প্রকাশিত, ১৯,মে,২০২৪
সেকুল মিয়া,স্টাফ রিপোর্টার:
-গাজীপুর শ্রীপুর উপজেলায় কেওয়া পৃর্ব খন্ড গিলাচালা গ্রামে বোনকে উত্যক্ত করার প্রতিবাদে ভাইকে আহত করে দুর্বৃত্তরা ।বোন কে উত্যক্ত করার কারণে,দুই পক্ষের মারামারিতে দুই জন আহত হয়েছেন।
১৮ ই মে ২০২৪ ইং রোজ (শনিবার) আনুমানিক প্রায় রাত ৭ টা ২০ মিনিটের দিকে শ্রীপুর উপজেলার কেওয়া পৃর্ব খন্ড গিলাচালা গ্রামে ঢাকা ময়মনসিংহ হাইওয়ের রোডের পাশে এক মেয়েকে উক্তকত্ত করার কারণে দুই পক্ষের মারামারির ঘটনা ঘটে। উক্ত ঘটনায় আহত হলেন- নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার পৃর্বন্দেরছুটি গ্রামের আব্দুল জহুর উদ্দিন এর ছেলে মোঃ আব্দুল মান্নান (৩৬) মোঃ আঃ জলিল (৩২) ।
উক্ত বিষয়ে জানা যায়, কেওয়া পৃর্ব খন্ড গিলাচালা গ্রামের হাজী আব্দুল মান্নান মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া বেশ কয়েকদিন ধরে আব্দুল জলিলের খালাতো বোন মালা আক্তার কে রাস্তায় বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সময় বিরক্ত করে আসছিল। এমতাবস্থায় মোছাঃ মালা আক্তার তার খালাতো ভাইদের সাথে উক্ত বিষয়টি জানালে, মেয়ের খালাতো ভাই আব্দুল জলিল এর সাথে মেয়েকে উত্ত্যক্ত করার ছেলেটির দেখা হয়। উত্ত্যক্ত করা ছেলেকে মেয়ের খালাতো ভাই আব্দুল জলিল বুঝানোর চেষ্টা করলে এক পর্যায়ে ছেলে ক্ষিপ্ত হয়ে চলে যায়। কিছুক্ষণ পরে মেয়েকে উত্ত্যক্ত করা ছেলেটি তার বাড়ি মালিক হাজী আব্দুল মান্নান এর ছেলে মোঃ সেলিম (৩০) মোঃ জহুরুল (৩৫) মোঃ মহসিন (৪৫) সহ আরও বেশ কয়েকজন ছেলে নিয়ে এসে আতঙ্কিতভাবে দোকানে হামলা চালায়।
এই বিষয়ে আহত আব্দুল মান্নান সংবাদ কর্মীদের জানান,আনুমানিক প্রায় রাত ৭. ২৮ মিনিট এর দিকে হাজী আব্দুল মান্নান এর ছেলেরা এবং আরও বেশ কয়েকজন মিলে আমার ভাই আব্দুল জলিল এবং আমার উপরে আতঙ্কিতভাবে হামলা চালায়। তিনি আরো জানান,আমার ভাই আব্দুল জলিলের ও আমার উপরে আতঙ্কিত ভাবে এলোফাাতাড়ি ভাবে আঘাত করতে থাকে এমন কি প্রাণে মেরে ফেলার জন্য চেষ্টা করে। এমত অবস্থায় আমাদের ডাক চিৎকার শুনে আশেপাশে লোকজন চলে আসলে ওই বাহিনীরা তখন দুরিয়ে পালিয়ে যায়।
উক্ত বিষয়ে আহত আব্দুল মান্নান এর এক আত্মীয় জানান, আহত আব্দুল জলিল ও আব্দুল মান্নান কে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন স্থানীয়রা। আহত আব্দুল মান্নান এর মাথার আঘাতে মারাত্মক জখম হয় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে লীলা ফোলা যখন করা হয় ও মাথায় বেশ কিছু শিলি করেন শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মরত চিকিৎসক। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন তিনি। বর্তমানে এখন তিনি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।মাথায় আঘাত পাওয়ার কারণে তার অবস্থা খুবই আশঙ্কা জনক রয়েছে বলে জানান তার স্বজনরা। তিনি আরো জানান এই বিষয়ে শ্রীপুর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এই বিষয়ে শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আকবর আলী খান, (পিপিএম) এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মারামারির বিষয়টি আমি এখনো অবহিত নয়। এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
আপনার মতামত লিখুন :