প্রকাশিত,১৩, আগস্ট,২০২৩
নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ
সিনিয়র নেতৃত্বশূন্য হাজীগঞ্জের বিএনপি
যেহেতু বিএনপির জন্মসূত্রেই এই দল করছি, আজও ৭৫ বছর বয়সেও সেই দলের রাজনীতির সাথেই আছি। তাই বিবেকের তাড়নায় এই লেখাটি লিখতে হচ্ছে। আমি জানি, এই লেখাটির প্রশংসা তো হবেই না, বরং কঠোর সমালোচনা হবে এবং কেউ আমার অফিসে এসে অভদ্র ব্যবহারও করতে পারে এমনকি রাস্তাঘাটে লাঞ্ছিত হওয়ার সম্ভাবনাও আছে। কারণ, এখন হাজীগঞ্জে বিএনপির রাজনীতির সংস্কৃতিতে জুনিয়র নেতাকর্মীরা সিনিয়র নেতাবৃন্দের সাথে দলের কোন কথায় দ্বিমত পোষণ করলে এমন আচরণই করে। বাংলাদেশে এখন বিএনপির যে জনপ্রিয়তা- গত ৪৩ বছরেও এরকম জনপ্রিয়তা আমি দেখিনি। এটার কারণ, গত ১৫ বছরে দেশে আওয়ামীলীগের দুর্নীতি,সুশাসনের অভাব,প্রশাসন দলীয়কারণ এবং গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে মানুষের ভোটে অধিকার কেড়ে নেওয়া আর মরহুম জিয়াউর রহমানেরর প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।
এইবারের নিরপেক্ষ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আন্দোলনে বিএনপি যদি জয়লাভ না করতে পারে এবং আগামী নির্বাচনে ক্ষমতায় না আসতে পারে, তাহলে আগামী দিনে বিএনপির রাজনীতিতে টিকে থাকা বড় কঠিন হবে। তাই এই আন্দোলনে প্রয়োজন প্রবীণ এবং নবীন নেতাকর্মীর। প্রবীণরা তাদের অভিজ্ঞতা দিয়ে এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দিবেন আর নবীন নেতাকর্মী জীবন বাজি রেখে মাঠ পর্যায়ে আন্দোলন করবে। তাহলেই কেবল এই আন্দোলন সফল হবে। তবে হাজীগঞ্জে দলের এই প্রবীণ নেতাবৃন্দের শূন্যতা আগামী আন্দোলনে সফল হওয়ার জন্য ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
বাংলাদেশে বিএনপিতে এক এগারোর সামরিক শাসনের সময় মাঠ পর্যায়ের অনেক ছোট নেতা প্রবীণ নেতাদের ডিঙিয়ে হঠাৎ খুব বড় নেতা হয়ে যায়। সেই নতুন বড় হওয়া নেতারা এখনকার রাজনীতিতে প্রবীণ নেতাদেরকে মেনে নিতে পারে না। আর দলের প্রবীণ নেতাদের দুর্ভাগ্য তাদের জন্য রাজনীতি করা খুব কঠিন হয়ে যাচ্ছে। কারণ, হঠাৎ দলে সেই বড় হওয়া নেতাদের থেকে প্রবীণ নেতাদের যে সম্মান পাওয়ার কথা সেটা তো পায়-ই না বরং অপমানিত ও লাঞ্ছিত হয়।
আপনার মতামত লিখুন :