গলাচিপায় পৈত্রিক সম্পত্তি ফিরে পেতে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন সুবল।


দেশ সময় প্রকাশের সময় : ২০২৫-১১-১২, ১১:৫৬ অপরাহ্ন /
গলাচিপায় পৈত্রিক সম্পত্তি ফিরে পেতে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন সুবল।
print news || Dailydeshsomoy

প্রকাশিত,১২/১১/২০২৫ ইং

সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি।

পটুয়াখালীর গলাচিপায় পৈত্রিক সম্পত্তি ফিরে পেতে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন সুবল চন্দ্র দাস। সুবল চন্দ্র দাস হচ্ছেন- উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের চর হরিদেবপুর গ্রামের গোপাল চন্দ্রের পুত্র। ঘটনা সূত্রে ও সুবল চন্দ্র দাস জানান, বাবার পৈত্রিক সম্পত্তি ফিরে পেতে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছি।

কেউ সঠিক পথে হাটতে দিচ্ছে না। আজ আমি নিরুপায় হয়ে গেছি। অবশেষে সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর সহযোগিতায় আজ খাজনা দেওয়ার চেষ্টা করছি। আমি গরিব ও অসহায় মানুষ। বাবার মৃত্যুর পরে স্ত্রী সন্তান নিয়ে দুমুঠো খেয়ে পড়ে কোনরকম বেঁচে আছি। বাবার রেখে যাওয়া সম্পত্তি এস.এস খতিয়ান নং- ১৪৪, মৌজা- ইচাদিজোয়ার, জে.এল.নং- ৩০, দাগ নং- ৩৩৭, ৬৬৭, মোট জমির পরিমান- ৯৮ শতাংশ। এবিষয়ে সুবল চন্দ্র দাসের স্ত্রী আলো রানী বলেন, আমার শ^শুরের সম্পত্তি আমরা খেতে পারছিনা খাজনা দিতে পারিনা।

আমার ভাসুরের মৃত্যুর পরে তার ছেলে সত্যরঞ্জন দাস সেও কষ্টে আছে। আমাদের এত জমি থাকতেও আজ আমরা পথে পথে ঘুরছি। এবিষয়ে চর হরিদেবপুর ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সোহরাব বলেন- গোপাল চন্দ্রের নামে চর হরিদেবপুর গ্রামে অনেক জমি রয়েছে। আসলে সুবল চন্দ্র দাস গরীব মানুষ তার নিজ জমিগুলো যদি ফিরে পায় তাহলে ভালো ভাবে জীবন যাপন করতে পারবে। গজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান বিশ্বাস বলেন- সুবল চন্দ্র দাস আসলেই গরীব মানুষ। তার বাবার সম্পত্তি তিনি ফিরে পায় এটাই আমরা চাই। কারন এ সম্পত্তির প্রকৃত মালিক সুবল চন্দ্র দাস গংয়েরা। গলাচিপা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ সাইফুল ইসলাম সাইফ বলেন- জোর করে জমি খাওয়ার কোন সুযোগ নেই। কাগজপত্র যাচাই বাছাই করে প্রকৃত মালিকেরাই জমি খাবে। গায়ের জোরে এখন আর অন্যের জমি খাওয়ার কোন সুযোগ নেই।