প্রকাশিত,২৫, জুন,২০২৩
মোঃ শিহাব উদ্দিন গোপালগঞ্জ
ঘামছে কামার, পুড়ছে লোহা, তৈরি হচ্ছে ছুরি, চাপাতি দা। কামারশালা গুলো কোরবানি সামনে রেখে সরগরম হয়েছে। তাই হাতুড়ির টুং-টাং শব্দে মুখর হয়ে উঠেছে গোপালগঞ্জের কামার পাড়া। প্রতিদিন তৈরি করছেন গরু-ছাগল কোরবানী দেয়ার ছুরি, বটিসহ বিভিন্ন অস্ত্র। সারা বছর কাজ না থাকলেও কোরবানি ঈদের কয়েকদিন আগে থেকে ক্রেতাদের পদচারণায় কর্মব্যস্ত থাকেন তারা। আর সেই সাথে তাদের আয়ও হয় ভালো।
আর মাত্র কযেকদিন বাকি পবিত্র ঈদুল আজহার। জেলার সর্বত্র গরু কোরবানি হবে কযেক হাজার। এসব গরু কাটতে দরকার ছোরা, চাপাতি, দা, বটিসহ বিভিন্ন অস্ত্রের। তাই অস্ত্র তৈরি করতে গিয়ে হাতুড়ির টুং-টাং শব্দে সরগরম হযে উঠেছে গোপালগঞ্জের কামারপাড়া। গত সপ্তাহ খানেক ধরে ব্যস্ততা বেড়ে গেছে গোপালগঞ্জের কামারদের।
সারা বছর কাজ কম থাকলেও ঈদুল আজহার এ সময়টা অস্ত্র তৈরি ও অস্ত্র সান দিতে ব্যস্ত সময় কাটায় এ পেশায় জড়িতরা। সারা বছর এ সময়টার জন্য তারা বসে থাকেন। তৈরি করা ছুরি, চাপাতি, দা, বটিসহ বিভিন্ন অস্ত্র মান অনুযায়ী ২শ’ থেকে ৫শ’ টাকা পিস হিসেবে বিক্রি করা হচ্ছে।
এদিকে গরু কোরবানি দিতে ও মাংস বানানোর জন্য জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ক্রেতারা এসে নতুন ভাবে বানাচ্ছেন ছোরা, চাপাতি, দা, বটি, ছুরিসহ বিভিন্ন অস্ত্র। অনেকে আবার পুরানো অস্ত্র পাইন (ধারালো করা) দিয়ে ধারালো করে নিচ্ছেন। তবে লোহা পোড়ানোর প্রধান অনুসঙ্গ কয়লার দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় লাভ হচ্ছে কম।
গোপালগঞ্জ শহরের কামারপাড়ার কামার শিল্পি কানাই বিশ্বাস বলেন, সারা বছর দা, ছুরি, কাচি এসব সরঞ্জাম তৈরির তেমন কাজ থাকে না। কোরবানির ঈদ আসলে কাজের চাপ একটু বেশি হয়।
আগে যেমন খেতে খামারে কাজ হত তখন সেখানে কাচি, কোদাল নিড়ানিসহ বিভিন্ন লোহার সরঞ্জাম ব্যবহার হত। এখন আর আগের মত খেতে খামারে কৃষি কাজে এসব অস্ত্র ব্যবহার হয় না। তাই এখন আমাদের কাজ অনেক কম। প্রতি বছর কোরবানির ঈদ আসলে আমাদের কাজ বেশি হয় আয় রোজগারও বেশি হয়।
নবীনবাগের শাহাবুদ্দিন সুজা নামে এক ক্রেতা বলেন, কোরবানির জন্য আমি ছুরি, চাপাতি, বটি বানাতে এসেছি। আবার কিছূু পুরানো অস্ত্র ধারও দিতে হবে। তবে গতবারের থেকে দাম বেশি নয়। কোরবানি দিতে এসব সরঞ্জাম দরকার। তাই বানানোর জন্য এসেছি।
আপনার মতামত লিখুন :