প্রকাশিত,২৫, এপ্রিল,২০২৪
প্রিয়ন্ত মজুমদার:
দেশব্যাপী তীব্র তাপদাহে পুড়ছে চারিপাশ। তৃষ্ণায় প্রত্যেকটি মানুষের হৃদয় করছে হাঁসফাঁস। চাকুরিজীবী মানুষরা বাড়িতে অথবা, অফিসে বৈদ্যুতিক পাখার বায়ুতে শীতল হওয়ার সুযোগ রয়েছে। সেই সুযোগটি নেই আমাদের খাদ্যের যোগানদাতা কৃষকদের কিংবা দিনমজুরদের। উত্তপ্ত মাঠেই তাদের কর্মক্ষেত্র, যেখান থেকে তারা ফলিয়ে আনেন নিত্য প্রয়োজনীয় সোনালি আহার। সূর্য যখন মাথার উপর দাঁড়িয়ে তার রূপের ঝলকানি দেখাতে ব্যস্ত, তখনি গ্রীষ্মের প্রখর রৌদ্রে গুগলের আবহাওয়া অ্যাপস বার্তা দিচ্ছে সকলকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকতে, অন্যথায় ঘটতে পারে হিটস্ট্রোক।
শ্রমজীবী এসব মানুষদের মাঝে অনেকে ইতোমধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন হিটস্ট্রোকে। মানুষের হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়া রোধ করতে লিফলেটের মাধ্যমে সরেজমিনে কথা বলে বোঝাচ্ছেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ড. আহসানুল আলম সরকার কিশোর। শ্রমজীবী মানুষের পানির তৃষ্ণা মেটাতে তাদের দোরগোড়ায় ছুটে বিতরণ করেছেন বোতলে-বোতলে শীতল পানি। বেশকিছু দিন যাবৎ চলমান রয়েছে তার এই মহতী কর্যক্রম।
উপজেলা সদর থেকে পানি ও স্যালাইন বিতরণ শুরু করে রাজা-চাপিতলা ও বাঙ্গরা বাজারে পথশিশু, গাড়িচালক, দিনমজুর, কৃষক সহ সর্বস্তরের মানুষের মাঝে বিতরণ করা হয় শীতল পানি। পানি বিতরণের এক পর্যায়ে বয়স্ক কৃষকদের তাপদাহের তীব্র জ্বালাপোড়ন হতে বিশ্রামের ব্যবস্থা করে নিরহংকার চিত্তে নিজ হাতে ধান কুড়িয়েছেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ড. কিশোর।
মুরাদনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ড. আহসানুল আলম সরকার কিশোর বলেন, যারা শ্রমজীবী মানুষ তাদের পেটের তাগিদে তীব্র গরমে রাস্তায় নামতে হয়। তাদের কষ্টটা অন্যরা পাখার বাতাস খেয়ে কোনোদিন অনুভব করতে পারবে না। মানুষের তৃষ্ণা নিবারণ করা মহতী উদ্যোগ। আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। গরমে গর্ভবতী মহিলা, শিশু, বয়স্ক ব্যক্তিদের সচেতন করতে নিজে তাদের দোরগোড়ায় গিয়ে করণীয় গুলো তুলে ধরছি।
আপনার মতামত লিখুন :