সরকারের কাছে যে দাবী জানালো প্রবাসী রেমিটেন্স যোদ্ধা মোঃ তৌহিদুল।


deshsomoy প্রকাশের সময় : ২০২৩-০৮-১৬, ১০:৪৮ অপরাহ্ন /
সরকারের কাছে যে দাবী জানালো প্রবাসী রেমিটেন্স যোদ্ধা মোঃ তৌহিদুল।

প্রকাশিত,১৬, আগস্ট,২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:

প্রবাসী রেমিটেন্স যোদ্ধা মোঃ তৌহিদুল ইসলাম প্রতারণার স্বীকার হয়েছেন । এক আলাপকালে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আমি একজন প্রবাসি রেমিটেন্স যোদ্ধা মোঃ তৌহিদুল ইসলাম ।

আমার বাড়ি নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলার, ৫নং অর্জুনতলা ইউনিয়ন, দক্ষিন মানিকপুর গ্রামে । আমার বাবার নাম মৃতঃ আবদুল জব্বার । আমি ২০১৪ ইং সাল হতে দীর্ঘদিন যাবত কাতারে ব্যবসা করে আসিতেছি।
বিগত চার বছর পূর্ব থেকে জনৈক মোঃ ইউনুস হোসেন ওরপে রাজিব, পিতাঃ-হুমায়ুন কবির, গ্রামঃ-৬ নং কাবিলপুর ইউনিয়ন মইজদি পুর বেপারি বাড়ী, উপজেলাঃ-সেনবাগ এর সাথে মৌখিক ও সাদা কাগজের চুক্তি পত্রের মাধ্যমে ব্যবসা শুরু করি এবং ব্যবসার লভ্যাংশ মোঃ তৌহিদুল ইসলামের ৭০% আর মোঃ ইউনুস হোসেন রাজিবের ৩০%।

পরবর্তীতে ইউনুসের সাথে তৌহিদুল ইসলামের হিসাব-নিকাশে বনিবনা হচ্ছে না হওয়ায় ভাই-বন্ধু (বাঙ্গালী) সহ বৈঠকের মাধ্যমে সমাদানের চেষ্টা করেন এবং মোঃ তৌহিদুল ইসলাম তার পার্টনার মোঃ ইউনুস হোসেন ওরপে রাজিবের কাছে টাকা পাওনা হন। কিছুদিন পর মোঃ তৌহিদুল ইসলাম কে টাকা না দিয়ে, মোঃ তৌহিূুল ইসলামের সাথে আরেক জন ব্যবসায়ীক পার্টনার মোঃ আবু তায়েব পিতাঃ কুদরুছ সাবা, গ্রামঃ ৭নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন দক্ষিন রাজা রামপুর ওয়ালী মুন্সী বাড়ী।

পরবর্তী’তে তাহার দুইজন একত্রিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে নানান রকম ষড়যন্ত্র শুরু করেন, তারই অংশ হিসাবে আমাকে পাওনা টাকা-পয়সা লেনদেন করবেন বলে ফোন করে তাদের বাসায় নিয়ে আটকিয়ে রেখে, প্রায় ১২ ঘন্টা জিম্মি করে মারধর এবং হত্যার হুমকি দিয়ে আমার নিকট থেকে জোরপূর্বক একটা সাদা স্ট্যাম্পে দস্তখত /সই নেয় এবং কাতারের প্রশাসন দিয়ে ক্ষতিসাধন করার চেষ্টা করে । আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ মোকাবেলা করি। এবং গত ০৫/০৩/২০২৩ইং কাতারে অবস্থিত বাংলাদেশ দুতাবাস কে (রাষ্ট্রদূত) ঘটনার বিস্তারিত লিখিতভাবে অভিযোগ করে তাহা তদন্ত চলমান।

ইতিমধ্যে ২৪/০৭/২০২৩ইং তারিখে আমি (কাতার) প্রবাস থেকে ছুটিতে বাংলাদেশে নিজবাড়ীতে আসি। বাড়ীতে আসার পর ২৬/০৭/২০২৩ইং আনুঃ বিকেল ০৫ টার সময় কাতার প্রবাসী মোঃ ইউনুস ওরপে রাজিব (প্রতারক) তার পিতা সহ আরো ১০/১২ জন লোক নিয়ে আমাকে মানিকপুর নিজ বাড়ীতে এসে হুমকি-ধমকি দিতেছেন এবং বলছেন কাতারে আমার বাকী ব্যবসাও তারা জবরদখল করে নিয়ে গেছেন। তাই আমি তৌহিদুল ইসলাম, নিরাপত্তা চেয়ে সেনবাগ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। এই ব্যাপারে বাংলাদেশ এবং কাতারে মামলা দায়ের করা হয়েছে।