সংস্থান তৈরিতে প্রয়াত নুরুল ইসলামের অবদান স্বর্ণের অক্ষরে লেখা থাকবে ।


deshsomoy প্রকাশের সময় : ২০২৩-০৭-১৩, ১১:১২ অপরাহ্ন /
সংস্থান তৈরিতে প্রয়াত নুরুল  ইসলামের অবদান স্বর্ণের অক্ষরে লেখা থাকবে ।

প্রকাশিত,১৩, জুলাই,২০২৩

মোঃ মুক্তাদির হোসেন।
স্টাফ রিপোর্টার।

দেশের মানুষের কর্মসংস্থান তৈরিতে অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবেন যমুনা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম।’ গাজীপুরের কালীগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে শোকসভা, আলোচনা, খতমে কুরআন ও দোয়া মাহফিলে বক্তারা এসব কথা বলেন।

বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার আজমতপুর হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানাসহ বিভিন্ন মাদ্রাসায় কুরআন খতম ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দুপরে আজমতপুর চৌরাস্তা সংলগ্ন ভাই ভাই মার্কেটে কর্মে কৌলীন্য অনন্য এক জীবন বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এক স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।

নুরুল ইসলামের সংগ্রামী জীবন ও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে তার বিশেষ অবদানের কথা তুলে ধরে বক্তব্য দেন সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। সভা টির সঞ্চলনায় ছিলেন দৈনিক যুগান্তরের কালীগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি প্রতিনিধি আব্দুল গাফফার ও কাপাশিয়া উপজেলা প্রতিনিধি মো. খোরশেদ আলম।

উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর হোসেন খানের সভাপতিত্বে শোকসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন কাপাসিয়া উপজেলা স্বজনের সভাপতি ও উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ গণি।

এ সময় বক্তব্য রাখেন কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক শরীফ হোসেন খান কনক, জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হাফিজুল্লাহ খোকা, বিশিষ্ট শিল্পপতি ও ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন খান, কেন্দ্রীয় জাতীয় শ্রমিক পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক মিনহাজ আবেদিন বিশাল, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবু শ্যামল চন্দ্র পাল, জাঙ্গালিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ও আজমতপুর চৌরাস্তা বাজার বনিক সমিতির সভাপতি মতিউর রহমান খান, থানা কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউপি সদস্য ফারুক খান, ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন, সাংবাদিক তৈয়বুর রহমান, আব্দুল লতিফ খান, মেজবাহ উদ্দিন খান, নিহার দেবনাথ প্রমুখ।

সভায় বক্তারা বলেন, দেশের মানুষের কর্মসংস্থান তৈরিতে নুরুল ইসলামের অবদান অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। নুরুল ইসলাম একজন উঁচুমানের মানুষ ছিলেন। দেশ, সমাজ ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে অনেক বড় অবদান রেখেছেন। সেটি নিঃসন্দেহে তাকে অমর করে রাখবে। 

বক্তারা আরও বলেন, দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে নুরুল ইসলামের ভূমিকা অনেক। তার এ অবদানের জন্য জাতি উনাকে চিরদিন স্মরণ রাখবে। বিশেষ করে বলিষ্ঠ নেতৃত্বের মাধ্যমে দেশে এত বড় একটি শিল্প গ্রুপ সৃষ্টি এবং পরিচালনায় তিনি ছিলেন একজন সফল মানুষ। তিনি ছিলেন একজন সাহসী ও কঠোর পরিশ্রমী উদ্যোক্তা। নতুন নতুন শিল্পে বিনিয়োগ করে বড় চ্যালেঞ্জ নিতেন। মেধা, সততা ও কঠোর পরিশ্রমের কারণে তিনি চ্যালেঞ্জ নিয়েও সফল হয়েছেন।

আলোচনা শেষে মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং তার মহৎ কর্ম তুলে ধরে দোয়া পরিচালনা করেন আজমতপুর হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার মোহতামিম হাফেজ মাওলানা মুফতি আবুল ফজল। দোয়া শেষে সবার মাঝে তোবারক বিতরণ করা হয়।