নকলায় মিন্টু খন্দকারের ফেসবুকের কল্যাণে ঘর পেলেন অসহায় গৃহহীন ফিরুজা বেওয়া।


deshsomoy প্রকাশের সময় : ২০২৪-০৪-২৩, ৯:০৫ অপরাহ্ন /
নকলায় মিন্টু খন্দকারের ফেসবুকের কল্যাণে ঘর পেলেন অসহায় গৃহহীন ফিরুজা বেওয়া।
Print News || Dailydeshsomoy

প্রকাশিত,২৩, এপ্রিল,২০২৪

শেরপুর নকলা প্রতিনিধিঃ

দুই বছর আগে স্বামীর মৃত্যুর পর সহায় সম্বল হীন বৃদ্ধা নারী ফিরজা বেগম দূর সম্পর্কের নাতির বাড়িতে ঝুপড়ি ঘর করে বসবাস করেন।

শেরপুর নকলা উপজেলা উপজেলার চর অষ্টধর ইউনিয়নের চক পাঠাকাটা গ্রামের মৃত আ: মান্নানের স্ত্রী ফিরুজা বেগম । জরাজীর্ণ একটি ঝুপড়িতে থাকেন । অন্যের বাসাবাড়িতে কাজ করে কোনোমতে খাবারের ব্যবস্থা করেন।
বৃদ্ধা ফিরুজা বেগমের স্বামী মৃত আ: মান্নান নকলা সাইলামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচ্ছন্ন কর্মি হিসেবে চাকরি করতেন, সেই স্কুলে মিসেস লিরা বেগম নামে এক শিক্ষিকা কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে মিসেস লিরা বেগম স্ব-পরিবারে আমেরিকা বসবাস করেন।

ফেসবুকের মাধ্যমে ফিরুজা বেগমের অসহাযত্বের খবরটি নজরে আসে অদম্য মেধাবী সংস্থার চেয়ারপার্সন অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসি আবু শরিফ হকামরুজ্জামানের, তিনি আবার গৃহহীন ফিরুজা বেগমের অসহায়ত্বে কথা লিখে পোষ্ট করেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

আমেরিকা বসবাস রত সাবেক শিক্ষিকা মিসেস লিরা বেগমের নজরে আসে এবং তিনি চিনতে পারেন ফিরুজা বেগম তার মৃত সহকর্মী স্ত্রী।
মৃত সহকর্মী মৃত মান্নানের স্ত্রী ফিরুজা বেগমের করুন অবস্থার কথা শুনে মিসেস লিরা বেগমের কোমল হৃদয় কেঁদে উঠে।
মিসেস লিরা বেগম তার সহকর্মী স্ত্রী ফিরুজা বেগমকে একটা ঘর করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তারই ধারাবাহিকতায় নকলা অধম্য সংস্থার চেয়ারপার্সন আবু শরিফ কামরুজ্জামান মাধ্যমে মাধমে গৃহহীন ফিরুজা বেগমের ঘর তৈরির জন্য টিন, কাঠ পিলার, সহ পাঠিয়েছেন। দুই দিনের মধ্যেই ঘরের কাজ শেষ করবেন।
এই ঘরের কাজ বাস্তবায়ন করবেন নকলা অদম্য মেধাবী সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন।

মিসেস লিরা বেগম বলেন, শুধু ঘরই নয়; লেপ, তোশক, চৌকি,সহ খাদ্যসামগ্রীর ব্যবস্থা করবেন।

ঘর পাওয়ার আনন্দে অসহায় ফিরুজা বলেন, আমি নি:সন্তান পিতার বাড়িতে এবং স্বামী ঘরে অনেক কষ্ট করেছি এখনও করছি। তবে কখনও ভাবিনি যে একখানা ঘর পাবো। এত সুন্দর ঘরে থাকতে পারবো।আমি ঘর পেয়ে ভীষণ খুশি হয়েছি।