
প্রকাশিত
সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
অতিরিক্ত রোগীর চাপে সেবা কার্যক্রমে বিশৃঙ্খলা, হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা
পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ধারণক্ষমতার তিনগুণেরও বেশি রোগী ভর্তি থাকায় চিকিৎসা সেবা প্রদান করতে গিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন কর্তৃপক্ষ। ৫০ শয্যার এই হাসপাতালটিতে প্রতিদিন গড়ে ১৩০ থেকে ১৭০ জন রোগী ভর্তি থাকছে। শয্যা সংকটের কারণে বাধ্য হয়ে মেঝেতে ও বারান্দায় রেখে রোগীদের চিকিৎসা দিতে হচ্ছে, যা তৈরি করছে চরম বিশৃঙ্খলা। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবার ভরসাস্থল এই হাসপাতালে প্রতিদিন বহির্বিভাগে ৩৫০ থেকে ৪৫০ জন রোগী সেবা নিতে আসেন। এছাড়া জরুরি বিভাগে প্রতিদিন ২৫০ থেকে ৩০০ জন রোগী চিকিৎসা গ্রহণ করেন। গড়ে প্রতিদিন নতুন করে ১০০-এর অধিক রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। হাসপাতালটির শয্যা সংখ্যা মাত্র ৫০টি। কিন্তু বর্তমানে এখানে গড়ে ১৩০ থেকে ১৭০ জন রোগী ভর্তি থাকছেন। বিপুল সংখ্যক এই রোগীর চাপে কাঙ্ক্ষিত সেবা নিশ্চিত করা ডাক্তার ও নার্সদের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত রোগীর কারণে হাসপাতালে প্রায়ই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে এবং চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্টরা বিভিন্ন মহলের চাপের মুখে পড়ছেন। এ বিষয়ে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মেজবাহ উদ্দিন জানান, “হাসপাতালে রোগীর তুলনায় বেড সংখ্যা অপ্রতুল। ৫০ শয্যার বিপরীতে প্রতিদিন আমাদের দেড় শতাধিক রোগীকে সেবা দিতে হচ্ছে। অতিরিক্ত রোগীর চাপে ফ্লোরে রেখে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে, ফলে অনেক সময় কাঙ্ক্ষিত সেবা প্রদানে সমস্যা হচ্ছে এবং বিশৃঙ্খলা তৈরি হচ্ছে। সীমিত জনবল ও অবকাঠামো নিয়ে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।”