প্রকাশিত,২, অক্টোবর,২০২৩
মারুফ সরকার,স্টাফ রির্পোটারঃ
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন উপলক্ষে কেন্দ্রীয় বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা আয়োজিত আলোচনা সভা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান জনক আমার নেত্রী আমার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টায় টুঙ্গিপাড়া জাতির পিতার সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সের সামনের চত্বরে ‘বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা’ কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে এক আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, কেন্দ্রীয় কমিটির শপথ গ্রহণ এবং জাতীয় সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী জনাব এ কে এম এনামুল হক শামীম।
উপমন্ত্রী জনাব শামীম বলেন, আগে মানুষ বলতো আওয়ামী লীগের জন্য শেখ হাসিনার দরকার। এখন মানুষ বলে দেশের জন্য শেখ হাসিনার দরকার। আগামীতে দেশবাসী আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে ৫ম বারের মতো প্রধানমন্ত্রী বানাবে ইনশাআল্লাহ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক জনাবা ড. শাম্মী আহমেদ, বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলার প্রধান পৃষ্ঠপোষক জনাব তারিক আফজাল, প্রধান উপদেষ্টা সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব জনাবা লাকী ইনাম, প্রতিষ্ঠাতা উপদেষ্টা জনাব জহির কাজী, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব মাহবুব আলী খান, প্রধানমন্ত্রীর অ্যাসাইনমেন্ট অফিসার জনাব মোহাম্মদ আরিফুজ্জামান নুরনবী, সংগঠনের পরিচালক জনাব মহিউদ্দিন মানু, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জনাব শেখ মনিরুজ্জামান লিটন প্রমুখ বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলার সভাপতি জনাব মিয়া মসসফ। অনন্য সাংগাঠনিক সক্ষমতার প্রমাণ শুধুই কেন্দ্রীয় বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা দেখাতে পারে। রাজধানী ঢাকার বাইরে, পূন্যভূমি গোপালগঞ্জ এর টুঙ্গীপাড়ায় গতকাল জমা হয়েছিল সহস্রাধিক বঙ্গবন্ধু প্রেমী মানুষ, সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে। জাতির পিতার জন্মদিন, জাতীয় শিশু দিবস ( যেটির প্রথম প্রস্তাবক ও উদ্ভাবক বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা) উপলক্ষ্যে ঢাকায় আয়োজিত হয়েছিল,” জাতীয় সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা “। সারাদেশের ৫০ হাজার প্রতিযোগী এর মাঝ থেকে প্রায় ৩ হাজার প্রতিযোগী যেখানে অংশ নিয়েছিল। সেখানে চূড়ান্তভাবে বিজয়ী হয় ১৩২ জন মেধাবী শিক্ষার্থী প্রতিযোগী। তারা অভিভাবকদের সাথে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজির হন, এই আয়োজনে। কেউ সিলেট, কেউ চট্রগ্রাম, কেউ খুলনা কেউবা কুড়িগ্রাম বা লালমনিরহাট থেকে আসেন টুঙ্গীপাড়ায়।
কেন্দ্রীয় মেলার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও কেন্দ্রীয় সভাপতি জনাব মিয়া মনসফ এর পরিকল্পনা ও পরিচালনাকে বাস্তবতায় রূপ দিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন যোগ্য,সৎ এবং পরিশ্রমী সাধারণ সম্পাদক জনাব শেখ মনিরুজ্জামান লিটন। আর বিশাল এই কর্মযজ্ঞকে বাস্তবে রূপ দিতে নিরলসভাবে কাজ করেছেন, কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য জনাব সুনীল কুমার পথিক,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জনাব সিকদার মাহমুদুল আলম তারেক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জনাব নজরুল ইসলাম দেলোয়ার, প্রেসিডিয়াম সদস্য ( অর্থ) মঞ্জুর আলম, ঢাকা মহানগর এর সভাপতি জনাব রহমতউল্লাহ সবুজ, ঢাকা জেলার সাধারণ সম্পাদক জনাব জাহাঙ্গীর আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব শেখ নূর কুতুবুল আলম, দপ্তর সম্পাদক নাসিবুল হক বাবু, ঢাকা মহানগর সংগঠক ফারুক হোসাইন ভূইয়া সহ সবাই। কেন্দ্রীয় মেলার সাংস্কৃতিক টিম এর আমিরুল মনি, নাসরিন আক্তার মিশু সহ সকল পর্যায়ের সংগঠকবৃন্দ অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। আরও সহযোগিতা করেছেন গোপালগঞ্জ জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, বিশেষ করে টুঙ্গীপাড়া উপজেলার সভাপতি আজিজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রাসেল শেখ । এই আয়োজন, প্রায় ৪০+ জেলায় প্রতিযোগিতা আয়োজনের সক্ষমতা মেলার যোগ্য সাংগাঠনিক নেতৃত্বকেই তুলে ধরছে।
আপনার মতামত লিখুন :