প্রকাশিত,০৪,মে,২০২৪
মারুফ সরকার, স্টাফ রিপোর্টারঃ
শুধু আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে হটানো যাবে না, এ জন্য গণবিপ্লব প্রয়োজন বলে মনে করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক এবং ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব আমিনুল হক।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারকে হটানোর জন্য আমাদেরকে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে হবে। এই সরকারকে এভাবে আন্দোলন করে হটানো যাবে না। জনগণের বিপ্লব ছাড়া এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে হটানো দুষ্কর হয়ে যাবে।’
শনিবার (৪ মে) আজমপুরে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের উদ্যোগে সাধারণ জনগণ ও পথচারীদের মধ্যে বোতলজাত পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমিনুল হক বলেন, ‘একটা ফ্যাসিস্ট সরকার হলো অবৈধ সরকার, ভোটারবিহীন সরকার। যারা নিজেদের দেশের রাষ্ট্রীয় যন্ত্রগুলো ব্যবহার করে ক্ষমতা কুক্ষিগত রাখার জন্য অপচেষ্টা করে। একইভাবে বাংলাদেশে আওয়ামী ভোটারবিহীন সরকার জনগণকে তোয়াক্কা না করে বিদেশি প্রভুদের মাধ্যমে নিজেদের ক্ষমতা ধরে রেখেছে। এই সরকারকে হটাতে হলে আমাদের গণবিপ্লব ঘটাতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আজ দেশে যে তীব্র তাপপ্রবাহে দেশের মানুষ দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে, তেমনই আওয়ামী লীগের অত্যাচার, নিপীড়ন-নির্যাতনে সারা দেশের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশের মানুষ দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে এই আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের অত্যাচারে। কারণ এই আওয়ামী সরকার দেশের জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার নয়। জনগণের কথা সরকার চিন্তা করে না। জনগণের কাছে তাদের কোনো জবাবদিহি নেই। তাদের শুধু দরকার ক্ষমতা আর চেয়ার।’
বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ ভালো থাকলো কী থাকলো না, এই আওয়ামী সরকারের তাতে কিছু যায় আসে না। তার বহিঃপ্রকাশ কিন্তু আমরা গত ১৫ বছর ধরে দেখে আসছি।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণের যে মৌলিক অধিকার রয়েছে, এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে অধিকার সেটা হচ্ছে নিজের মত প্রকাশের অধিকার, ভোটাধিকার প্রয়োগ করার অধিকার। এসব অধিকার আওয়ামী সরকার হরণ করে ফেলেছে।’
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে আমিনুল হক বলেন, ‘গত ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচন জনগণ বর্জন করেছে। লোক দেখানো উপজেলা নির্বাচনও এদেশের জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ৫০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সালাউদ্দিন খান লিটন। ৫০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমানের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন- ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, হাজী মো. মোস্তফা জামান, মহানগর সদস্য ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলী আকবর আলী, এবিএমএ রাজ্জাক, আলাউদ্দিন সরকার টিপু, হাজী ইউসুফ, আহসান হাবিব মোল্লা, আব্দুস সালাম সরকার, দক্ষিণখান থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক দেওয়ান মো. নাজিম উদ্দীন, যুগ্ম আহ্বায়ক আমিরুল ইসলাম বাবলু প্রমুখ।