সাতকানিয়া সদরে বন্যার পানিতে ডুবে গেছে উপজেলা ভমি অফিস সহ অধিকাংশ স্থাপনা।


deshsomoy প্রকাশের সময় : ২০২৩-০৮-০৮, ১১:৩১ পূর্বাহ্ন /
সাতকানিয়া সদরে বন্যার পানিতে ডুবে গেছে উপজেলা ভমি অফিস সহ অধিকাংশ স্থাপনা।

প্রকাশিত,০৮, আগস্ট,২০২৩

শহীদুল ইসলাম বাবর, দক্ষিণ চট্টগ্রামঃ

দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) সকাল থেকে বন্যা পরিস্থিতির ক্রমাগতই অবনতি হয়। বন্যার পানিতে প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা।

বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতিতে বানভাসি মানুষের মাঝে বিরাজ করছে আতঙ্ক। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মানুষকে উদ্ধারের জন্য মাইকিং করা হয়েছে।
বর্তমানে অন্তত দেড় লক্ষাধিক মানুষ পানি বন্দি অবস্থায় রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শুধু কেওচিয়া ইউনিয়নেই ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান ওসমান আলী।
চট্টগ্রাম বান্দরবান সড়কের দস্তিদারহাট এলাকায় সড়কের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় আজ সকাল থেকেই বন্ধ ছিল পার্বত্য জেলা বান্দরবানের সঙ্গে সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ।

বর্তমানে সাতকানিয়া পৌর সদর, সাতকানিয়া সদর ইউনিয়ন,

কেওচিয়া, ছদাহা, বাজালিয়া, দপুরানগড়, ধর্মপুর, কালিয়াইশ, নলুয়া, কাঞ্চনা, আমিলাইষ ও চরতী ইউনিয়নের বেশিরভাগ গ্রামে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। এই ভারি বর্ষণ অব্যাহত থাকলে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের সাতকানিয়া উপজেলা অংশের হাসমত আলী শিকদারের দোকান, সাতকানিয়ার রাস্তার মাথা, কেরানিহাট ও মৌলবির দোকান এলাকা পানির নিচে তলিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন বিশ্বাস বলেন, সাতকানিয়ার বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য আমরা আজ জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেছি। বৈঠকে জানমাল রক্ষা, বানভাসি মানুষদের উদ্ধারের জন্য ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বন্যার পানি দ্রুত গতিতে বাড়ছে বলে জানা গেছে।