প্রকাশিত,২৯, আগস্ট,২০২৩
পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
– জাতীয় শ্রমিকলীগ পটিয়া পৌরসভার সভাপতি শফিকুল ইসলাম শফি বলেছেন,১৫ ও ২১ আগস্ট একই সূত্রে গাঁথা,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বকালের-সর্বযুগের-সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যিনি একটি চেতনা ও অধ্যায়ের নাম। দৈনিক ইনফো বাংলাকে শফিকুল ইসলাম শফি বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এই দুটি নাম একে অপরের পরিপূরক যা আজ ঐতিহাসিকভাবে সমাদৃত। তাঁর দীর্ঘ দিনের সংগ্রাম, নেতৃত্ব ও আত্মত্যাগের পথ ধরেই বাঙালি জাতি তাদের অর্জিত বিজয় অর্জন করেন। তাঁর সুযোগ্য নেতৃত্বে এই দেশ সকল প্রকার অন্যায়, শাসন, শোষণ নিপীড়ন থেকে মুক্তি লাভ করে, অর্জন করে স্বাধীনতা। হ্যামিলনের বংশীবাদকের মতো বঙ্গবন্ধু সমগ্র জাতিকে একসূত্রে গ্রথিত করেন। তিনি ছিলেন রাজনীতির কবি। রাজনীতিকে তিনি সৃষ্টিশীল চেতনা দিয়ে নিজের হাতে আঁকার দিয়েছেন। পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক শক্তির শৃঙ্খল থেকে তিনি বাঙালি জনগোষ্ঠীকে মুক্ত করে স্বাধীন দেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন। আর জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সেই স্বপ্ন তিনি বাস্তবায়ন করেছেন। এ মুক্তি সংগ্রামে তিনি নিজের জীবনকে তুচ্ছ করেছিলেন। পাকিস্তানি শাষক চক্রের বিরূপ মনোভাব বুঝতে পেরেছিলেন তিনি। ১৯৪৭-এ দেশভাগ হওয়ার পর থেকেই স্বপ্ন দেখেছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার। বঙ্গবন্ধু সেই লক্ষ্যে ধীরে ধীরে অগ্রসর হয়েছেন এবং ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়ে ছিনিয়ে আনেন মহান বিজয়। তারপর থেকে তিনি যুক্ত হন আরেক সংগ্রামে। যার মূলমন্ত্র ছিল একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গঠন। তিনি এই দেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য কাজ করে গেছেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু বাংলাদেশের নেতা ছিলেন না। তিনি হয়ে উঠেছিলেন সারাবিশ্বের নেতা। সারা পৃথিবীর শোষিত মানুষের কণ্ঠস্বর ছিলেন। তাইত তিনি বিশ্বনেতা। বিশ্বসভায় বাংলাদেশের একমাত্র ব্রান্ডিং হয়ে উঠেছিলেন বঙ্গবন্ধু। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু আত্মনিয়োগ করেছিলেন জাতি গঠনে। দেশের অর্থনীতির উন্নয়ন, রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সামাজিক নিরাপত্তাসহ মূল ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন। দেশের অন্যান্য সম্ভাবনাময় সেক্টরের মতো পর্যটনশিল্প নিয়েও তাঁর পরিকল্পনা ছিল সুদূরপ্রসারী। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাজনৈতিক কারণে দেশের প্রায় প্রতিটি জেলা, উপজেলা, থানা ঘুরেছেন। তিনি এই দেশের অপার সম্ভাবনা দেখে মুগ্ধ হয়েছেন বারংবার।
বঙ্গবন্ধু ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত, সুস্থ, সবল জ্ঞান, চেতনা সমৃদ্ধ, কোনোরকম ভেদ বৈষম্যহীন, শোষণহীন, অসাম্প্রদায়িক, চেতনায় উদ্বুদ্ধ দেশপ্রেমিক মানুষের উন্নত সমৃদ্ধ এক আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চেয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের দর্শনকে সংজ্ঞায়িত করা যায় এভাবে, সব মানুষের জন্য পাঁচ ধরনের স্বাধীনতা নিশ্চিত হবে। এর মধ্যে থাকবে রাজনৈতিক স্বাধীনতা, অর্থনৈতিক সুযোগ, সামাজিক সুবিধাদি স্বচ্ছতার নিশ্চয়তা এবং ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সুরক্ষার স্বাধীনতা। আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধুর অন্যতম দর্শন ছিল বৈষম্যহীন অর্থনীতি ও সমাজ বিনির্মাণের বিষয়টি ছিল অন্যতম অনুষঙ্গ।
সেলিম চৌধুরী
পটিয়া প্রতিনিধি
পটিয়া চট্টগ্রাম
২৯/০৮/২৩ ইং।
আপনার মতামত লিখুন :