প্রকাশিত,১৩,জুলাই, ২০২৪
শ্রীপুর গাজীপুর প্রতিনিধিঃ
গাজীপুরের শ্রীপুরে মাওনা ইউনিয়নের চকপাড়া গ্রামে নিজেদের সম্পত্তি রক্ষায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক ভুক্তভোগী পরিবার।
চকপাড়া গ্রামে নিজ বাড়িতে রেজাউল করিমের পরিবারের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রেজাউল করিম বলেন, আমি এবং আমার পরিবারের সবাই দীর্ঘ ৫০ বছর বেশি সময় ধরে পৈত্রিক, ওয়ারিশ ও ক্রয়সূত্রে ভোগদখলীয় ভাবে জমিতে চাষাবাদ করে আসছি।যাহার খতিয়ান হচ্ছে ১৮৬১ দাগ নং ৮০৬,৯২৭,
আরএস দাগ নং ৫৯৪২,৫৯৪৭,৫৯৪৮
খতিয়ান ৮৬৬ দাগনং আরএস ৫৯৪৯,৫৯৫০,
মোট জমির পরিমান ৩০৩ শতাংশ।আমাদের পরিবারের একটি অংশ হচ্ছে এহিয়া, কমলা ও রোকিয়া। তারা উল্লেখিত জমি থেকে আরএস রেকর্ড মূলে যথাক্রমে১১৫+৩৭শতক,১৭.৫শতক,২৯ শতাংশ জমির মালিক হয়ে ১৯৭৫ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত ৮ টি সাব কাবলা দলিলে সমপরিমান সম্পত্তি বিক্রিয় করেন।
কিন্তু তারা গত ২৬ জুন ভোরে কতিপয় লোকজন রোকেয়া গং, কাদির, শান্ত,প্রান্ত,শাহিদা, শিল্পী,পলক ও ফয়সাল। এহিয়া গং গজনবি, জাকারুল,দুলাল,সুজন, হোসনেআরা আরো লোকজন নিয়ে অবৈধ ভাবে আমাদের ভোগ-দখল কৃত সম্পত্তিতে সব্জির চারা কেটে খুঁটিপুতে একটি কাঠের চৌকি ফেলে অবস্থান নেয়। আমরা খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন নিয়ে জানতে চাই তারা কি কারনে আমাদের জমিতে অবস্থান নিয়েছে। তারা কোন সদুত্তর দিতে পারে নি। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও তাদের সাথে কথা বলেন, কিন্তু তারা মানেন নি তাদের কথা।
পরে জনপ্রতিনিধিরা চলে গেলে এহিয়ার পরিবার, রোকেয়ার পরিবার আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। পরে নিজেদের আত্মরক্ষার্থে এলোপাতারি হাতাহাতি ও মারামারি হয়। এতে উভয়পক্ষের লোকজন আহত হয়েছে।
পরে তারা আমাদের জমিতে অবৈধ দখল ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরে আমাদের লোকজন কে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্যে প্রেরণ করা হয়।
তিনি আরও বলেন, উপরে উল্লেখিত লোকজন আমাদের নামে শ্রীপুর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। যেখানে ৪০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। যার মধ্যে অনেকেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলো না। তার মধ্যে একজন রয়েছেন সংবাদকর্মী। ঘটনার দিন তিনি গাইবান্ধায় অবস্থান করছিলেন। তাকেও এঘটনার সাথে জড়িয়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে। সে দৈনিক সংবাদ প্রতিদিনের শ্রীপুর উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছেন। এই সাংবাদিকের নামসহ আরো অনেকের নাম দেয়া হয়েছে যা একটি মহলের উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও চক্রান্ত।
পরিশেষে আমরা আমাদের পৈত্রিক, ওয়ারিশ ও ক্রয়সূত্রে নিষ্কণ্টক সম্পত্তির খাজনা খারিজ সহ ভোগ দখলীয় জমি এই ভূমিদস্যুদের হাত থেকে রক্ষায় সাংবাদিক ও প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।