মুরাদনগরে গরিবের বাড়ী বিত্তবানদের দখলে আইনের আশ্রয় নিলে মেরে ফেলার হুমকি।


deshsomoy প্রকাশের সময় : ২০২৪-০৪-২০, ৫:১৩ অপরাহ্ন /
মুরাদনগরে গরিবের বাড়ী বিত্তবানদের দখলে আইনের আশ্রয় নিলে মেরে ফেলার হুমকি।
Print News || Dailydeshsomoy

প্রকাশিত,২০, এপ্রিল,২০২৪

মুরাদনগর (কুমিল্লা)) প্রতিনিধি

কুমিল্লার মুরাদনগরের শ্রীকাইল ইউনিয়নে ভূতাইল গ্রামে অসহায়ের বাড়ী বৃত্তবানরা জোর পূর্বক দখল করার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার দুপুরে প্রভাবশালী শোকন মিয়া তার বাহিনী নিয়ে নিরীহ ফজলু মিয়ার বাড়ী জোর করে দখলে নিয়ে নেয়।

এ সময় শাকন মিয়া ও তার বহিনী সেখানে থাকা ২০টি ফল ফলাদীর গাছ কাঁটে এবং একটি টিনের ঘর ভেঙ্গে গর্তে ফেলে দেয়। ফজলু মিয়া ও তার স্ত্রী বাধা দিলে তাদেরকে তারা মারধর করে ও কোন ধরনের আইনের আশ্রয় নিলে প্রানে মেরে ফেলার হুমকী দেয়। জায়গাটি নিয়ে আদলতে মামলা চলমান রয়েছে, তার পরেও প্রভাবশালী শোকন মিয়া কেন নিরীহ ফজলু মিয়ার জায়গা দখল করেছে তা নিয়ে এলাকায় বিরূপ পতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

ফজলু মিয়ার স্ত্রী রাজিয়া বেগম জানায়, অনেক দিন যাবৎ আমাদের বাড়ী নিয়ে ঝামেলা চলছে। গ্রামের সর্দার মাতবররা অনেক চেষ্টা করেও মিমাংশা করতে পারেনি। তাই তারা আমাকে নিয়ে গিয়ে আদালতে মামলা করায়। এখনো আমাদের মামলা চলমান আছে। গত বুধবার দুপুরে দুধ মিয়ার ছেলে শোকন মিয়া তার সঙ্গে ১০/১২ জন নিয়ে এসে আমার জায়গায় থাকা সকল ফল-ফলাদির গাছ কেটে ফেলে এবং সে জায়গায় বাঁশের খুটি ঘেরে জাল দিয়ে বেড়া দিয়ে দেয়। যারা আমাকে দিয়ে মামলা করিয়েছে তারা এখন টাকা খেয়ে শোকনের পক্ষে এসে আমার জায়গা দখল করেছে। আমরা বাঁধা দিলে তারা আমাদেরকেও মারধর করে এবং আইনের আশ্রয় নিলে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। রাজিয়া বেগম আরো বলেন, পরান মিয়ার ছেলে মোখলেছ আমাকে হুমকি দিয়ে বলেছে আমি যদি বাড়ীর সিমানা ছেড়ে রাস্তায় যাই তাহলে আমার গলা কেঁটে ফেলবে এবং আমাকে মেরে প্রয়োজনে ২০লাখ টাকা খরচ করবে। তাদের ভয়ে বাড়ীতেও থাকতে পারছিনা! থানায় গিয়ে মামলাও করতে পারছিনা তাই ছোট দুটি সন্তান নিযে আমি এখন বাবার বাড়ীতে আছি।

সমাজ সেবক কমল ও নজরুল ইসলাম বলেন, অনেক দিন যাবৎ ফজলু শোখনের সাথে বাড়ী নিয়ে ঝামেলা চলছে। গ্রামের সর্দার মাতবররা অনেক চেষ্টা করেও মিমাংশা করতে পারেনি। ফজলু মিয়ার স্ত্রী রাজিয়া বেগম আদালতে মামলা করেছে। এখনো তাদের মামলা চলমান আছে।

এ বিষয়ে শোখন মিয়ার ছেলে আজিম বলেন, আমরা আদালতের রায় পেয়ে জায়গা দখলে নিয়েছি। রাজিয়া খাতুন অহেতুক আমাদেরকে মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। গ্রামের সরদার মাতাব্বর অনেক চেষ্টা করেও মিমাংসা করতে পারেনি।

মেরে ফেলার হুমকি দাতা মোখলেছ মিয়ার মুঠোফোনে কল দিয়ে রিসিভ না করায় তার বক্তব্য দেয়া সম্ভব হয়নি।

বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি সফিউল আলম বলেন, জমি সংক্রান্ত সমস্যা বিজ্ঞ আদালতের বিষয়। আমরা দেখছি এনিয়ে যেন কোন বিশ্রঙ্খলা না হয়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখাই আমাদের কাজ।