
প্রকাশিত
গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি।
পটুয়াখালীর গলাচিপায় শালিসীর নামে প্রতিপক্ষকে ভোগান্তির স্বীকার করেছেন শালিসীগনরা ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ডাকুয়া ইউনিয়নের ডাকুয়া গ্রামে। এবিষয়ে মাসুদ গাজী ও রেজাউল গাজী জানান, গত ২২/১০/২০২৫ ইং তারিখে গলাচিপা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন মোসাঃ রাশিদা বেগম। অভিযোগের প্রেক্ষিতে গলাচিপা থানা পুলিশ প্রতিপক্ষ মাসুদ গাজী, রেজাউল গাজী ও সকলকে ডেকে উভয়পক্ষের মনোনীত শালিসীর নাম উপ¯’াপন করান। এতে, প্রতিপক্ষের শালিসীগণ ছয়টি কাট্রিজ পেপারে উভয় পক্ষের স্বাক্ষর রাখেন। শালিসীর কথা রয়েছিল ২৩/১০/২০২৫ ইং তারিখে কিš‘ তারা শালিসী অদ্যবধি করেননি। না করে প্রতিপক্ষকে ঘুরা”েছন এবিষয়ে রেজাউল জানান, আমাদের শালিসী না করে কাট্রিজ পেপারে স্বাক্ষর রেখে আমাদেরকে ঘুরা”েছন আমি বিষয়টি এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিদের জানালে তারা আইনের আশ্রয় নিতে বলেন। প্রতিপক্ষ রাশিদা বেগম বলেন, থানা থেকে শালিসী মানিয়ে দেওয়া হয়েছে কিš‘ এখনও পর্যন্ত কোনো শালিসী হয়নি। কাট্রিজ পেপারে আমাদের উভয়পক্ষেরই স্বাক্ষর নিয়েছেন। এবিষয়ে প্রতিপক্ষের মানিত শালিসী জাকির মোল্লা, ইব্রাহিম মোল্লা ও মিজানুর রহমান বলেন, বিষয়টি নিয়ে বসবো সময়ের অপেক্ষায় বসতে পারিনি। এলাকার ইউপি সদস্য হানিফ গাজী বলেন, শুনেছি ইউনিয়ন পরিষদে বিষয়টি নিয়ে বসবে কিš‘ এখনও পর্যন্ত বসেনি। রেজাউল গাজীর স্ত্রী হ্যাপি বেগম জানান, আমরা গরীব মানুষ আমার স্বামী একজন কৃষক। আমি চার সন্তানের জননী আমাদেরকে বিচারের নামে যদি এভাবে ঘুরানো হয় তাহলে আমরা পথে বসে যাবো। যেহেতু আমার স্বামী দিনমজুর। প্রতিদিন শালিসীর লোকেরা আমাদেরকে গলাচিপা শহরে আসতে বলে এভাবে চলতে থাকলে আমরা একদিন নি:শ^ হয়ে যাব। তাই সুশীল সমাজের কাছে আমাদের দাবি যাতে শালিসী পূর্নভাবে পরিপূর্ণ এবং আমরা আমাদের জায়গা বুঝে পাই এটাই আমাদের দাবি। গলাচিপা থানার এস.আই. মোঃ হাকিম উদ্দিন বলেন, বিষয়টি নিয়ে উভয়পক্ষকে ডেকে শালিসীর ব্যব¯’া করা হয়েছে। ধার্য্য তারিখে যেহেতু শালিসী হয়নি বিষয়টি আমি দেখব।