সংবাদ প্রকাশের পর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পেলেন ভূমিহীন দম্পতি মাজম-বেগম।


deshsomoy প্রকাশের সময় : ২০২৩-০৮-২৮, ১১:১৭ অপরাহ্ন /
সংবাদ প্রকাশের পর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পেলেন ভূমিহীন দম্পতি মাজম-বেগম।

প্রকাশিত,২৮, আগস্ট,২০২৩

ফরিদুল ইসলাম ফরিদ, দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর)

প্রতিনিধিঃ

দৈনিক খবর পত্র, দৈনিক আজকের বসুন্ধরা, দৈনিক দুর্জয় বাংলা, সকালের কন্ঠ পত্রিকাসহ বিভিন্ন পত্রিকায় “ঝুপড়ি ঘরে বসবাস মাজম দম্পত্তি” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার ১২ ঘন্টা পর আশ্রয়ন প্রকল্পের জমিসহ ঘর পেলেন জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চরআমখাওয়া ইউনিয়নের
সানন্দবাড়ী লম্বাপাড়া গ্রামের বৃদ্ধ মাজম ও তার ভূমিহীন দম্পতি মোছাঃ বেগম।

দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) কামরুন্নাহার শেফার নির্দেশনায়,
আজ (২৮ আগষ্ট) সোমবার বিকালে
দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ডাংধরা ইউনিয়ন আশ্রয়ন প্রকল্পে গিয়ে ওই ভূমিহীন দম্পতি মাজম ও বেগমের হাতে ঘরের চাবি তুলে দেন।

দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী মাজিস্ট্রেট (ভূমি) মাহবুব হাসান এর প্রতিনিধি, উপজেলা ভূমি অফিস সহকারী মো.জাহিদুল্লাহ (জাহিদ) চাবি হস্তান্তর করেন।

এসময় চরআমখাওয়া ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা ফজলুল করিম (মামুন), ডাংধরা ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা মো. সোলাইমান হোসেন সহ স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

স্থানীয় সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুলন্নাহার শেফা বলেন, বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত একটি উদ্যোগকে কিভাবে আরও বেগবান ও সাফল্য মন্ডিত করা যায়, এজন্য সাংবাদিকরা ছিন্নমূল ও অসহায় ব্যক্তিদের কথা তুলে ধরে আসছেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা গতকাল সংবাদপত্রের মাধ্যমে ভূমিহীন মাজম -বেগম দম্পতির বিষয়ে জানতে পেরেছি। সংবাদ প্রকাশের পর মাজম- বেগম দম্পতিকে খুজে আজকে তাদেরকে পুনর্বাসিত করলাম। এখন থেকে তারা মাখনেরচর আশ্রয়ন প্রকল্পের ১৯ নাম্বার ঘরে থাকবেন। বিদ্যুত ও পানিসহ সব ধরণের ব্যবস্থা এখানে আছে। তাদেরকে কৃষি বীজও দেয়া হবে। ঘরের আশেপাশে খালি জায়গায় সবজি আবাদ করবেন। এটিই হলো এই সরকারের সফলতা। আমরা চাই প্রত্যেকটি মানুষ এগিয়ে যাক, এটাই আমাদের লক্ষ্যে।

উল্লেখ্য, জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী (মুজিববর্ষ) উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ বাড়ি প্রদান করা হয়েছে কয়েকটি ধাপে। জামালপুরে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার মোট ৩৪০টি ঘর ভূমিহীনদের মাঝে হস্তান্তর করা হয়।
এছাড়াও বিভিন্ন প্রকল্পে আরও অনেক ঘর উপজেলায় প্রদান করা হয়েছে।