প্রকাশিত, ১৯,মে,২০২৪
এম এইচ শাহীন গাজীপুর প্রতিনিধি:
আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন শ্রীপুর উপজেলা জাতীয় শ্রমিকলীগের উপ-মহিলা বিষয়ক সম্পাদক, গাজীপুর জেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, নারী উদ্যোক্তা ও সমাজকর্মী সাহিদা আক্তার স্বর্ণা।
শ্রীপুর উপজেলা বাসীর জনসমর্থনে প্রচারবিমুখ নারী উদ্যোক্তা ও সমাজকর্মী সাহিদা আক্তার স্বর্ণা কে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দেখতে চান উপজেলা বাসী। তারই ধারাবাহিকতায় শ্রীপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে ইতিমধ্যেই প্রতিযোগীতায় নেমেছেন চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তথ্য অনুযায়ী আগামী ২১ মে দ্বিতীয় দফায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আসন্ন শ্রীপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলার সর্বস্তরের জনসাধারণের প্রার্থী নারী উদ্যোক্তা ও সমাজকর্মী সাহিদা আক্তার স্বর্ণা নিজেকে শ্রীপুর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে প্রার্থীতা ঘোষনা করেছেন। উপজেলার বিভিন্ন এলাকার লোকজনের থেকে পাচ্ছেন স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া। সাধারণ মানুষের মধ্যে যে জনপ্রিয়তা রয়েছে তা থেকে বিজয়ী হওয়া প্রায় সুনিশ্চিত বলে মনে করেন সচেতন মহল। তিনি প্রতিনিয়ত পদ্ম ফুল মার্কার প্রচার প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন।
সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক অঙ্গন সহ শ্রীপুর উপজেলা মহিলা ও শিশু বিষয়ক অধিদপ্তর কতৃক শ্রেষ্ঠ জয়ীতা পুরষ্কার, জাতীয়, আন্তর্জাতিক এ্যাওয়ার্ড সহ একাধিক পুরষ্কারে ভূষিত হয়েছেন সাহিদা আক্তার স্বর্ণা। তার নিজ যোগ্যতা প্ররিশ্রমে অর্জন করছেন এসব পুরুষ্কার। একই সাথে তিনি দেশের পিছিয়ে পড়া হতদরিদ্র নারীদের ভাগ্য উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। অসহায় দুঃস্থ মানুষদের সহায়তা করে আসছেন তিনি প্রতিনিয়ত। যার নেতৃত্বে উপজেলার নারী সমাজ আজ জাগ্রত। এজন্য সাধারণ মানুষেরা উপাধি দিয়েছেন বাংলার মালালা।
আসন্ন শ্রীপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে এখন পর্যন্ত সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে সাধারণ ভোটারদের মাঝে আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন তিনি। তা ছাড়া তার নিজ সিংদিঘী, দক্ষিণ বারতোপা এলাকায় একমাত্র সম্ভাব্য প্রার্থী না থাকায় অন্য সবার চাইতে ভোটের মাঠে সুবিধাজনক অবস্থানে থাকবেন এমন ধারনা সাধারণ ভোটারদের। পারিবারিক ঐতিহ্য আর একটি রাজনৈতিক সংগঠনের নারী নেত্রী হিসেবে সমাজে রয়েছে তার বিশেষ পরিচিতি। তাঁর পিতা মরহুম তোতা মিয়া দক্ষিণ বারতোপা গ্রামের সামাজিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে বেশ পরিচিত। এবং তার ছোট বোন ১নং মাওনা ইউনিয়ন পরিষদের ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য (মেম্বার)।
জানা যায়, শাহিদা আক্তার স্বর্ণা শীত মৌসুমে শীতার্ত গরীব দুঃখী মানুষের মধ্যে বিনামূল্যে কম্বল বিতরন করেন। গরীব দুঃখী মানুষের মধ্যে এ যাবৎ তার নিজস্ব তহবিল থেকে সাধারণ মানুষদের বিভিন্ন সামগ্রী সহ নগদ অর্থ বিতরন করেছেন। এছাড়া সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ, মাদরাসা, মন্দির, কবরস্থান ও শ্মশানে বিভিন্ন ভাবে সহায়তা প্রদান করে আসছেন।মহামারী করোনার মধ্যে সাধারন মানুষ যখন খাদ্য অভাবে ভুগতেছিল তখন তিনি বিনামূল্যে খাদ্য ও মাস্ক বিতরণ করেছেন।
এবিষয়ে সিংদিঘী গ্রামের বাসিন্দা মুহাম্মদ রাসেল মিয়া বলেন, আমরা একজন শিক্ষিত, সৎ এবং নীতিবান জনপ্রতিনিধি চাই। সেই দিক থেকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সাহিদা আক্তার স্বর্ণা আমাদের মাঝে সেরা। তিনি আরও বলেন, বিগত দিন গুলোতে সাহিদা আক্তার স্বর্ণা’র কাছে যেতেন আমাদের এলাকার মানুষেরা সুখে- দুঃখে সবসময় তাদের পাশে থেকে সহযোগীতা করেছেন। আমরা যখনি তার কাছে যেতাম শত ব্যস্ততার মাঝেও আমাদেরকে সহযোগিতা করার জন্য চেষ্টা করে গেছেন। আমরা এলাকার যে কোনো প্রয়োজনে ডাকা মাত্রই সে আমাদেরকে সময় দিতো, আমাদের পাশে এসে দাঁড়াত।
শ্রীপুরের দক্ষিণ বারতোপা গ্রামের মো. আলমগীর হোসেন বলেন, স্বর্ণা আমাদের গ্রামের শিক্ষিত মেয়ে, সমাজের নারীদের বিভিন্ন সময় নানা দিক থেকে সহযোগিতা করছেন, আমাদের বিশ্বাস ওই (স্বর্ণা) যদি ভাইস চেয়ারম্যান হতে পারে যে কোনো সময় ডাক দিলে পাওয়া যাইবো। এর আগেও আমাদের গ্রামের মানুষেরা ডাক দিলে নিজের কাজ ফেলে ছুটে চলে আসতেন। ওর কাছে সহযোগিতার জন্য গেলে, আন্তরিকতার সাথে আমাদের সহযোগিতা করতো এবং সকলের সাথে সৌজন্য মূলক আচরণ করতেন।
একজন জনপ্রতিনিধির সামাজিক দায়বদ্ধতা সম্পর্কে জানতে চাইলে বলেন, ‘যে কোনো সচেতন মানুষেরই উচিত দেশ ও দেশের মানুষের জন্য কল্যাণকর কিছু কাজ করা। আল্লাহ আমাকে সামর্থ্য ও অর্থ- বিত্ত দেননি। তবুও আমি মনে করি আমার চারপাশের অসচ্ছল মানুষদের জন্য কিছু করা প্রয়োজন। নিজের মনের প্রশান্তির জন্যই সমাজসেবা করি। যখন দেখি, আমার কিংবা আমাদের কোনো সহযোগিতার জন্য দুস্থ মানুষটির মুখে হাসি ফুটে উঠছে তখন যে কি সুখ পাই- তা ভাষায় বোঝাতে পারবো না। মানুষ হিসেবে আমি কতটা সামাজিক, সমাজ- বান্ধব সেটাই আমার পরিচয় নিশ্চিত করে।
একজন নারী সমাজকর্মী হয়ে ওঠা এবং সফলতার প্রসঙ্গে সাহিদা বলেন, অনেক ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল দেশ ও সমাজের জন্য কিছু করব। সমাজে নিজের একটি অবস্থান তৈরি করব এমন স্বপ্ন সবসময় মনের মধ্যে পুষে রাখতাম। আর এই স্বপ্নের অনুপ্রেরণা ছিলেন আমার মা। পরবর্তীতে স্বপ্নের বাস্তব রূপায়নে কার্যকর সহায়তা করেছেন আমার এলাকাবাসী। তাদের অনুপ্রেরণা ও সান্নিধ্য আমাকে অনেক দূর এগিয়ে দিয়েছে। এলাকাবাসীর সহযোগিতা পেয়েই সমাজকর্মী হিসেবে আমার কর্ম- পরিকল্পনা গুলো বাস্তবায়ন করতে পারছি। এর পেছনেও বড় কারণটি হলো, উপজেলা বাসী দেখেছেন এবং উপলব্ধি করেছেন যে, আমার মাঝে কাজ করার উদ্যম আছে। দৃঢ় মনোবল আছে এবং আমি লেগে থাকতে পারি। তাছাড়া আমি শৈশব থেকে আমার পরিবার এবং দেশের জন্য কাজ করছি। কাজ করতে পারছি সাধারণ মানুষের কল্যাণে। সেদিক দিয়ে আমার বিশ্বাস শ্রীপুরবাসী আমাকে নিরাশ করবে না। তারা নিজেদের মেয়ে বোন হিসেবে কাজের সুযোগ দিবেন। সর্বোপরি গরীব- মেহনতি মানুষের প্রকৃত জনদরদী হিসেবে তিনি এলাকায় ব্যাপক পরিচিত ও জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন। একজন সফল সমাজকর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নারী শিক্ষার উন্নয়ন ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃত্ব ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং করে যাচ্ছেন। আসন্ন নির্বাচনে জয়ী হয়েই সাহিদা প্রমাণ করতে চান দেশকে দেওয়ার মত এখনো অনেক কিছুই বাকি আছে।
আপনার মতামত লিখুন :