তিন বছর দরে কাগজের নিচে বসবাস ভয়ে স্ত্রী সন্তান নিয়ে ঘর ছাড়া।


deshsomoy প্রকাশের সময় : ২০২৪-০৪-১২, ৮:০৫ অপরাহ্ন /
তিন বছর দরে কাগজের নিচে বসবাস ভয়ে স্ত্রী সন্তান নিয়ে ঘর ছাড়া।
Print News || Dailydeshsomoy

প্রকাশিত,১২, এপ্রিল,২০২৪

নিজস্ব প্রতিনিধি গাজীপুর

যে সন্তানকে পরম মমতায় বড় করেছে মা বাবা সেই মমতাময়ী মা বাবা সন্তানদের নিয়ে ভয়ে নিজের ঘরে আসতে পারছেন না।

জমির জন্য নিজের সন্তান ও তার স্ত্রী নির্যাতনের শিকার হয়ে হাসপাতাল থেকে ভয়ে বাড়ি ফিরছেন না সেই অসহায় মা।
নির্মম নির্যাতনের বিষয়ে থানায় অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাননি তিনি। তাই নিরুপায় হয়ে সন্তানদের নিয়ে অন্য বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার ২নং গাজীপুর ইউনিয়নের নগর হাওলা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। শ্রীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ সুত্রে ও মজিবরের তথ্য ভিত্তিতে জানা গেছে, মোঃ শামসুল হকের ছেলে মো: মজিবুর একই এলকার সরাফত আলীর ছেলে মো: ইসরাফিলের সাথে দীর্ঘদিন পূর্ব হইতে জমি সংক্রান্ত বিষয়াদি নিয়া শত্রুতা পোষন করিয়া আসিতে থাকে। মজিবর বলেন, উক্ত আক্রোশে আমাকে সহ আমার পরিবারের লোকজনকে রাস্তাঘাটে মারধর সহ খুন জখম করিবে মর্মে হুমকি ধামকি দিয়া আসিতে থাকে। ঘটনার তারিখ অর্থাৎ ৩১/০৩/২৪ ইং তারিখ রাত্র অনুমান ১১.০০ ঘটিকার সময় উল্লেখিত বিবাদীগন পরস্পর যোগসাজোসে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে দা, লাঠি, লোহার রড ইত্যাদি দেশিয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হইয়া বে—আইনী জনতাবদ্ধে আমার বাড়ীতে অনধিকার প্রবেশ করিয়া আমাকে বাড়ীর উঠানে ফেলিয়া মারধর শুরু করে এবং কিল, ঘুষি, লাথি মারিয়া ও লাঠি দিয়া আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করিয়া নিলাফুলা জখম করে। আমার সাথে থাকা একটি স্মার্ট মোবাইল ফোন মূল্য অনুমান ১৮ হাজার টাকা নিয়া যায়। এ সময়ে আমার স্ত্রী মোছা: হাফিজা খাতুন আমাকে রক্ষা করিতে ঝাপাইয়া পড়িলে বিবাদীগন তাহাকেও মারধর শুরু করে। এবং ধারালো দা দিয়া আমার স্ত্রীকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথার উপরি ভাগে কোপ মারিয়া ব্যাপক বিস্তৃত কাটা রক্তাক্ত গুরুতর জখম করে। আমার স্ত্রী তল পেটে পায়ের গুড়ালি দিয়া অপারেশনের স্থানে একাধিক লাথি মারিয়া তিব্র ব্যাথাযুক্ত জখম করে। আমার স্ত্রী পড়িহিত কাপড় টানা হেচড়া করিয়া অর্ধবিবস্ত্র করিয়া শ্লীলতাহানী করে। আমার স্ত্রীকে হত্যার উদ্দেশ্যে দুই হাতে গলায় চাপিয়া ধরিয়া শ্বাসরোধ করিয়া গলার নিচে ফুলা জখম করে। এবং আমার বাড়ী ঘর ভাংচুর করিয়া অনুমান ৪০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে। আমাদের ডাকচিৎকারে আশপাশ হইতে লোকজন আগাইয়া আসিতে থাকিলে বিবাদীগন খুন জখমের হুমকি ধামকি দিয়া চলিয়া যায়। পরে আমি আমার স্ত্রীকে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়া গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার আমার স্ত্রীর জখম সেলাই বেন্ডেস সহ ভর্তি করেন এবং পরবর্তীতে আমার স্ত্রী অবন্নতি হইলে ইং ০১/০৪/২৪ তারিখ আমার স্ত্রীকে শহিদ তাজ উদ্দিন আহাম্মেদ মেডিকেল হাসাতাল গাজীপুরে রেফার্ড করেন। বর্তমানে আমার স্ত্রী উক্ত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। জমি নেওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে নির্যাতন করে আসছে এবিষয়ে শ্রীপুর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়রে করা হয়েছে এবং ছেলে মেয়ে নিয়ে এদের নির্যাতনের ভয়ে বাড়িতে ফিরতে পারছেন না বলে জানান তিনি । অভিযোক্তরা হলেন, ১। মো: ইসরাফিল (৪২), পিতা সরাফত আলী, ২। মোঃ সাকির (২০), পিতা— ইসরাফিল, ৩। মো: শরাফত আলী (৫৫), পিতা— মৃত বাছের আলী, ৪। মো: ইছাক (৪৫), পিতা— শরাফত আলী, ৫। মো: মাজাহারুল ইসলা (২৪), পিতা— আবু বক্কর সিদ্দিক, ৬। মো: ইদ্রিস আলী (৪৩), পিতা— মৃত বাছের আলী, ৭। মো— শফিকুল ইসলাম (৪৮), পিতা— মৃত তন্তুর আলী, ৮। মো: আবু বক্কর সিদ্দিক (৫২), পিতা— মৃত বাছের আলী, সর্ব সাং— নগরহাওলা।

সরাফত আলীর ছেলে ইসরাফিল বলেন,মারামারির বিষয়টি সম্পন্ন মিথ্যা,আমাদেরকে হয়রানি করার জন্য একের পর এক অভিযোগ দিয়ে যাচ্ছে মজিবর।

এবিষয়ে শ্রীপুর মডেল থানার এস আই হেলাল উদ্দিন বলেন,এবিষয়ে অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে,তবে গাজীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ৫নং ওয়ার্ড সদস্য হাজ্বী ইসমাইল হোসেন বিষয়টি স্থানীয় ভাবে মিমাংসা করে দেওয়ার দায়ীত্ব নিয়েছেন।

শ্রীপুর (গাজীপুর)