প্রকাশিত,২৪, এপ্রিল,২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি:
-গাজীপুর শ্রীপুর ঢাকা ময়মনসিংহ হাইওয়ে মহাসড়কের পূর্ব পাশে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এড: হারিছ উদ্দিন আহমেদ নামক সড়কে ৫ নং ওয়ার্ডের কেওয়া পূর্ব খন্ড গ্রামের পাশে অপরিকল্পিত ভাবে ভবন নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে মোঃ হাবিবুর রহমানের নামে। এই অপরিকল্পিতভাবে ভবনটি নির্মাণ করার কারণে জলাবদ্ধতাই শিকার হন স্থানীয় বাসিন্দারা বলে জানা যায়।
৫ ই অক্টোবর ২০২৩ ইং রোজ (বৃহস্পতিবার) মধ্যরাতে প্রবল বৃষ্টিতে শ্রীপুর পৌরসভার যাওয়ার রাস্তাটি জলবদ্ধ হয়ে পড়ে। এই জলবদ্ধতার কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে আগত শ্রম ও কর্মজীবী মানুষেরা এবং এলাকার স্থায়ীয় বাসিন্দারা।
এই বিষয়ে স্থায়ী বাসিন্দা মোঃ ফখরুল ইসলাম এর কাছে এই জলবদ্ধতার কারণ জানতে চাইলে, তিনি দৈনিক শেষ সংবাদকে জানান, এলাকার পানি চলাচলের রাস্তাটিতে ৬ তলা ভবন নির্মাণ ও ভবনের আন্ডারগাওন করার কারণে এই জলাবদ্ধতায় ভোগান্তির শিকার হতে হয় জনসাধারণ মানুষের। শুধু তাই নয়, পৌরসভার প্লান অমান্য করে আরেকটি ৭ তলা বহুতল বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু করেন, মোঃ হাবিবুর রহমান পিতা, অজ্ঞাত, গ্রাম উথরী থানা গফরগাঁও জেলা ময়মনসিংহের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। এমত অবস্থায় গাজীপুর শ্রীপুর পৌরসভা কেওয়া পর্ব খন্ড গ্রামে ৫ নং ওয়ার্ডে একটি ছয় তলা ভবন নির্মাণের কাজ শেষ করেন তিনি । এবং তিনি আরেকটি ৭ তলা বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেন,উক্ত ভবন নির্মাণকারী মোঃ হাবিবুর রহমানের ছেলে মোঃ আমির হামজা তিনি সৌদি আরব প্রবাসে থেকে আদম ব্যবসা করিয়া আসে বলে জানায় অভিযোগকারী। সৌদি আরব প্রবাসী আমির হামজা অর্থাৎ তার পিতা মোঃ হাবিবুর রহমান, আমার বোন মোছাঃ জাহেরা খাতুনের সীমানা ঘেষে মনগড়া মত ৭ তালা বিশিষ্ট একটি বিল্ডিং নির্মাণের কাজ শুরু করেন তিনি। এমনকি চলাচলের জন্য ১ ইঞ্চি জমিও ফাঁকা রাখেননি মোঃ হাবিবুর রহমান। মোঃ ফখরুল ইসলাম তিনি আরো বলেন,আমাদের জমির উপর দিয়া আমাদের নির্মাণকৃত ৭ ফিট রাস্তা ব্যবহার করেন মোঃ হাবিবুর রহমান। এবং ৭ তলা বিল্ডিং বাড়ি নির্মাণ করিতে হইলে আরো বড় রাস্তার প্রয়োজন কিন্তু সে রাস্তার জায়গায় না রেখেই বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু করেন তিনি। মোঃ ফখরুল ইসলাম আরো বলেন,মোঃ হাবিবুর রহমানের বাড়ি নির্মাণের কাজ করিলে ইটের আদলা, বালি, সিমেন্টের গুরা, ইত্যাদি আমাদের পরিবারে লোকজনের উপর পরিয়া ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়। যার কারণে আমি মোঃ হাবিবুর রহমানকে রাস্তার জায়গা সহ তার বিল্ডিং বাড়ির চতুর্থ পাশে অল্প কিছু জমি ফাঁকা রাখিয়া কাজ করার জন্য বলিলে সে আমাদের প্রতি ক্ষিপ্ত হইয়া আমার সাথে শত্রুতা পোষণ করিয়া আমাকে লোকজনদ্বারা মারধরসহ খুন জখম ও মিথ্যা ঘটনা সাজাইয়া আমার ও আমার পরিবারের লোকজনের নামে মিথ্যা মকদ্দমা দিয়ে জেল হাজত কাটাইবে বলিয়া হুমকি দেয়।
তিনি আরো জানান,উক্ত ঘটনায় এলাকায় বিশৃঙ্খলাসহ খুন খারাপী হওয়ার সম্ভাবনা রহিয়াছে বিদায়, উক্ত ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য লোকজনকে জানাইয়া নিরুপায় হইয়া, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শ্রীপুর পৌরসভার মেয়র মহোদয় আলহাজ্ব আনিসুর রহমানের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি আমি। অভিযোগ দায়ের করার পরেও এই ভবনটির বিষয়ে কোন আইনি পদক্ষেপ না নেওয়ার কারণে তারা আমাদের উপর বিভিন্ন ধরনের বার বার হুমকি দিয়ে আসিতেছে।
মোঃ ফখরুল ইসলাম তিনি আরো জানান,আমার বোন মোসাঃ জাহেরা খাতুন এর সীমানা ঘুষিয়া ১ ইঞ্চি জমিও ফাঁকা না রাখিয়া অর্থাৎ পৌরসভার ভিতরে বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য ও পৌরসভার প্লান না মানিয়া অর্থাৎ নিয়ম-কানুন অমান্য করিয়া ৭ তলা বিশিষ্ট একটি ভবন নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। তিনি আরো বলেন,উক্ত বিষয়টি সংক্রান্তে ইতিপূর্বে আমরা শ্রীপুর পৌরসভার মেয়র মহোদয় আলহাজ্ব আনিসুর রহমান এর কাছে লিখিত একটি অভিযোগ দায়ের করি এবং পৌরসভার কৃতপক্ষে বিষয়টি সরজমিনে তদন্ত করিয়া ঘটনার সত্যতা পাইয়া পৌরসভার প্লান অনুযায়ী কাজ করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু মোঃ হাবিবুর রহমান তাদের পেশি শক্তির বলে জোরপূর্বক তাহাদের অন্যায় কাজ অব্যাহত রাখিয়াছে এবং আমরা উক্ত বিষয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করলে ও পৌরসভার দায়িরকৃত অভিযোগ স্বেচ্ছায় প্রত্যাহার না করিলে আমাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের চাঁদাবাজি, ধর্ষণ সহ মিথ্যা মামলা দিয়া হয়রানি করিবে এমনকি অভিযোগের সাধ মিটিয়ে দিবে বলে হুমকি দেয়। তাই আমাদের নিরাপত্তা স্বার্থে আমরা গত ২৯ শে মার্চ ২০২৪ ইং তারিখে শ্রীপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।
তিনি আরও বলেন,১৯৮৮ ইং সালে ভারী বৃষ্টিতে এমন জলবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছিল, এখন এই শাইল জমির উপর নতুন একটি ভবন নির্মাণ করার কারণে আবারও ৫ ই আক্টোবর২০২৩ ইং তারিখে জলবদ্ধতা হয়। এমনকি আগামী বৃষ্টির দিনেও এই সমস্যা পোহাতে হবে বিভিন্ন শ্রমজীবী মানুষের এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাই প্রশাসনের কাছে সুদৃষ্টি কামনা করছি এই অপরিকল্পিত ভবনটির জন্য আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য। তিনি আরও বলেন এই শাইল জমি ভরাটের কারণে আবারও এই জলবদ্ধ সৃষ্টি হতে পারে, শুধু তাই নয়,তারা এই মনগড়াভাবে এই ভবনের পাশেই আরেকটি ৭ তলা বহুতল ভবন নির্মাণ করার কাজ চালাইতেছে বলে জানান তিনি।
এই বিষয়ে এলাকাবাসীরা আরও জানান, এই রাস্তাটির কখনোই পানিতে এমনভাবে ডুবেনি। কিছুদিন আগে বৃষ্টির পানিতে এই রাস্তাটি ডোবার কারণ হচ্ছে, রাস্তাটির পাশেই পানি চলাচলের জন্য একটি শাইল জমি ছিল। আর এই শাইল জমিটি মাটি দিয়ে ভরাট করে ফ্যাক্টরি নির্মাণ এবং ৬ তলা ফাউন্ডেশন বাড়ি নির্মাণ করার কারণে পানি চলাচলের রাস্তাটি বন্ধ হয়ে যায়।আর এই শাইল জমির উপর ভবন নির্মাণ ও ভবনের আন্ডারগাওন করার কারণে পানি চলাচলের রাস্তা বন্ধ হয়ে পরে, একটু বৃষ্টিতেই জলবদ্ধতায় শিকার হন এলাকার জনসাধারণ মানুষ। এবং ক্ষতিগ্রস্তর দিকে পড়েছে আশেপাশের বেশ কয়েকটি বাড়ির পরিবার ও বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। জলবদ্ধতার কারণে আশেপাশে কিছু বাড়ির পুকুরের মাছ পুকুর তলিয়ে গিয়ে বেরিয়ে যাই বলে জানা যায়। এই জলবদ্ধতার কারণে ক্ষতিগ্রস্তের আওতায় পড়ছেন ঐ পুকুর মালিকরাও।
আর এই জলবদ্ধতার দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে আগত শ্রম ও কর্মজীবী মানুষ এবং স্থায়ী বাসিন্দারা। এই জলবদ্ধতা থেকে মুক্তি পেতে ৫ নং ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধি সহ শ্রীপুর পৌরসভার স্থানীয় সরকার এবং শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে এলাকাবাসীর দাবি বিষয়টি নজরে এনে,পানি চলাচলের ব্যবস্থাটি দ্রুত কার্যক্রম ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানান তারা।
এই বিষয়ে শ্রীপুর পৌরসভার প্রধান প্রকৌশলী শাহেদ সাহেবের কাছে জানতে চাইলে, তিনি কোন এই ধরনের অভিযোগ পাইনি বলে জানান সংবাদ কর্মীদের।
দৈনিক শেষ সংবাদ এর অনুসন্ধানী টিম, এমন অভিযোগের সত্যতা খুঁজতে গিয়ে, বেড়িয়ে আসে তাদের আরও অনেক অনিয়মের তথ্য। তাই তাদের অনিয়মের তথ্য জানতে চোখ রাখুন, – ২ পর্বে (পর্ব চলমান)!
আপনার মতামত লিখুন :