

প্রকাশিত
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধিঃ
খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড রসুলপুর গ্রামে ওয়াজ মাহফিল আয়োজনকে কেন্দ্র করে জেলা পরিষদের সদস্য ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক এডভোকেট মনজিলা জুমার ফেসবুক লাইভে দেওয়া মন্তব্যের প্রতিবাদে রসুলপুর এলাকাবাসী সংবাদ সম্মেলন করেছে।
আজ ৮ ডিসেম্বর সকাল বেলা মনজিলা জুমা তার ফেসবুক লাইভে অভিযোগ করেন, রসুলপুর এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীরা ওয়াজ মাহফিল আয়োজনের নামে চাঁদাবাজি করছে। তার এই বক্তব্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানায় রসুলপুরের হাজারো সাধারণ মানুষ। সোমবার (০৮ ডিসেম্বর) বিকালে রসুলপুর গ্রামে স্থানীয় মসজিদ সংলগ্ন মাঠে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা জানান, ওয়াজ মাহফিলটি ছিল সম্পূর্ণ এলাকার উদ্যোগে আয়োজন করা একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান। কোনো রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তির সঙ্গে এর সম্পর্ক নেই। সমাজের সদস্যরা স্বেচ্ছায় অর্থ সহযোগিতা করে প্রতি বছরের মতো এবারও মাহফিলের আয়োজন করেন। কোনোভাবেই চাঁদাবাজি বা জোরপূর্বক অর্থ নেওয়ার ঘটনা ঘটেনি। সমাজবাসীরা অভিযোগ করেন, মনজিলা জুমার এমন উদ্দেশ্য প্রনোদিত, ভিত্তিহীন ও অসত্য মন্তব্যে পুরো এলাকার সুনাম ক্ষুণ্ণ হয়েছে। তারা বলেন, “আমরা নিজেরাই স্বেচ্ছায় টাকা দিয়ে মাহফিল করি; এখানে চাঁদাবাজির প্রশ্নই আসে না। মিথ্যা অপবাদ দিয়ে তিনি আমাদের সামাজিকভাবে হেয় করেছেন। এবং সুনামধন্য একটি রাজনৈতিক দল এবং দলের নেতাকর্মীদেরকে উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে রাজনৈতিক নেতাদের সুনাম ক্ষুণ্ণ করতে এ ধরনের মিথ্যা রটিয়েছেন। আমেনা বেগম বলেন, আমি নিজেও ১ হাজার দিছি। কারো কাছ থেকে জোর করে টাকা নেয়া হয় নি। চাঁদাবাজির অপবাদ সম্পুর্ণ মিথ্যা আমরা এই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানাই। মনজিলা জুমা মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করার চেষ্টা করেছেন, যা সামাজিক সম্প্রীতির জন্য হুমকি। তার প্রকাশ্য ক্ষমা ও যথাযথ তদন্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে রসুলপুর সমাজ পরিচালনা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকরামুল হোসেন মানিক মিয়া বলেন, এ ধরনের অপপ্রচার কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। প্রতিবাদ সমাবেশে রসুলপুর এলাকার হাজারো মানুষ এই প্রতিবাদে একাত্মতা প্রকাশ করেন। মসজিদের পেশ ইমাম মো. হাফিজুল ইসলাম শিকদার বলেন, এলাকার মানুষ নিজেরাই স্বেচ্ছায় ওয়াজ মাহফিলের আযোজন করেন। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে এলাাকাবাসী তথা বিএনপিকে চাঁদাবাজির অপবাদ দেওয়া হয়েছে। আমরা মনজিলা জুমার এই ভিত্তিহীন বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাই এবং তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করি।” রসুলপুর সমাজ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. মানিক মিয়া বলেন, আমাদের সমাজে সব ধর্মীয় অনুষ্ঠানই স্বেচ্ছাশ্রমে হয়। এবারও সমাজের মানুষেরা যে যতো পারে ততো দিয়েছে। কোনো রাজনৈতিক দলের হস্তক্ষেপ নেই। কিন্তু আমাদের শান্তিপূর্ণ সমাজকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিতর্কিত করা হয়েছে। আমরা এর সঠিক বিচার চাই।” রসুলপুর সমাজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. রোকন উদ্দিন নাসির বলেন, আমরা প্রতিবছর স্বেচ্ছাশ্রমে নিজদের অর্থায়নে ওয়াজ মাহফিল করিয়ে থাকি। কারো কাছ থেকে জোর করে টাকা নেয়ার কোন অভিযোগ নাই। মনজিল জুমা আমাদের সমাজের কেহ নন। তিনি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে বিএনপির নেতাকর্মীদের চাঁদাবাজ দাবি করে ফেসবুকে লাইভে পোস্ট দিয়েছেন। তার পোস্ট ডিলেট সহ ফেসুবক লাইভেই তাকে ক্ষমা চাইতে হবে। অন্যথায় রসুলপুর এলাকাবাসী তাঁর বিরুদ্ধে মানববন্ধন সহ কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবো।


















আপনার মতামত লিখুন :