গোপালগঞ্জে প্রচন্ড তাপদাহে তালশাঁসে স্বস্তি খুঁজছেন পথচারীরা।


deshsomoy প্রকাশের সময় : ২০২৪-০৫-২৬, ১১:০৬ অপরাহ্ন /
গোপালগঞ্জে প্রচন্ড তাপদাহে তালশাঁসে স্বস্তি খুঁজছেন পথচারীরা।
Print News || Dailydeshsomoy

প্রকাশিত, ২৬,মে,২০২৪

মোঃ শিহাব উদ্দিন গোপালগঞ্জ

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার রাস্তার মোড়ে মোড়ে তালশাঁস বিক্রির ধুম পড়েছে। পাশাপাশি বিক্রি হচ্ছে তালের রস ও ডাব। তবে তালের রস ও ডাবের চেয়ে এখন বেশি বিক্রি হচ্ছে তালশাঁস। তীব্র গরমে তালের শাঁসে থাকা জলীয় অংশ শরীরে পানির চাহিদা পূরণ করছে বলে মনে করছেন অনেকে।

সরেজমিনে ঘুরে গোপালগঞ্জের উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় তালের শাঁস বিক্রি করতে দেখা গেছে। অনেকে ভ্যানে করে ঘুরে ঘুরেও বিক্রি করছেন তালশাঁস। দিনে রোদের তাপমাত্রা বাড়ার সাথে সাথে বাড়ছে তালের শাঁসের চাহিদাও। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলে বিক্রি। গ্রীষ্মের অসহনীয় গরমে অস্থির পথচারীদের এক মুহূর্তের জন্য হলেও স্বস্তি এনে দিচ্ছে কঁচি তালের শাঁস। আবার অনেকেই বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন রসালো এ ফল।

তালশাঁস বিক্রেতা মোঃ রবিউল জানান, ‘প্রতিটি গাছ সিজন চুক্তিতে আমরা কিনে থাকি এক থেকে দেড় হাজার টাকায়। তবে ফল বেশি হলে এক গাছ ২ থেকে ৩ ছাজার টাকাতেও কিনতে হয়। তালের ফলন ভালো হলে, প্রতি গাছে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা লাভ হয়। তালশাঁস এখন থেকে বিক্রি শুরু করেছি যা চলবে শাঁস শক্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত। বর্তমানে শাঁসের চাহিদা বেশি। প্রতি পিস তালশাঁস ১৫ থেকে ২০ টাকা করে বিক্রি করছি। তবে কেউ একসাথে অনেক গুলো নিলে কম নিচ্ছি।’

ক্রেতা মোঃ শাহাবুদ্দিন সুজা বলেন, ‘এই বছরের প্রথম তালশাঁস খেলাম। তবে আর কিছুদিন পরে এর থেকেও ভালো মানের তালশাঁস পাওয়া যাবে। তালশাঁস খেয়ে এই তীব্র গরমে একটু স্বস্তি মিলছে। তবে ফলটির দাম তুলনামূলক একটু বেশি। তালশাঁস আমার অত্যন্ত প্রিয়। প্রায় প্রতিদিন বাজার থেকে অল্প করে কিনে থাকি।