শিবচরে বিএনপির নেতা রোমানকে অবাঞ্চিত ঘোষণার দাবি।


দেশ সময় প্রকাশের সময় : ২০২৪-১০-০২, ১১:২০ অপরাহ্ন /
শিবচরে বিএনপির নেতা রোমানকে অবাঞ্চিত ঘোষণার দাবি।

প্রকাশিত,০২,অক্টোবর

রাকিবুল হাসান(রকি)
শিবচর, প্রতিনিধি:

মাদারীপুর শিবচরে এক বিএনপির নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, ৫ই আগস্টের পর আওয়ামী লীগের লোকজনকে নিজের সমর্থক বানিয়ে দলে ভিড়িয়ে, বিএনপি’র ত্যাগী নেতাকর্মী কে দূরে ঠেলে দিয়ে অবমূল্যায়ন করার ফলে বিএনপির মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে সমালোচনা। আজ বুধবার (২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় মাদারীপুরের-১ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী, বিএনপির নেতা কামাল জামান নুরুদ্দিন মোল্লার সমর্থক ও বিএনপির দুর্দিনের ত্যাগী নেতাকর্মীরা শিবচরের একটি বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিল বের করেন। পরে মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শিবচর উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।

এ সময় শিবচর উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইয়াজ্জেম হোসেন রোমানকে আওয়ামী লীগের দালাল বলে ঘোষণা দেন, আওয়ামী লীগকে বিএনপি বানানোর কারিগর হিসেবে আখ্যা দিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন নুরুদ্দিন মোল্লার সমর্থক শিবচর পৌরসভা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক (সাবেক) শাহাদাত কমিশনার।

সাংবাদিক সম্মেলনে শাহাদাত কমিশনার বলেন, ‘ জাতীয় সংসদের সাবেক চীপ হুইপ নুর-ই আলম চৌধুরী লিটন ও ভাঙ্গা ফরিদপুরের ৪- আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনের আপন চাচাতো ভাই তপু চৌধুরীকে আনুষ্ঠানিকভাবে দলে যোগ দিয়ে নিয়েছে রোমান। এর আগে বন্দরখোলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা নোবেল শিকদারকে নিজের গ্রুপে যোগ দিয়ে, বিএনপি বানিয়েছেন বলে জানা গেছে। শিবচরে প্রথম আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের বিএনপি বানানোর কারিগর এই রোমান। আমরা আগামীকাল ঢাকার নয়া পল্টনে বিক্ষোভ মিছিল করব এবং এই বিএনপি’র নামধারী ইয়াজ্জাম হোসেন রোমানকে বিএনপি থেকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করার জন্য।

এর আগে ৩০ শে সেপ্টেম্বর শিবচর উপজেলার কাঠালবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান , উপজেলা আওয়ামী লীগের সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সোহেল বেপারী সহ- কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতাকে, বিএনপি নেতা নুরুদ্দি মোল্লার গ্রুপে যোগ দেওয়ার অভিযোগ এনেছিলেন উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইয়াজ্জেম হোসেন রোমান।

সোহেল ব্যাপারীকে নিজেদের দলে নেয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করলে সংবাদ সম্মেলনে শাহাদাত কমিশনার বিষয়টি পরিষ্কার করে বলেন,’ কাঠালবাড়ি ইউনিয়নে আমাদের কর্মী সম্মেলন চলছিল, হঠাৎ সেইখানে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোহেল বেপারী মঞ্চে ওঠে। তার সাথে আমাদের কেউ কথা বলেনি সে ইচ্ছা করে মঞ্চে উঠেছে এবং মুহূর্তের মধ্যেই সে মঞ্চ থেকে নেমে গেছে। আমরা তাকে মেনে নেইনি। আমার নেতা কামাল জামান নুরুদ্দিন মোল্লা ও তাকে মেনে নেয় নি’।