

প্রকাশিত
জহুরুল ইসলাম
নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি
নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলায় কামিল পরীক্ষার সেন্টার সংক্রান্ত জটিলতায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ছোটখাতা কামিল মাস্টার্স মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘদিন ধরে জেলার একটি নির্দিষ্ট মাদ্রাসায় কামিল পরীক্ষার সেন্টার থাকায় অন্যান্য উপজেলার শিক্ষার্থীদের অতিরিক্ত দূরত্ব অতিক্রম করে পরীক্ষায় অংশ নিতে হচ্ছে, যা তাদের জন্য সময়, অর্থ ও নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে।
জানা গেছে, চলতি শিক্ষাবর্ষে আরবি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সার্বিক সুবিধার কথা বিবেচনা করে ডিমলা কামিল মাদ্রাসায় কামিল পরীক্ষার সেন্টার অনুমোদন প্রদান করেছে। এতে ডিমলা উপজেলার শিক্ষার্থীরা স্বস্তি পেলেও, একই উপজেলার ছোটখাতা কামিল মাস্টার্স মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা এখনো ওই সেন্টারে অন্তর্ভুক্তির অনুমোদন না পাওয়ায় চরম অনিশ্চয়তায় রয়েছেন।
এ অবস্থায় ছোটখাতা কামিল মাস্টার্স মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষ বরাবর একটি লিখিত আবেদন জমা দিয়েছেন। আবেদনে তারা উল্লেখ করেন, ডিমলা কামিল মাদ্রাসায় কামিল পরীক্ষার সেন্টার কার্যকর হলে তাদের আর্থিক ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে কমবে, পরীক্ষায় অংশগ্রহণ হবে নিরাপদ ও সময়োপযোগী এবং মানসিক চাপ কমে ভালো ফলাফলের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
শিক্ষার্থীরা আরও অভিযোগ করেন, সেন্টার অন্তর্ভুক্তির অনুমোদন না থাকায় তাদের যাতায়াত, থাকা-খাওয়া ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচ বহুগুণ বেড়ে যাচ্ছে, যা অনেকের পক্ষে বহন করা কষ্টসাধ্য। এতে দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
আবেদনে তারা ন্যায়সঙ্গত ও মানবিক বিবেচনায় দুটি দাবি উত্থাপন করেন
এক, ছোটখাতা কামিল মাস্টার্স মাদ্রাসাকে সরাসরি কামিল পরীক্ষার সেন্টার হিসেবে অনুমোদন দেওয়া হোক; অথবা
দুই, ডিমলা কামিল মাদ্রাসায় স্থাপিত কামিল পরীক্ষার সেন্টারে ছোটখাতা মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্ত করার অনুমোদন দেওয়া হোক।
শিক্ষার্থীদের ভাষ্য, কর্তৃপক্ষের সদয় ও ইতিবাচক সিদ্ধান্ত তাদের ভবিষ্যৎ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং শিক্ষা ব্যবস্থায় ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠা হবে।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ ও কার্যকর সিদ্ধান্ত কামনা করছেন তারা।
ছাত্রছাত্রীরা আবেদন দেওয়ার পর উক্ত মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপাল আফজালুল হক এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন তোমাদের কে সোনাখুলি মুন্সিপাড়া কামিল মাদরাসা সেন্টারে পরিক্ষা দিতে হবে, ছাত্ররা বলেন তাহলে আমরা কেউ পরিক্ষা দিব না ভাইস প্রিঞ্চিপাল বলেন পরিক্ষা না দিলে আমাদের কিছুই করার নাই এর পর ছাত্রছাত্রীরা আগামী ৩ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য কামিল পরীক্ষা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।


















আপনার মতামত লিখুন :