গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বিল্লাল হত্যাকে কেন্দ্র করে চলছে নিরীহদের ফাঁসানোর পায়তারা।


deshsomoy প্রকাশের সময় : ২০২৪-০৪-১২, ১০:০৩ অপরাহ্ন /
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বিল্লাল হত্যাকে কেন্দ্র করে চলছে নিরীহদের ফাঁসানোর পায়তারা।
Print News || Dailydeshsomoy

প্রকাশিত,১২, এপ্রিল,২০২৪

মোঃ শিহাব উদ্দিন গোপালগঞ্জ

গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার কুশলী ইউনিয়নের চর-কুশলী গ্রামের বিল্লাল হত্যা কান্ডকে নিয়ে চলছে নানা গ্রাম্য রাজনীতি।

বহু বছর আগে থেকেই এই গ্রাম্য রাজনীতি, নোংড়া সমাজপতিদের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার প্রচলন চলে আসছে। সরকার নানা নিয়ম নীতি পরিবর্তন করলেও সমাজের এই সকল নোংড়া সমাজপতিদের মনোভাব পরিবর্তন এখনও পরিবর্তন হয় নাই।

বর্তমান সরকারে আইন মোতাবেক কখনো কোথাও কোন মামলা মকদ্দোমা হলে প্রথমে তা যাচাই বাছাই করবে, বাদি পক্ষ মামলা মকদ্দোমা করলে মামলায় কোন নিরপরাধী লোক থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে তা বাদ দিয়ে প্রকৃত আসামীদের আইনের আওতায় আনবে।
এমনি এক ঘটনার শিকার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার কুশলী ইউনিয়নের চর-কুশলী গ্রামের নান্নু মোল্লা (৬০), তিনি একজন গাছের ব্যবসায়ী। কয়েকদিন পূর্বে তারই গ্রামের বাড়ির কিছু দুরে বিল্লাল গাজী নামক এক ব্যক্তি স্বশুর বাড়িতে বেড়াতে এসে খুন হয়। এই মামলায় বিল্লালের স্ত্রী বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।মামলার ১ নং আসামী দেওয়া হয় বৃদ্ধ এই নান্নু মোল্লাকে। হত্যা কান্ডের সাথে জড়িত তো দুরের কথা এ ব্যপারে সে কিছুই জানেনা। তার অপরাধ সে মোটামুটি টাকা পয়সার মালিক। তার কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার উদ্দ্যেশে তাকে এই মামলায় ফাঁসিয়েছে স্থানীয় কুচক্রী সমাজপতিরা।
গনমাধ্যম কর্মীদের একটি দল অভিযোগের ভিত্তিতে হত্যা কান্ড জড়িত এলাকায় এক ছায়া তদন্তে নান্নু মোল্লা সহ তার পরিবারের কাউকে এই হত্যা মামলার সাথে জড়িত আছে বলে কোন প্রাথমিক তথ্য পায় নাই। নাম না জানাতে ইচ্ছুক এলাকার কিছু লোকজনের নিকট জানতে চাইলে তারা বলেন, নান্নু মোল্লা এলাকার ভদ্র প্রকৃতির লোক। সে গাছের ব্যবসা করে সংসার চালায়। এলাকার রেসারেসির কারনে তাকে আগেও একটা মামলায় ফাঁসিয়ে প্রায় তিন লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছিল। এই হত্যা মামলায় সেই একই প্রকৃয়া চালাচ্ছে স্থানীয় কিছু বাজে প্রকৃতির সমাজপতিরা। তবে ছায়া তদন্তে মোহাম্মাদ সিকদার, আলমগীর মোল্লা, আনু মোল্লা, বুলু, সহ তাদের পরিবারের কয়েকজন মহিলাদের সম্পৃক্ততা এই হত্যা মামলার সাথে আছে বলে গন্ধ পাওয়া যায়।
বিল্লাল মুন্সীর স্ত্রী এছমোতারা প্রথমে প্রাথমিক ভাবে এই নান্নু মোল্লার নাম না বললেও পরবর্তীতে সে এলাকার কিছু কুচক্রী লোকজনের প্ররচনায় পড়ে এই মামলায় নান্নু মোল্লাকে জড়ানো হয়েছে বলে এলাকাবাসীর ধারনা।খুন হওয়া
বিল্লাল গাজী প্রায় আট বছর নিখোঁজ ছিল একই এলাকার আকরাম মোল্লার ছেলে সরে মোল্লা গুম হওয়া মামলার কারনে। গোপন সূত্রে জানা যায় বিল্লাল গাজী ভারতে চলে গিয়েছিল। দীর্ঘ্য ৮ বছর পরে সে স্বশুর বাড়িতে এসেই খুন হয় সরে মোল্লার আত্মীয় সজনদের হাতে তার লাশটিও পাওয়া যায় সরে মোল্লার আত্মীয়দের বাড়িতে।
ব্যপারটি গভীর তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত দেষিদের আইনের আওতায় এনে নিরাপরাধীদের অব্যহতি দান করার দাবী জানান এলাকাবাসী, সেই সাথে বিল্লালের হত্যাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবী জানান তারা।