কালীগঞ্জে কৃষি জমি ভরাটের দায়ে তিনজনকে ছয় মাসের কারাদন্ড।


deshsomoy প্রকাশের সময় : ২০২৪-০৫-১৮, ১২:৩৭ পূর্বাহ্ন /
কালীগঞ্জে কৃষি জমি ভরাটের দায়ে তিনজনকে ছয় মাসের কারাদন্ড।
Print News || Dailydeshsomoy

প্রকাশিত, ১৭,মে,২০২৪

মোঃ মুক্তাদির হোসেন।
স্টাফ রিপোর্টার।

হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্তে¡ও কালীগঞ্জের নাগরী ইউনিয়নের গলান মৌজায় ‘সিআইভিআইসি’ নামে একটি আবাসন কোম্পানি মাটি ও বালু ফেলে কৃষি জমি ভরাট করার দায়ে তিনজনকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এর আগে গত ৪ মে অবৈধভাবে কৃষি জমি থেকে মাটি কেটে বিক্রির দায়ে জড়িত পাঁচজনকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দিবাগত মধ্যরাতে রাতে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম ইমাম রাজী টুলুর নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করে তাদের এ দন্ডাদেশ দেয়া হয়েছে।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলো, কালীগঞ্জের পাড়াবর্তা এলাকার সিরাজুলের ছেলে রমজান মিয়া (৩০), নওগাঁর অর্জুনপুর এলাকার আমজাদ হোসেনের ছেলে সেলিম রেজা (৩০) এবং পটুয়াখালীর চাঁনপাড়া এলাকার আব্দুল জলিলের ছেলে রাশেদুজ্জামান (৫৫)।
জানা গেছে, ২০১৯ সালের ২৭ জানুয়ারি উচ্চ আদালতের বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে কালীগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় খাল-বিল, নদী-পুকুর, কৃষি জমি-জলাশয় ভরাট এবং অবৈধ দখলের উপর স্থিতাবস্থা জারি করেছেন। এরপরও আদালতের এই আদেশ অমান্য করেই বিভিন্ন হাউজিং কোম্পানি অনুমোদন ছাড়াই বিভিন্ন এলাকায় কৃষি জমি ও জলাশয়ে ভরাট কার্যক্রম পরিচালনা করে চলছে। বৃহস্পতিবার এমন সংবাদ পেয়ে নাগরী ইউনিয়নের গলান এলাকায় মধ্যে রাতে অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম ইমাম রাজী টুলু। সে সময় ‘সিআইভিআইসি’ নামক একটি আবাসন কোম্পানি মাটি ও বালু ফেলে কৃষি জমিতে ভরাট কার্যক্রম পরিচালনার দায়ে তিনজনকে আটক করা হয়। এছাড়াও ভরাট কাজে ব্যবহৃত ৬টি ড্রাম ট্রাক জব্দ করা হয়েছে। পরবর্তীতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে দন্ডবিধির ১৮৮ ধারা অনুযায়ী তিনজনকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে।
সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম ইমাম রাজী টুলু।
উল্লেখ্য: সংবিধানের ১৮ক অনুচ্ছেদ, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৮৫ ও জলাধার সংরক্ষণ আইন ২০০০ এর বিভিন্ন বিধান অনুযায়ী খাল-বিল, নদী-পুকুর ও জলাশয় ভরাট নিষিদ্ধ। গলান মৌজায় প্রায় ৩০-৪০ বিঘা কৃষি জমি ভরাট প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করেছিলো সিআইভিআইসি। ইতিমধ্যে প্রায় ৫-৭ বিঘা জমিতে বালু ভরাট কার্যক্রম সম্পন্ন করে ফেলেছে কোম্পানিটি।