
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক, ময়মনসিংহঃ
ময়মনসিংহ সদর উপজেলার ৩ন; বোররচর ইউনিয়নের ভাটিপাড়া গ্রামের সাহেব আলী ডাকাত ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যকলাপের অভিযোগ এনে তাদের কবল থেকে নিরীহ এলাকাবাসীকে রক্ষার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন স্থানীয় এলাকাবাসীরা। একই সঙ্গে এই বাহিনীর প্রধান সাহেব আলী ডাকাত সহ অন্যান্যদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন তারা।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার ৩ন; বোররচর ইউনিয়নের ভাটিপাড়া গ্রামের প্রয়াত ছমেদ আলীর ছেলে সাহেব আলী ওরফে ডাকাত ও তার ৩ ছেলে খলিল মিয়া, জলিল মিয়া সেলিম এবং একই ইউনিয়নের সেকান্দার আলীর ছেলে জয়নাল মিয়া সংঘবদ্ধভাবে এলাকায় ত্রাশ সৃষ্টি করে দীর্ঘদিন যাবৎ চাঁদাবাজি,ডাকাতি,জমিদখল
বাড়ি দখল সহ ভয়ংকর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড মাদক ব্যবসা ও জুয়া ব্যবসা করে যাচ্ছে। অভিযোগে বলা হয়,সাহেব আলী ডাকাত এলাকায় গডফাদার, গ্যাং লিডার নামে পরিচিত এবং তার নেতৃত্বেই সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চলে। তাদের অত্যাচারে এলাকাবাসী জিম্মি। তারা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রকাশ্যে করলেও তাদের বিরুদ্ধে কেউ কোন প্রতিবাদ করতে সাহস পায়না। যে প্রতিবাদ করে তারই বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। অভিযোগ পত্রে সাহেব আলী ওরফে ডাকাতের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধের দায়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় দায়েরকৃত ১৩টি মামলার বিবরণ দেয়া হয়। এত সব মামলার আসামি হয়েও এলাকায় বীর দর্পে চলাফেরা করছে।
জানা গেছে, সাহেব আলীর অত্যাচারে বিগত সরকারের আমলে এলাকার মানুষে দিশেহারা ছিলো। আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় তিনি নানাভাবে মানুষকে জিম্মি করেছিলেন। তিনি ছিলেন অত্র অঞ্চলের এক মূর্তিমান আতঙ্কের নাম। সাহেব আলীর অত্যাচারের কাহিনী মানুষের মুখে মুখে। বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের শাসনামলে ২০১৮ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি বোররচর ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের স্বাক্ষরে বনে যান আওয়ামীলীগ নেতা। তার সদস্য প্রত্যয়ন পত্রে দেখা যায়, ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত খালেদা বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখায় তাকে আওয়ামী লীগের সদস্য পদ দেয়া হয়। এতে তিনি যেন আরোও বেপরোয়া হয়ে উঠেন। এলাকায় গড়ে তোলেন সন্ত্রাসী গ্যাং বীর দর্পে চালিয়েছে সকল অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড। তিনি কোন দেন দরবার আইন আদালত মানেনা। তবে এলাকাবাসী মনে করেছিলো ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের পর এই ভয়ংকর সন্ত্রাসীদের ও পতন হবে। স্থানীয়দের অভিযোগ, সাহেব আলী ডাকাতসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকলেও অদৃশ্য কারণে পুলিশ তাদের এখনো গ্রেপ্তার করছে না।
তবে কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শিবিরুল ইসলাম বলেছেন, এসব অপরাধী কিভাবে এখনো বাহিরে থাকে। অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে।