প্রকাশিত,২৭,অক্টোবর
স্টাফ রিপোর্টার:
সংবাদ প্রকাশের জেরে দৈনিক দৃষ্টি প্রতিদিন ও পিপলস নিউজ২৪.কম অনলাইন নিউজ পোর্টালের সিরাজদিখান প্রতিনিধি পেশাদার সাংবাদিক মোহাম্মদ রোমান হাওলাদারকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকসহ অন্যান্য যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালোনোর অভিযোগ উঠেছে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের মোল্লাকান্দি বালুচর গ্রামের মৃত গনির ছেলে মোঃ মোস্তফার বিরুদ্ধে। চাঁদাবাজী আর ধান্দাবাজির মাধ্যমে সাংবাদিকতাকে কলঙ্কিত করা নামধারী সাংবাদিক মোস্তফা কর্তৃক সম্প্রতি পুলিশের নাম বিক্রি করে স্থানীয় কবিরাজ শাহ জলালের কাছ থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা চাদাবাজীসহ তার নানা অপকর্মে নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জেরে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভুয়া তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক, ফেইসবুক মেসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে বিভিন্ন মানুষকে পাঠিয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে মর্মে অভিযোগ ভুক্তভোগী সাংবাদিক মোহাম্মদ রোমান হাওলাদারের। এ ব্যপারে ভুক্তভোগী সাংবাদিক মোহাম্মদ রোমান হাওলাদার অভিযুক্ত ধান্দাবাজ মোস্তফার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের প্রস্তুতি নিয়েছেন মর্মে তিনি জানিয়েছেন।
ভুক্তভোগী মোহাম্মদ রোমান হাওলাদার বলেন, সাংবাদিক নামধারী সিরাজদিখান উপজেলার চিহ্নিত চাঁদাবাজ ও ধান্দাবাজ মাটি কাটার ট্রলারের কামলা মোস্তফার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় সে এখন অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে। তাই সে আমার আমাকে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে গভীর ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। সে আমার গ্রামের এক স্বামী পরিত্যাক্তা নারীর সাথে দীর্ঘদিন অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে সেই নারীকে অবৈধভাবে ভোগ করেছে। ধরা খেয়ে ওই নারীকে বিয়ে করে৷ পরে তার প্রথম স্ত্রীর হাতে মারধরের শিকার হয়ে ধরা খেয়ে বিয়ে করা ওই নারীকে কয়েক লাখ টাকা জরিমানা দিয়ে তালাকও দিয়েছে। সে তার নিজ এলাকা বালুচরের বহু মানুষের কাছ থেকে টাকা চুরি করে সিরাজদিখানে এসে উঠে। সিরাজদিখান উপজেলার সাংবাদিকদের সাথে সম্পর্ক তৈরি করে নিজেও সাংবাদিক বনে যায়। অথচ সে সময় সে যে মাটির ট্রলারের কামলা কেউ জানতো না। সিরাজদিখান বাজারের পাশে সমবায় সুপার মার্কেটে আমার কম্পিউটারের দোকান ছিলো। আমার দোকানে সারাদিন বসে থেকে আমাকে দিয়ে নিউজ লিখিয়ে নিয়ে নিজের নাম ফুটাতো। যার নিজের নাম লিখতে কলম ভাঙতে হয় ১০ টা সে আবার আমার বিরুদ্ধ কি কলম ধরবে। একসময় আমার সাথে সে চললেও তার নানা অপকর্মের
কারণে নিজের সম্মান নিয়ে নিজে তার কাছ থেকে সরে আসি। সিরাজদিখানের সাংবাদিকদের কাছে সে নিজেকে শিক্ষিত দাবী করে টাই পরে ঘুরলেও সে যে অশিক্ষিত সেটা হয়তো অনেকেই জানে না। সিরাজদিখানের সাংবাদিকরা ক্রাইম নিউজ করে আর সে সেইসব নিউজের অভিযুক্তদের কাছে গিয়ে তাদের সাপোর্ট দেওয়ার কথা বলে অর্থ বাগানোই তার মূল পেশা। আজকে দেখলাম সে আমার বিরুদ্ধে একটা অনলাইন পোর্টালের লিংক শেয়ার করেছে। সেখানে আমার বিরুদ্ধে মাদক সেবনের অভিযোগ তুলে আমাকে হেয় করার জন্য বিভিন্ন ভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে। কেউ কি জানে প্রতি রাতে তার গাছের পাতা না খেলে ঘুম হয় না, সকালে ঘুম থেকে উঠে সেই খাওয়া পাতার ছাই দিয়ে দাতও মাজা ছাড়া দাত পরিস্কার হয়না।
মূলত আমি সাংবাদিক নামধারী ধান্দাবাজ মোস্তফার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় সে এখন অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে। তাই সে সিরাজদিখানের আরো এক চিহ্নিত বাটপারকে সাথে নিযে আমার বিরুদ্ধে নানা স্বড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। মোস্তফার ডোপ টেস্ট করার আর আমরাটাও করান। কে মাদকে আশক্ত সেটা বেরিয়ে আসবে। আজকাল কাউকে হেয় করতে তার বিরুদ্ধে মাদকের তকমা লাগিয়ে দিয়ে তাকে হেয় করা সহজ হলেও প্রযুক্তিও পিছিয়ে নেই। ভেবেছিলাম তার বিরুদ্ধে আমার যাওয়া না মানালেও তাকে ছায়া দেওয়া মানুষগুলোর মুখোশ উন্মোচনের জন্য তার বিরুদ্ধে আরো একটা নিউজ করবো। ছেচড়া ধান্দাবাজকে উদ্দেশ্য করে বলতে চাই আল্লাহর রহমতে তার চেয়ে হাজারগুন শক্তিধর ব্যক্তিবর্গই পশম বাকা করতে পারে নাই, আর সেতো মাটির কামলাই। কারণ অপকর্ম করে চালি না। সর্বশেষ সিরাজদিখানে কোন ধান্দাবাজ মাটির কামলা সাংবাদিকতা করতে পারবে না।
অভিযুক্ত মোস্তফার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোনটি বন্ধ থাকায় স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে খবর নিয়ে জানা যায়, সম্প্রতি বালুচর বাজারে ডিডি পুলিশ পেটানো ১৩ নং মামলার ১৬ নং আসামী হয়ে গ্রেফতারের ভয়ে এলাকা ছেড়েছেন মোস্তফা।
এদিক সাংবাদিক মোহাম্মদ রোমান হালদারের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধম্যে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সিরাজদিখান ক্লাবসহ সুশিল সমাজের ব্যক্তিবর্গের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে।