পটিয়ায় মসজিদের ছাদ ও মিম্বর  ভাঙচুর, উক্তেজনা সংঘর্ষের আশংকা,


দেশ সময় প্রকাশের সময় : ২০২৫-১২-০৯, ৭:৫৮ অপরাহ্ন /
পটিয়ায় মসজিদের ছাদ ও মিম্বর  ভাঙচুর, উক্তেজনা সংঘর্ষের আশংকা,
print news || Dailydeshsomoy

প্রকাশিত

প্রতিবাদে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের পটিয়া পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডে তোফায়েল আলী  মুন্সি শরিকান জামে মসজিদটি ভাংচুরের প্রতিবাদ এবং বিচারের দাবীতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। ৯ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকাল ৯টায় মসজিদ ভাংচুরের ঘটনা ঘটলে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পটিয়া থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

স্থানীয়রা জানায়, পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের তোফায়েল আলী মুন্সি  শরিকান জামে মসজিদটি এলাকার তিন সমাজের পূ্র্ব পুরুষের জায়গায় নির্মিত হয় শতবছর আগে। সম্প্রতি মসজিদটি পুন-নির্মানের সিদ্ধান্ত নেয় মসজিদ কমিটি। 

মসজিদ কমিটির অর্থ সম্পাদক  শহীদুল ইসলাম মিটু জানান, মসজিদ কমিটিকে অবগত না করে ইকবাল নামের এক ব্যক্তি বহিরাগতদের নিয়ে মসজিদের ছাদ ও মিম্বার ভেঙে ফেলে দেয়। খবর পেয়ে এলাকার লোকজন চলে আসলে তারা পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে আমরা থানা পুলিশকে অবহিত করলে পটিয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ব্যাপারে বিগত ২১ নভেম্বর অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরদ্ধে পটিয়া থানায় জিডি নং-১৪৭৯ দায়ে করা হয়। 

ভাংচুরের বিষয়টি সত্যতা স্বীকার করেন পটিয়া থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক মনির হোসেন জানায়, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মসজিদের ছাদ ও মিম্বার ভাংচুর অবস্থায় দেখতে পাই আমরা। বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় দুপক্ষকে থানায় ঢাকানো হয়েছে। তবে ভাংচুরের ঘটনায় লিখিত কোন অভিযোগ হয়নি বলে তিনি জানান। 

এদিকে মসজিদ ভাংচুরের প্রতিবাদে ৯ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বিকালে  মসজিদ প্রাঙ্গনে এলাকাবাসী ও মসজিদ কমিটির উদ্যাগে প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। এতে বক্তব্য রাখেন মসজিদ কমিটির সভাপতি মুজিবুল ইসলাম চৌধুরী, জমির উদ্দীন, জিয়াউল হক, মসজিদ কমিটির সেক্রেটারী আবুল বশর, মোহাম্মদ  ইব্রাহিম, মোহাম্মদ 

ফরিদুল আলম, জাহেদুল ইসলাম, শহীদুল ইসলাম মিটু, শহীদুল ইসলাম পটল, মোহাম্মদ আইযুব, রিয়াদ সেলিম, রাকিব হাসান, নান্নু, জাহাঙ্গীর, রুবেল  প্রমুখ। 

মানববন্ধনে মসজিদ ভাংচুরের ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবী জানানো হয়। 

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ইকবাল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মসজিদটি অনেক দিনের পুরোনো। কমিটিকে জানানোর পরও সংস্কারের উদ্যোগ নিচ্ছে না। আমার পক্ষ থেকে 

মঙ্গলবার  সংস্কার কাজ শুরু করা হয়েছে

বলে দাবি করেন। মসজিদ ভাংচুর ঘটনায় এলাকায় উক্তেজনা বিরাজ করছে মুসল্লীদের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার সৃষ্টি হয়েছে। মসজিদে মুসল্লীরা মসজিদ ভাংচুর ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।