শুক্রবার (২০ অক্টোবর) সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে অনুষ্ঠিত উপসাগরীয় সহযোগিতা সংস্থা জিসিসি ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট আসিয়ানের যৌথ সম্মেলনে দেওয়া ভাষণে এই আহ্বান জানান তিনি।
মোহাম্মদ বিন সালমান বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা ও দীর্ঘস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করতে হবে। আর তার জন্য এমন পরিস্থিতি তৈরি করতে হবে, যা ১৯৬৭ সালে নির্ধারিত সীমানার ভিত্তিতে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার একটি ন্যায়সংগত সমাধান নিশ্চিত করবে।
ইসরায়েল-হামাসের মধ্যকার চলমান সংঘাত বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে মোহাম্মদ বিন সালমান বলেন, আমাদের আজকের এই বৈঠকের সময়ও গাজাবাসী যে অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তা আমাদের কষ্ট দেয়। বিশেষ করে, সহিংসতার বিস্তৃতি ও বেসামরিক মানুষের প্রাণহানি আমাদের মর্মাহত করছে।
বক্তব্যে মোহাম্মদ বিন সালমান যুদ্ধক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মানবতাসংক্রান্ত আইন অনুসরণ করার আহ্বান জানান। পাশাপাশি গাজার বেসামরিক অবকাঠামোগুলোতে ইসরায়েলি সামরিক অভিযান বন্ধ করারও আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, হামাস ২০১৭ সালের এক নীতিনির্ধারণী নথিতে ইঙ্গিত দিয়েছিল, তারা ১৯৬৭ সালের ছয় দিনের যুদ্ধে ইসরায়েল যেসব অঞ্চল দখল করেছিল, সেগুলো যদি ফিরিয়ে দেয় ও অঞ্চলগুলোকে যদি ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন করা হয়, তাহলে তারা তা মেনে নেবে।
অন্যদিকে, ইসরায়েল বরাবরই হামাসের ওই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। এমনকি, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুও একাধিকবার বলেছেন, ইসরায়েল কখনোই ছয় দিনের যুদ্ধ দখল করা ভূখণ্ড ফেরত দেবে না বা ১৯৬৭ সালের সীমান্তে ফিরে আসবে না।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক রকেট হামলা চারায় হামাস। সেদিন মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যে ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে প্রায় ৫ হাজার রকেট ছোড়ে তারা। পরে সীমান্তবেড়া ভেঙে ইহুদি দেশটির অভ্যন্তরে ঢুকে পড়েন হামাসের যোদ্ধারা।
হামাসের হামলায় অন্তত ১ হাজার ৪০০ ইসরায়েলি নিহত হয়। বিপরীতে ফিলিস্তিনের গাজা ও পশ্চিম তীরে হামলা শুরু করে ইসরায়েল, যাতে নিহত প্রায় সাড়ে ৪ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
সূত্র: সৌদি গ্যাজেট