প্রকাশিত,১৬, জুলাই,২০২৩
মিন্টু খন্দকার শেরপুর নকলা (প্রতিনিধি)ঃ
সেন্ট্রাল হাসপাতালের গ্রেফতার হওয়া দুই চিকিৎসকের মুক্তি দাবি করছে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার, নার্স, মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট গন।
মানব বন্ধনের চিকিৎসকগন বলছেন, ভুল চিকিৎসার অভিযোগ এনে প্রমাণ ছাড়াই চিকিৎসকের জেল-জরিমানা হলে কোনো চিকিৎসক ঝুঁকিপূর্ণ কাজে এগিয়ে আসতে চাইবেন না। এতে স্বাস্থ্যসেবার ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে। একপর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা ভেঙে পড়তে পারে।
বেসরকারি সেন্ট্রাল হাসপাতালের চিকিৎসক ডা.শাহজাদী এবং ডা. মুনার মুক্তির দাবিতে ১৬ জুলাই রবিবার নকলা উপজেলার নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সামনে আয়োজিত মানববন্ধন ও সমাবেশে তারা এই শঙ্কার কথা জানান।
নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্মকর্তা ডা: মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন, গাইনি চিকিৎসকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাত-দিন কাজ করছেন।
ফলে মাতৃ ও শিশুমৃত্যুর হার কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। চিকিৎসকরা ঝুঁকিপূর্ণ কোনো কাজ করতে গিয়ে যদি মায়ের মৃত্যু হয় এবং সে কারণে চিকিৎসককে গ্রেফতার করা হয়। ফৌজদারি মামলা দেওয়া হয়, তাহলে তো এই পেশায় কেউ আসতে চাইবেন না।
নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মেডিকেল অফিসার ডা: ওয়ালিওল্লাহ বলেন, সেদিন সেন্ট্রাল হাসপাতালের ম্যানেজমেন্টের যারা দায়িত্বে ছিলেন, বিষয়টি তারা সঠিকভাবে হ্যান্ডেল করতে পারেননি। এটা খুবই নিন্দনীয়। সেদিন রোগী কুমিল্লা থেকে ঢাকা হাসপাতাল আসার আগে রোগীর অবস্থা কী ছিল, বাচ্চার অবস্থা কী ছিল, আদৌ তার অবস্থা স্বাভাবিক ছিল কি-না, তা তদন্ত করে দেখা উচিত।
তিনি আরও বলেন, চিকিৎসকরা নিজের সর্বোচ্চটাই দিয়ে থাকেন। কোনো চিকিৎসকই চান না তার রোগীর মৃত্যু হোক। কোনো রোগীর মৃত্যু হলেই যদি চিকিৎসকের জেল-জরিমানা হয়, তাহলে সংকটাপন্ন কোনো রোগের চিকিৎসায়ই চিকিৎসকরা এগিয়ে আসতে চাইবেন না।
নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্মরত গাইনি কলসালটেন্ট ডা: উম্মে রাকিবা জাহান মিতু,বলেন, ‘প্রসব বেদনায় কাতর জটিল রোগীর চিকিৎসা দিতে গিয়ে আমাদের ডাক্তাররা আজ জেলে। পৃথিবীর কোথাও এমন নজির নেই।’
মানববন্ধনে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা স্বাস্থ্য বিভাগের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশ গ্রহন করেন।
আপনার মতামত লিখুন :