে নিরুৎসাহিত করছেন। এর মধ্যে সাধারণ শিক্ষার্থীরা কোনো নেতৃত্ব ছাড়াই শাহবাগের দিকে গিয়েছে। আমাদের নেতৃত্ব মানা হচ্ছে না।

সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানান, যারা এযাবৎ আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন তারা হঠাৎ পিছু হটায় আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিচলিত না। বরং সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন সমন্বয়ক তৈরী করে আন্দোলনকে বেগবান করা হবে। দাবী পূরণ না হওয়া পর্যন্ত সাধারণ শিক্ষার্থীরা রাজপথে থাকবে।

এ বিষয়ে, কোতোয়ালি জোনের এ ডি সি বদরুল আলম জানান, যেহুতু কোটা ব্যবস্থা সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃক নির্ধারিত। এটার বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নিলে সেটা আইনানুগ হতে হবে। সেটা আমরা আন্দোলনকীরীদের সংবেদনশীলতার সাথে বুঝিয়েছি। লিখিত বা মুচলেখা না দিলেও আন্দোলনকারীদের একটা অংশ আমাদের কথা দিয়েছে যে তারা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করবে না।

আহমদ জুবায়ের