

প্রকাশিত
নিজস্ব সংবাদদাতা:
বিপক্ষ সমর্থকদের মারপিট বাড়ি ঘরে হামলা,ভাংচুর,লুটপাট দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে। এসব দেখতে দেখতে অভ্যস্ত পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার নাগডেমরা ইউনিয়ন এর ৭ নং ওয়ার্ড সোনাতলা গ্রামের সাধারণ জনগণ। নিজেকে সাঁথিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক দাবি করা হাফিজ চেয়ারম্যান। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর হাফিজ চেয়ারম্যান ও তার লোকজন সোনাতলা গ্রামের মানুষের উপর আরও অত্যাচারের মাত্রা বাড়িয়ে দেন। ৫ ও ৬ আগস্ট সোনাতলা গ্রামে যে ধ্বংসলীলা ও লুটপাট হয়েছিল তার চিহ্ন এখনও গ্রাম জুড়ে। তবে এ ধ্বংসলীলা ও লুটপাটের সাথে তিনি ও তার কোন অনুসারী জড়িত ছিল না বলে জানান হাফিজ চেয়ারম্যান। নিজ গ্রামে লুটপাটের দায় চাপালেন প্রতিবেশী গ্রামের মানুষের উপর। ৫ ই আগস্টের ঠিক ১৫ দিন পর ২০ই আগস্ট ঘটে আরও একটি বর্বররচিত নিষ্ঠুর ঘটনা। হারুন এবং তার আত্মীয়দেরসহ এদিন অন্তত ২০ থেকে ২২ টি বাড়িতে আবারও লুটপাট করে হাফিজ বাহিনী। কয়েকদিন ধরে পরিকল্পিতভাবে ওই সব বাড়ি ঘরের জানালা দরজা,বারান্দার গ্রিল ও টিনের চালা খুলে বিক্রি করে হাফিজ চেয়ারম্যানের অনুসারিরা। আর এসব অপকর্মের নেতৃত্ব হাফিজ সরাসরি না দিয়ে তার অত্যন্ত বিশ্বস্তদের মাধ্যমে করিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার গুলো। সোনাতলা গ্রাম ঘুরে দেখা যায়,প্রায় বাড়ি ঘরে হামলা ভাংচুর ও লুটপাটের চিহ্ন। স্থানীয় সরকার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচনে নাগডেমরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুন অর-রশিদ এর বিপক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সোনাতলা গ্রামের হাফিজুর রহমান বিজয়ী হয়। হাফিজ বিজয়ী হওয়ার পর থেকে নির্বাচনে হারুন এর পক্ষে সমর্থনকারীদের উপর অত্যাচার চালান হাফিজ বাহিনী। মতিন হত্যা মামলা,নান্নু অপহরণ মামলায় হাফিজুর রহমান দুই দফায় গ্রেফতার হয়। জেল থেকে বের হয়ে অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে গিয়ে ছড়িয়ে পড়ে গোটা গ্রামে। হাফিজ ও তার বাহিনীর তান্ডবে হামলা মামলার ভয়ে এলাকা ছাড়া প্রায় এক হাজার মানুষ। ভয়ভীতি নিয়ে আতঙ্কে দিন কাটছে ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের। আওয়ামী লীগের কোল ঘেঁষা হাফিজ চেয়ারম্যান নিজেকে কখনও বি এনপির নেতা আবার কখনও জামায়াত কর্মী দাবি করেন। সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এর পিএস শতকোটি টাকা লুটপাট করে ভারতে পালিয়ে থাকা মিন্টুর হাত ধরে রাজনীতিতে প্রবেশ করে হাফিজুর রহমান। মিন্টুর টাকায় হাফিজুর রহমান চেয়ারম্যান হওয়ার গুঞ্জন ও রয়েছে। হাফিজ চেয়ারম্যান এর এসব অত্যাচারের শিকার হয়ে সাঁথিয়া থানায় একাধিক মামলা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একাধিক লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পরিবার। কিছুতেই নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে না হাফিজ চেয়ারম্যান ও তার বাহিনীর লোকজন। হাফিজ চেয়ারম্যান ও সাবেক চেয়ারম্যান হারুন অর-রশিদ এর বিরোধের ঘটনা উপজেলার প্রায় মানুষের জানা। বিরোধ মীমাংসায় আইনশৃংখলা বাহিনীর পক্ষ থেকে তেমন কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি।






















আপনার মতামত লিখুন :